ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

করতোয়ার দূষণ রোধে নৌকাবাইচ

প্রকাশিত: ০৮:৪৩, ১৯ অক্টোবর ২০১৯

 করতোয়ার দূষণ রোধে  নৌকাবাইচ

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ বর্ষা অনেক আগেই বিদায় নিলেও তার ছোঁয়া এখনও রয়েছে। বগুড়ার মৃতপ্রায় করতোয়া নদীতে স্রোত তেমন না থাকলেও পানি এখনও শুকিয়ে যায়নি। করতোয়ার দু’ধারে শুক্রবার ছিল এক ভিন্ন মাত্রার উৎসবী আমেজ। হাজার হাজার মানুষের উ”চ্ছ্বসিত কণ্ঠের সম্মিলিত আনন্দময়তার উৎস ছিল নৌকাবাইচ। মৃতপ্রায় করতোয়ায় দূষণ রোধ ও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনতে আয়োজন করা হয় নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার। এই নৌকা বাইচ নিয়ে করতোয়ার দু’ধারের মানুষের মধ্যে এনে দেয় এক আনন্দময় উৎসবের উপলক্ষ। কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে আয়োজন করা হয় এই নৌকাবাইচের। বেলুন উড়িয়ে নৌকা বাইচের উদ্বোধনকালে উপস্থিত ছিলেন, বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা, বগুড়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডাঃ মকবুল হোসেন, বগুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোজাম্মেল হক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু, পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার মকবুল হোসেন, সদর সার্কেলের পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী, কমিউনিটি পুলিশং বগুড়া জেলা শাখার সদস্য সচিব অধ্যক্ষ শাহাদৎ আলম ঝুনু, বগুড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান শফিক। কাপ্তাই লেক নিজস্ব সংবাদদাতা রাঙ্গামাটি থেকে জানান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডে সহোযোগিতায় রাঙ্গামাটির কাপ্তাই লেকে শুক্রবার বিকেলে শেখ রাসেল স্মৃতি নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চারটি ইভেন্টে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুরুষদের নৌকা প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন তারা মনির দল, দ্বিতীয় হয়েছেন কয়েল চাকদার দল ও তৃতীয় হয়েছেন সুবিমল ত্রিপুরার দল। মহিলা মধ্যে প্রথম হয়েছেন কালাদেবীর দল, দ্বিতীয় হয়েছে পুতুলি ত্রিপুরার দল ও তৃতীয় হয়েছে শান্তি রানীর দল। সাম্পান প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে জামাল, দ্বিতীয় হয়েছে জসিম ও তৃতীয় হয়েছে রুবেল। কায়ক প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে ঝরনা ও হিরার দল, দ্বিতীয় হয়েছে মনিকা চাকমা ও খীসা চাকমার দল এবং তৃতীয় হয়েছে সোনিয়া চাকমা ও জেসমিন চাকমার দল । বিজয়ী দলকে প্রথম পুরস্কার ৫০ হাজার, দ্বিতীয় পুরস্কার ৩০ হাজার ও তৃতীয় পুরস্কার ২৫ হাজার টাকা নগদ প্রদান করেছেন। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ ও উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুল ইসলাম। নবগঙ্গা নিজস্ব সংবাদদাতা ঝিনাইদহ থেকে জানান, ছলাৎ ছলাৎ শব্দে মৃতপ্রায় নবগঙ্গার বুক চিড়ে বয়ে চলে তাল গাছের তৈরি ডোঙ্গা নৌকা। চলে একে অপরকে পিছনে ফেলে সামনের দিকে ছুটে চলা। আর এতে উৎসাহ জোগায় নদীপাড়ে থাকা দর্শনার্থী। এমনি এক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় ঝিনাইদহ শহরের নবগঙ্গা নদীতে। ধোপাঘাটা-গোবিন্দপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির আয়োজনে শুক্রবার সকালে এ ডোঙ্গাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় নদীর তীরে দাঁড়িয়ে নানা বয়সে বিপুল দর্শক উপভোগ করে এই বাইচ প্রতিযোগিতা। শহরের গোবিন্দপুর এলাকা থেকে বাইচ শুরু হয়ে ২ কিলোমিটার দূরের ধোপাঘাটা এলাকায় শেষ হয়। এতে অংশ নেয় সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ২২টি ডোঙ্গা। শহরের ভুটিয়ারগাতী এলাকা থেকে এ প্রতিযোগিতা দেখতে আসা রুবেল হোসেন বলেন, আমাদের নবগঙ্গা নদী মৃতপ্রায়। এখানে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা করা সম্ভব নয়। তাইতো এলাকার মানুষ ডোঙ্গাবাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। এ প্রতিযোগিতা খুবই উপভোগ্য। না দেখলে বোঝা যাবে না বাংলার গ্রামীণ ঐতিহ্য কতটা সমৃদ্ধিশীল।
×