ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

শতাধিক অর্থনৈতিক অঞ্চল

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ১৭ অক্টোবর ২০১৯

শতাধিক অর্থনৈতিক অঞ্চল

উন্নয়নের অব্যাহত অগ্রযাত্রায় সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ বিশ্বে আজ দৃশ্যমান, নজরকাড়া। কিছু কিছু ক্ষেত্রে একেবারে রোল মডেল। অর্থনীতির প্রধান সূচক কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অবকাঠামো উন্নয়নে দেশের মানসম্মত এগিয়ে যাওয়া এক বিরাট বিস্ময়। মেগা প্রকল্পের গুরুত্বপূর্ণ গতিপ্রবাহ নতুন বাংলাদেশ গড়ার এক যুগোপযোগী কর্মদ্যোতনা। কৃষিনির্ভর বাংলাদেশ উন্নত চাষাবাদ প্রক্রিয়ায় ধান, মাছ, সবজি ও ফলফলাদি উৎপাদনে মাত্রা বিশ্বে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় নিজের অবস্থান জোরালো করেছে। কৃষির আধুনিকায়ন, চাষাবাদে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার, তার চেয়েও বেশি উৎপাদনকারী শ্রেণীর প্রতি বিশেষ দায়বদ্ধতায় অর্থনীতির এই খাতকে সমৃদ্ধ করতে সময়ও লাগছে না। আধুনিক রাষ্ট্রের সামগ্রিক উন্নয়নের অন্যতম সূচক শিল্পায়নের মাধ্যমে নতুন নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। নতুন শিল্পাঞ্চল তৈরি ও বিনিয়োগের সমূহ সম্ভাবনা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এভাবে অবারিত উন্নয়ন যাত্রায় সামনে চলে এসেছে শতাধিক অর্থনৈতিক অঞ্চলের শিল্পায়ন প্রক্রিয়ার জোরালো সম্পৃক্তকরণ। বিভিন্ন অর্থনৈতিক জোনে শিল্পায়ন প্রক্রিয়ায় বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি করে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যাপারটিকেও সচেতন-দায়বদ্ধতায় এগিয়ে নেয়ার কর্মতৎপরতা ইতোমধ্যেই দৃশ্যমান। এই মেগা প্রকল্পকে সামনে রেখে মোংলায় ৫ শিল্প প্রতিষ্ঠানের নামে জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে জোনগত সাফল্যকে আরও সম্প্রসারিত করার উদ্দেশ্যে। শিল্পোদ্যোক্তারা জানান, সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক অঞ্চলে উদ্যোক্তাদেরও আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। শুধু মোংলায় ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। শতাধিক অর্থনৈতিক অঞ্চলে এই সংখ্যা এক কোটির কাছাকাছি হয়ে যাবে। বর্তমানের এক শ’ অর্থনৈতিক জোন আগামীর বাংলাদেশে এক কোটি কর্মসংস্থানের অপার সম্ভাবনা। দ্রুত এগিয়ে যাওয়া এক শ’ অর্থনৈতিক জোনের শিল্পায়ন প্রক্রিয়াও অতিসত্বর তার অভীষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে যাবে। আর শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলার এমন মহাযজ্ঞে সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হওয়া দেশ ও জনকল্যাণে সুদূরপ্রসারী প্রভাব রাখবে। শিল্প সম্ভাবনা তৈরির পাশাপাশি আরও এক শ’ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে নতুন কর্মপরিকল্পনায় দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে নেয়া হবে। বিভিন্ন উচ্চমানের শিল্প প্রতিষ্ঠানের সার্বিক সহায়তায় অর্থনৈতিক জোনে ধারাবাহিক কার্যক্রম এগিয়ে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে শিল্প-কারখানা তৈরির ভূমি বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে মোংলা অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিভিন্ন দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে দায়-দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছিল। তারা প্রাথমিক শিল্প তৈরির কর্মযজ্ঞ চালু করলে এক সময় তা বাস্তব প্রেক্ষাপটে জমি প্রদানের আবশ্যকীয় পর্যায়ে উন্নীত হয়। এর পরবর্তী ধাপে এ শিল্পাঞ্চলকে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিতে সমন্বিত করে সমৃদ্ধ ও জনবান্ধব অর্থনৈতিক অঞ্চল গণমানুষের স্বার্থেই তার কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে যাবে। এভাবে বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলকেও এই নতুন অর্থনীতির অতিমাত্রায় সংযুক্ত করা হবে। এমন সম্ভাবনাময় শিল্পায়ন পরিকল্পনা দেশের সামগ্রিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে অসংখ্য মানুষের জীবনমান উন্নয়নেরও সুযোগ তৈরি করে দেবে।
×