ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বহু আগেই প্রাণের অস্তিত্ব মিলেছে মঙ্গলে ॥ নাসা

প্রকাশিত: ২৩:৫৮, ১৬ অক্টোবর ২০১৯

বহু আগেই প্রাণের অস্তিত্ব মিলেছে মঙ্গলে ॥ নাসা

অনলাইন ডেস্ক ॥ মঙ্গলে ৪০ বছর আগেই প্রাণের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার এক প্রাক্তন বিজ্ঞানী। গিলবার্ট ভি লেভিন নামে ওই বিজ্ঞানীর দাবি, ১৯৭৬ সালে মঙ্গলে একটি বাইকিং ল্যান্ডার পাঠিয়েছিল নাসা। সেই সময় প্রধান তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন তিনি। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি জার্নালে লেভিন ওই অভিযান-সংক্রান্ত একটি প্রবন্ধ লেখেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, তখনই মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লেভিনের ওই পরীক্ষার নাম ছিল ‘লেবেলড রিলিজ।’ মঙ্গলের মাটি পরীক্ষা করার জন্য ওই ল্যান্ডার পাঠানো হয়েছিল। তখনই সব প্রশ্নের উত্তর মোটামুটিভাবে পাওয়া গিয়েছিল বলে এই বিজ্ঞানীর দাবি। জানা গেছে, ওই পরীক্ষায় মঙ্গলের মাটিতে কিছু পৌষ্টিক উপাদান পাওয়া যায়। বিজ্ঞানীদের মতে, মঙ্গলে যদি প্রাণ থাকত তাহলে তারা খাবার খেয়ে বায়বীয় পদার্থ বর্জন করত, যা তাদের পরিপাক ক্রিয়ার প্রমাণ দিত। সেই প্রমাণ তখন ওই ল্যান্ডারের রেডিওঅ্যাকটিভ মনিটরে পাওয়া যায় বলে লেভেন জানিয়েছেন। তার দাবি, ওই মাটি নিয়ে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করে দেখেছিল নাসা। দুই বারই প্রাণের প্রমাণ পাওয়া যায়। কিন্তু নাসা ওই পরীক্ষার ফলাফলের প্রতিলিপি তাদের ল্যাবরেটরিতে বের করতে পারেনি। তাই সঠিক ফলাফল আর সামনে আসেনি। লেভিন তার প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন, ল্যান্ডারটি আসল প্রাণের প্রমাণ না পেলেও প্রাণের মতো কিছু একটার সন্ধান পেয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে নাসা আর কখনও প্রাণ পরীক্ষা করার কোনো যন্ত্র মঙ্গলে পাঠায়নি। তবে কয়েক দশক পর আজ আরও উল্লেখযোগ্য কিছু চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। নাসার ‘কিউরিওসিটি’ অরগ্যানিক জিনিসের চিহ্ন পেয়েছে মঙ্গলে। এমনকি এক সময় লবণহ্রদ ছিল বলেও প্রমাণ পেয়েছে নাসা। গহ্বরের গায়ে লবণের পুরু ওই আস্তরণ দেখেই গবেষকরা মনে করছেন, মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই নাসার ‘মার্স ২০২০’ রোভার যাত্রা শুরু করবে। এটা মঙ্গলে পৌঁছাবে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এতে এমন একটি যন্ত্র থাকবে যাতে অতীতে থাকা যেকোনো প্রাণের অস্তিত্বের প্রমাণ উঠে আসবে বলে বিজ্ঞানীদের আশা।
×