ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

লেগস্পিনার খেলানোর নিয়মে সাকিবের অভিমত

প্রকাশিত: ১২:১৩, ২০ অক্টোবর ২০১৯

লেগস্পিনার খেলানোর নিয়মে সাকিবের অভিমত

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে শুরু থেকেই লেগস্পিনার সঙ্কট। দুয়েকজন জাতীয় দলের জার্সিতে খেলার সুযোগ পেলেও তা প্রলম্বিত করতে পারেননি। ফর্মহীনতায় বাদ পড়ে গেছেন, অনেকেই আবার প্রতিশ্রুতিশীল হিসেবে প্রমাণ করলেও ম্যাচ খেলার সুযোগ না পেয়ে ঝরে পড়ে গেছেন। তবে প্রতিনিয়তই লেগস্পিনার খুঁজেছে বাংলাদেশ। এবার তাই চলমান জাতীয় ক্রিকেট লীগেও (এনসিএল) প্রতিটি দলের কোচের কাছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্দেশনা ছিল স্কোয়াডে থাকা লেগস্পিনারদের ম্যাচ খেলানোর। এমনকি এবার আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) টি২০ আসরেও সব ম্যাচে লেগস্পিনার খেলানো এবং তাদের দিয়ে ৪ ওভার বোলিং করানোর কঠোর নির্দেশনা থাকছে। কিন্তু বিষয়টি সহজভাবে নিতে পারছেন না বাংলাদেশের টেস্ট ও টি২০ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তার মতে বিপিএল খেলোয়াড় তৈরির ক্ষেত্র হতে পারে না। সেজন্য লেগস্পিনারদের বরং প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটেই বেশি বেশি বোলিং করে নিজেকে তৈরি করতে হবে বলে মনে করছেন সাকিব। এবার চলমান এনসিএলের দ্বিতীয় রাউন্ড শুরু হতেই বড় ধরনের একটি অযাচিত ঘটনা ঘটে যায়। দ্বিতীয় রাউন্ডে ঢাকা বিভাগের কোচ জাহাঙ্গীর আলম ও রংপুর বিভাগের কোচ মাসুদ পারভেজ একাদশে লেগস্পিনার না নেয়ার জন্য বরখাস্ত হন। অর্থাৎ এবার লেগস্পিনার বের করে আনতে বেশ উঠেপড়েই লেগেছে বিসিবি। তাছাড়া কিছুদিন আগে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও এ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সর্বশেষ বাংলাদেশ দলে স্বীকৃত লেগস্পিনার হিসেবে খেলেছেন জুবায়ের হোসেন লিখন। কিন্তু মোটামুটি ভাল পারফর্ম করলেও ছিটকে যান তিনি। এরপর এমনকি ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের লিস্ট ‘এ’ আসরেও দল পাননি, বিপিএলে খেলার সুযোগ হয়নি। জাতীয় দলের একজন লেগস্পিনারের এমন পরিণতিতেই মূলত এখন বিসিবি সিরিয়াস হয়েছে। তাই এবার বিপিএলে প্রতি দলেই একজন লেগস্পিনার রাখা, তাকে খেলানো এবং পুরো ৪ ওভার বোলিং করানোর কঠোর সিদ্ধান্ত দিতে যাচ্ছে বিসিবি। তবে এমন নিয়মের পুরোপুরি বিরোধিতা করছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব। তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি লেগস্পিনারদের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অনেক বেশি বেশি বোলিং করে আত্মবিশ্বাস ও বোলিংয়ে ধারাবাহিকতা অর্জন করতে হবে। বিপিএল আন্তর্জাতিক মানের একটি প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্ট। সেখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চিত্রটাই আসলে মোকাবেলা করতে হয়। বিদেশী ক্রিকেটারদের সঙ্গে ড্রেসিং রুমে থাকতে হয়। তাই এটাকে আমার খেলোয়াড় তৈরির জায়গা বলে মনে হয় না।’ বাংলাদেশের ক্রিকেটে যুগে যুগেই বিশ্বমানের বাঁহাতি স্পিনার দেখা গেছে। কখনও ফিঙ্গার স্পিনারদের কোন ঘাটতি দেখা যায়নি বাংলাদেশে। কিন্তু একইভাবে রিস্ট স্পিনার সেভাবে পায়নি বাংলাদেশ দল। তাই লেগস্পিনারদের তেমন দেখা যায় না। দুয়েকজন লেগস্পিনার প্রতিশ্রুতিশীল হয়ে উঠলেও পর্যাপ্ত সুযোগের অভাবেই হারিয়ে যান। কারণ বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে বাঁহাতি স্পিনাররাই সবসময় সফলতম ভূমিকায় থাকেন। এ বিষয়ে সাকিব বলেন, ‘অনেক বছর ধরেই আমরা জাতীয় দলের জন্য কোন লেগস্পিনার পাচ্ছি না। কিন্তু হুট করেই আমরা বিপিএলে ৭ জন লেগস্পিনারকে (৭ দলের জন্য) নেয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এই সিদ্ধান্তটি কিছুটা আশ্চর্যজনকই। কিন্তু আমি এখনও বলব যে বোর্ড যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা ভাল কিছুর চিন্তাতেই নিয়েছে।’
×