ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জীবনের নিরাপত্তার শঙ্কায় হাবিপ্রবি’র ৯ শিক্ষকের থানায় ডায়েরী

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ১৭ অক্টোবর ২০১৯

জীবনের নিরাপত্তার শঙ্কায় হাবিপ্রবি’র ৯ শিক্ষকের থানায় ডায়েরী

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারন ডায়েরী করেছেন দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)’র ৯ জন শিক্ষক। তারা সকলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পদেও দায়িত্ব পালন করছেন। তবে কাদের বিরুদ্ধে ওই সাধারন ডায়েরী তা উল্লেখ করা হয়নি। পুলিশ বলছে, সাধারন ডায়েরী করা হলেও নাম না থাকায় কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাচ্ছে না। তবে এব্যাপারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। দিনাজপুর কোতয়ালী থানা সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ জন শিক্ষক থানায় এসে সাধারন ডায়েরী করেন। তাৎক্ষনিকভাবে ওই ডায়েরী গ্রহণ করেছে পুলিশ, জিডি নং-৯৮৫। তবে ওই ডায়েরী কাদের বিরুদ্ধে এমন কোন নাম দেয়া হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে আজ এই তথ্য সাংবাদিকদের জনানো হয়েছে। সাধারন ডায়েরীতে বলা হয়েছে, দিনাজপুর শহরে বসবাসকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২/৩ জন উশৃঙ্খল কর্মচারী বিভিন্ন সময়ে হাবিপ্রবিতে প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের কুরুচিপূর্ণভাবে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করেন এবং তাদের সম্পর্কে মিথ্যা ও বিভ্রান্তকর তথ্য ছড়িয়ে থাকেন। সম্প্রতি আমরা গোপন সূত্রে জানতে পেরেছি এইসব কর্মচারী হাবিপ্রবি প্রশাসনকে সহায়তাকারী শিক্ষকদের দিনাজপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও অপমানিত করার পরিকল্পনা করছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে বেশ শঙ্কিত। সাধারন ডায়েরী করা শিক্ষকরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজার রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. খালেদ হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব রিসার্চ অ্যা- ট্রেনিং-আইআরটি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. তারিকুল ইসলাম, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজ, হাবিপ্রবি’র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সুপার ডা. নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন হলের সুপার অধ্যাপক ড. তহিদার রহমান, সহকারী প্রক্টর ড. মাহবুব হোসেন, ড. আবু সাঈদ এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা শাখার সহকারী পরিচালক বেলাল হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. খালেদ হোসেন বলেন, গত ৫/৬ মাস আগে আমার বাড়িতে কয়েকজন গিয়েছিল। আমাদের উপর শারীরিকভাবে হামলা হবে এমন কিছু তথ্য এসেছে। সেই ভিত্তিতেই জিডি করা হয়েছে। নাম দিলে সেটি মামলা হয়ে যাবে তাই নাম না দিয়ে জিডি করা হয়েছে। সাধারন ডায়েরীর বিষয়ে দিনাজপুর কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (ওসি) রেদওয়ানুর রহিম জানান, ওই ডিজিতে কারও নাম উল্লেখ না থাকায় কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা যাচ্ছে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এই ডায়েরীর পর পুলিশ তৎপর রয়েছে।
×