ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চিকিৎসক হবার স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে নিপুর

প্রকাশিত: ০২:৩৭, ২০ অক্টোবর ২০১৯

চিকিৎসক হবার স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে নিপুর

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ মেধাবী নিপু বিশ্বাসের ফিকে হয়ে আসা চিকিৎসক হবার স্বপ্ন এবার সত্যি হতে চলেছে। অর্থ সংকটে যখন তার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন ভঙ্গ হতে চলেছে, ঠিক সেসময়ে সহায়তার হাত বাড়ানো হলো। অদম্য মেধা নিয়ে মেডিক্যাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় থাকলেও পড়তে পারবেন কি না; তা নিয়ে দুশ্চিন্তার অবসান ঘটল। কারণ নিপুর মেডিক্যালে পড়ার সব ব্যয় বহনের দায়িত্ব নিয়েছেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন চাকলাদার। যশোর সদরের কনেজপুর গ্রামের রণজিৎ বিশ্বাস ও সাগরিকা বিশ্বাসের ছেলে নিপু বিশ্বাস এবছর এইচএসসি পরীক্ষায় যশোর সরকারি এমএম কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। মোট ১৩শ’ নম্বরের ১ হাজার ৯৮ পরীক্ষায় পান তিনি। নিপু এসএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ পেয়েছিল। যশোর সদরের ডাকাতিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১২শ’ নম্বরের মধ্যে নিপু পেয়েছিল ১১শ’ ৭৫ নম্বর। চিকিৎসক হবার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রাইভেট পড়ানো আর মানুষের অনুদানের টাকায় দু’একমাস কোচিংও করেন। মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণও হন। খুলনা মেডিক্যাল কলেজের মেধা তালিকার তার নাম এসেছে অগ্রভাগেই (১৭৫৩)। মেডিকেল কলেজে লেখাপড়া করে চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবেন এমন স্বপ্ন বুকে নিয়েই মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন নিপু বিশ্বাস। গত মঙ্গলবার রাতে ফলাফল জানার পর আনন্দে আত্মহারা হন নিপু। কিন্তু নিমেষেই সেই সুখানুভূতি হারিয়ে তার চোখেমুখে ফুঁটে ওঠে দুশ্চিন্তার ছাপ। কারণ ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান হলেও দারিদ্র্যের বাধা অতিক্রম করে মেডিকেলে ভর্তি হওয়াটা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। ফলে স্বপ্ন ফিকে হয়ে যেতে থাকে। ঋষি পরিবারের সন্তান নিপু বিশ্বাসের বাবা রণজিৎ বিশ্বাস বাঁশের ঝুড়ি তৈরি করে সংসার চালান। প্রতিদিন তার আয় মাত্র ২/৩শ’ টাকা। এই আয়ে পরিবারের ৪ জনের সংসার কোনোরকম চলে। খবরটি জানতে পেয়ে শাহীন চাকলাদার সাহায্যে এগিয়ে আসেন। তিনি নিপুকে তার কাছে ডেকে নেন। মেডিকেল কলেজে ভর্তিসহ তার লেখাপড়ার যাবতীয় খরচ বহনসহ চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে সবসময় নিপুর পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।
×