ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্নীতির দায়ে প্রোটিয়া ক্রিকেটারের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ২৩:২৮, ১৯ অক্টোবর ২০১৯

দুর্নীতির দায়ে প্রোটিয়া ক্রিকেটারের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক ॥ নানাবিধ দুর্নীতি ও ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে ৫ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার গুলাম হোসেন বদির। প্রোটিয়াদের জার্সি গায়ে ২টি ওয়ানডে ও ১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ৪০ বছর বয়সী এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ২০০ সালে প্রোটিয়া অধিনায়ক হানসি ক্রুনিয়ের ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারির কারণে ২০০৪ সালে দুর্নীতি ও অনিয়মের জন্য নতুন আইন করা হয়েছিল। সেই আইনের বেড়াজালে কারাদণ্ড হওয়া প্রথম ক্রিকেটার গুলাম বদি। এর আগেই অবশ্য ২০ বছরের জন্য তাকে নিষিদ্ধ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড। ২০০৪ সালে করা দুর্নীতি ও অনিয়মের জন্য করা নতুন আইন অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকায় যেকোনো খেলাধুলায় ম্যাচ ফিক্সিং ও স্পট ফিক্সিংকে গণ্য করা হয় অপরাধ হিসেবে। যার শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। তবে গুলাম বদিকে কারাভোগ করতে হবে পাঁচ বছর। বছরচারেক আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া র‍্যাম স্ল্যাম টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ম্যাচ ফিক্সিং এবং অন্যদের প্রভাবিত করার অভিযোগে ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকে ২০ বছরের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন তিনি। তখন প্রোটিয়া ক্রিকেট বোর্ড দাবি করেছিল, যথাসময় গুলাম বদি ও তার চক্রকে ধরে ফেলায় কোনো ম্যাচের ফলাফলে ফিক্সিংয়ের প্রভাব পড়েনি। এরপর এই মামলাটি তারা তুলে পুলিশের হাতে। গতবছরের জুলাইয়ে গুলাম বদি নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন এবং নভেম্বরে তার অপরাধ প্রমাণিত হয়। আদালতের দেয়া সময় অনুযায়ী গত জানুয়ারিতে কারাদণ্ড পাওয়ার কথা ছিলো তার। কিন্তু কয়েক দফায় পিছিয়ে অবশেষে অক্টোবরের ১৮ তারিখ তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এদিকে গুলাম বদি ছাড়াও ২০১৫ সালের ফিক্সিংয়ের ঘটনায় ইথি বালাথি, থামি সোলেকিলে, জন সাইমস, লনওয়াবো সৎসোবে, পুমি মাথসুইকে এবং আলভিরো পিটারসেনদের ২ থেকে ১২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। তবে এদের কাউকেই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। এরই মধ্যে নিজের শাস্তি কাটিয়ে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় ক্রিকেট অঙ্গনে ফিরেছেন পিটারসেন।
×