ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

মোস্তাফা জব্বার

ডিজিটাল প্রযুক্তি মেলায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৮:৩৪, ২১ অক্টোবর ২০১৯

  ডিজিটাল প্রযুক্তি মেলায় বাংলাদেশ

২০১৮ সালে বার্সিলোনার বিশ্ব মোবাইল কংগ্রেস আমাদের ৫জিসহ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স, বিগ ডাটা, ব্লক চেইন ইত্যাদি নিয়ে বিশ্বের সেরা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার সুযোগ তৈরি করে দেয়। বিশেষ করে চীনা কোম্পানিগুলো এবং ৫জির প্রতি সারা দুনিয়ার ঝোঁক আমাদের পুরো ভ্রমণ কালটাকেই আপ্লুত করে তোলে। তবে, আমরা কেবল চীনাদের দিকেই তাকিয়ে থাকিনি। বরং চীনাদের পাশাপাশি এরিকসন, ই-ডটকো, কোয়ালকম, নোকিয়া ইত্যাদি কোম্পানির সঙ্গেও আমরা প্রযুক্তি নিয়ে কথা বলেছি। একই সঙ্গে আমরা কথা বলি আইটিইউর মহাসচিব হাওলিন ঝাও এবং জিএসএমএ ও সবার জন্য ইন্টারনেট ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। আনন্দের বিষয় ছিল বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান রিভ সিস্টেমসের স্টল দেখা। প্রযুক্তির অসাধারণ আলোচনার মাঝে স্থাপত্যের এক উজ্জ্বল আলো, যার নাম গাউডির গির্জা, সত্যিকারভাবেই আমাদের মুগ্ধ করে। এরিকসনের প্যাভিলিয়নে : দুপুর বারোটার দিকে বৈঠক হলো এরিকসনের সঙ্গে। তারা দেখাল তাদের ৫জি প্রযুক্তি। এর আগে ৫জি প্রযুক্তির চমৎকারিত্ব আমরা হুয়াওয়ের স্টলে দেখে এসেছি। এরিকসন হুয়াওয়ের আমেজটাকে অতিক্রম করতে পারল না। আমরা প্রায় সবাই অনুভব করলাম যে, এরিকসনকে অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে। বস্তুত এরিকসনের সঙ্গে আমাদের তেমন কোন ইস্যু ছিল না। তাই লম্বা আলোচনারও প্রয়োজন হয়নি। ই-ডটকো : দুপুর সোয়া দুটোয় দেখা হলো ই-ডটকো নামক একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। তারা বাংলাদেশে মোবাইলের টাওয়ার বানায়। এটি মালয়েশীয় প্রতিষ্ঠান, এক্সিয়াটার। বাংলাদেশের রবি তাদের সহযোগী। এবার টাওয়ার নিলামে চারটি কোম্পানি যে লাইসেন্স পেয়েছে, তাতে ই-ডটকোও একটি। তারা সরকারের সহযোগিতার আশ্বাস চাইল। আইটিইউর মহাসচিব হাওলিন ঝাওয়ের সঙ্গে সভা : আইটিইউ বা আন্তর্জাতিক টেলিকম ইউনিয়নের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক পুরনো। সেই ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংস্থাটির সদস্যপদ গ্রহণ করেন। বস্তুত এই সংস্থাটি সারা বিশ্বের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার প্রাণকেন্দ্র। সেই ফিক্সড ফোনের যুগ থেকে ৫জি পর্যন্ত সকল কিছুই এই সংস্থাকে ঘিরে আবর্তিত হয়। ফলে এই সংস্থার মহাসচিব হাওলিন ঝাওয়ের সঙ্গে বৈঠক করাটা টেলিকম মন্ত্রী ও সঙ্গীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরের দুটি মিটিংও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিকেল সাড়ে তিনটায় আইটিইউর মহাসচির হাওলিন ঝাওয়ের সঙ্গে বৈঠক হলো। ঝাও বাংলাদেশের এক অকৃত্রিম বন্ধু। তিনি বাংলাদেশ সফরও করেছেন। আমাদের ডিজিটাল রূপান্তর তার কাছে অন্য যে কোন দেশের জন্য অনুকরণীয় বলে জানালেন তিনি। আমরা তখন ভেবেছিলাম যে, আইটিইউতে নির্বাচন করব। আমাদের ইচ্ছার কথা জেনেই ঝাও বাংলাদেশকে সমর্থন প্রদানের আশ্বাস দিলেন। বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের ব্যাপক প্রশংসা করলেন তিনি। জিএসএমএর সঙ্গে বৈঠক : বিকেল পৌনে পাঁচটার বৈঠকটি ছিল জিএসএমএর সঙ্গে। সভায় এঝগঅ-এর এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান, উপদেষ্টাগণ এবং সিনিয়র পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আমার নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিগণ দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। জিএসএমএ বরাবরই মোবাইল অপারেটরদের সপক্ষে কথা বলে। বস্তুত এটি অপারেটরদের বিশ্ব সমিতি। বাংলাদেশের নিয়মনীতি, স্পেক্ট্রাম, দাম ও অন্যান্য বিষয় তাদের আলোচনায় ছিল। জিএসএমএ প্রতিনিধিগণ Earnest & Young (E&Y) নামক ট্যাক্স এডভাইজরি ফার্ম কর্তৃক সম্পন্ন তাদের অনুমোদিত ট্যাক্স স্টাডি রিপোর্ট এবং মোবাইল ফর ডেভেলপমেন্ট ন্যাশনাল ডায়ালগ সম্পর্কিত বাংলাদেশের প্রতিবেদনে প্রকাশ করার পরিকল্পনার বিষয়েও আলোচনা করেন। এ ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক সভায় ৪এ অকশন, ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং, ইএমএফ রেডিয়েশন এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল আইডি প্রদানের ক্ষেত্রে ব্লক চেইন প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এর মধ্য দিয়েই আমাদের সময় কেটে যায়। মেলা থেকে বের হয়ে সবাই মিলে রাতের খাবার গ্রহণ করা ছাড়া আর কোন কাজে মনোযোগী হওয়ার উপায় ছিল না আমাদের। পুরো দিনের ধকল শেষে শান্তির ঘুমে রাত পার হলে সকালে নাশতা সেরে পরের দিনটা শুরু হলো বিকেলে, বেলা আড়াইটায়। সবার জন্য ইন্টারনেট : ২৮ তারিখ বসি আমরা সবার জন্য ইন্টারনেট নিয়ে আলোচনা করতে। Alliance for Affordable Internet (A4AI)-এর সঙ্গে অনুষ্ঠিত এই সভায় অ৪অও এবং তার উচ্চ পর্যায়ের পলিসি পার্টনারগণ অ৪অও লক্ষ্য/উদ্দেশ্য জাতীয় পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়। এ ছাড়াও ২০১৭ সালে Alliance for Affordable Internet-এর প্রভাব এবং ২০১৮ সালের কর্মপরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে ঢাকায় বসেও একবার আমার সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। তাই আমরা বিষয়টিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছিলাম। বস্তুত আমার ভাবনার সঙ্গে এই ভাবনাটির দারুণ মিল আছে। আমি নিজে বিশ্বাস করি, দুনিয়াটা ইন্টারনেটের। আগামীতে এটি আরও বেশি ইন্টারনেটনির্ভর হবে। সেই ইন্টারনেট সকলের কাছে পৌঁছাতে হবে এবং সকলের ক্রয়ক্ষমতার মাঝে এর মূল্য থাকতে হবে। এই আলোচনার পর পরই আমরা চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান জেডটিইর সঙ্গে আলোচনায় বসি। কোয়ালকম ও নোকিয়া : কোয়ালকম আর নোকিয়ার সঙ্গে বসার আগে আমরা চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান জেডটিইর সঙ্গে বসি। আমরা কোয়ালকম এবং নোকিয়ার সঙ্গে প্রধানত ৫জি প্রযুক্তি বিষয়ে কথা বলি। যেহেতু পুরো মেলাতেই আলোচ্য বিষয় ছিল ৫জি এবং প্রদর্শনীর মূল কেন্দ্রটাও ছিল ৫জি, সেহেতু ওরাও তাতেই আগ্রহী ছিল। বস্তুত তাদেরকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করাটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল। কোয়ালকম তাদের আগ্রহ প্রকাশ করে। নোকিয়া বাংলাদেশের টেলিকম খাতে আগে থেকেই কাজ করছিল। ফলে ৫জি তাদের আকর্ষণের জায়গায় অবস্থান করে। একখন্ড বাংলাদেশ : দিনের শেষ কর্মসূচীটি ছিল বাংলাদেশের একমাত্র তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রিভ সিস্টেমের স্টল দেখা। বেশ কিছুটা পথ হেঁটে রিভ সিস্টেমের স্টলে গিয়ে এর মালিক স্নেহভাজন রেজাকে পেলাম। রেজা বস্তুত বিশ্ব মোবাইল মেলায় একখন্ড বাংলাদেশ। অন্যরা যখন দলবেঁধে প্যাভিলিয়ন তৈরি করে তখন আমাদের কেবল রিভ সিস্টেম ছাড়া আর কাউকেই আমরা পাইনি। রেজা আমাদের তার অভিজ্ঞতার বিবরণ দিলেন। খুশির খবর হলো যে, এই মেলা থেকে তারা সারা বিশ্বে গ্রাহক সংগ্রহ করতে পারে। ’১৮ সালের অভিজ্ঞতাও চমৎকার জানিয়ে রেজা বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারল বলে গর্বিত, সেই কথাটি জানাল। রিভ সিস্টেম বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির সফলতার এক বিশাল দৃষ্টান্ত। বিশ্বের অনেক মোবাইল অপারেটর তাদের সফটওয়্যার ব্যবহার করে। তাদেরই আছে এ্যান্টি ভাইরাস সফটওয়্যার। আমরা জানি যে, আয়ারল্যান্ডের পুলিশও রিভ এ্যান্টি ভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করে। রেজাকে বুকে নিয়ে ধন্যবাদ দিয়ে আমরা মেলা ছেড়ে হোটেলের পথে রওনা দিই। প্রাসঙ্গিকভাবে এই কথাটিও বলা দরকার যে, আমাদের প্রতিনিধি দলটি ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের একটি প্রতিনিধি দল বিশ্ব মোবাইল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিল। তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলকের নেতৃত্বে¡ সফররত প্রতিনিধি দলটিকে আমরা মেলায় ২/১ বার দেখেছি। তবে, একবার তথ্যপ্রযুক্তি সচিবকে আলোচনায় পাওয়া ছাড়া তাদের কর্মসূচীগুলো আলাদাই ছিল। আমাদের দলটির একটি বড় আকাক্সক্ষা ছিল বাঙালী খাবার খাওয়ার। আমাদের সেই স্বপ্নও পূরণ হয়েছিল। বাংলাদেশের বাঙালীদের হোটেলেই আমাদের খানাপিনা হয়েছে। অবাক করার বিষয় ছিল মেলার ব্যবস্থাপনা। এই বিপুলসংখ্যক মানুষের ব্যবস্থাপনায় চিহ্নিত করার মতো কোন ত্রুটি আমরা খুঁজে পাইনি। ভিভিআইপি গাড়ি পার্কিং হোক আর চেক ইন হোক, কিংবা হোক চা-কফির ব্যবস্থা, কোথাও কোন খুঁত খুঁজে পাইনি। গাউডির গির্জা : বার্সিলোনা অবস্থানকালে আমাদের একমাত্র দর্শনীয় স্থান ছিল এ্যান্থনি গাউডির গির্জা। সাগ্রাডা ফেমিলিয়া নামে গির্জাটি পরিচিত। এটি এখন ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য অঞ্চল। গির্জাটির স্থাপত্য নক্সা করেছিলেন কাতালুনিয়ান স্থপতি এন্থনি গাউডি (১৮৫২-১৯২৬)। ১৮৮২ সালে ফ্রান্সিস্কো ডি পলা দেল ভিলার নেতৃত্বে গির্জার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তবে ১৮৮৩ সালেই গাউডি এর প্রধান স্থপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। গির্জার নির্মাণ কাজ কেবলমাত্র ব্যক্তিগত দানে চলতে থাকে। স্পেন যুদ্ধে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৯৩৬ সালে বিদ্রোহীরা এতে আগুন লাগিয়ে দেয়। সেই আগুনের ক্ষত মেরামত করতে ১৬ বছর সময় লেগে যায়। বলা হয়ে থাকে যে, ২০১০ সালে গির্জার অর্ধেক কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং ’২৬ সাল নাগাদ এর কাজ শেষ হবে। ’২৬ সালে গাউডির মৃত্যুর শতবর্ষ পালিত হবে। গির্জাটি দেখতে পারা একজন সৃজনশীল মানুষের জন্য এক বিশাল পাওনা। শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির পাশাপাশি স্থাপত্য বিদ্যার এমন অপূর্ব সমন্বয় দুনিয়ার আর কোথাও আছে কিনা, সন্দেহ আছে। আমার নিজের কাছে মনে হয়েছে, এমন একটি অভূতপূর্ব সৃষ্টি আমি আর কখনও দেখিনি। তখন অবশ্য বার বার আমার মনে হয়েছে ছোট মেয়ে তন্বীর কথা। সে স্থাপত্য বিদ্যায় সর্বোচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেছে। তার দেখা উচিত ছিল এই অসাধারণ স্থাপত্যটি। এটি দেখার জন্য দলবেঁধে মানুষ আসে। কাকতালীয় হলেও এটি অদ্ভুত যে, আগন্তুকদের বেশিরভাগই তরুণ-তরুণী। কেউ বার্সিলোনা গেলে গাউডির গির্জা না দেখে আসবেন না। আমি নিশ্চিত, দুনিয়ার আর কোথাও এর কোন বিকল্প নেই। পরদিন আমরা বার্সিলোনা ছেড়ে আসি। মাত্র কয়েকটি দিনের ব্যস্ততম কর্মকা-, অভাবনীয় মতবিনিময়, জ্ঞান বিনিময় এবং নিজের চোখে বিশ্বের নবীনতম প্রযুক্তি দেখার পুরো বিষয়টাই ছিল স্মরণীয়। আমার জন্য পুরো বিষয়টিই ছিল ভাবনারও অতীত। এত অল্প সময়ে এত গুরুত্বপূর্ণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করার চাইতেও চোখের সামনে দেখতে পাওয়া যে, রোবট কেমন করে সরাসরি কাজে লাগে বা উচ্চ গতির ইন্টারনেট মানুষকে কতভাবে সেবা দিতে পারে কিংবা কেমন করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে জনকল্যাণে ব্যবহার করা যায়; তা আর যাই হোক ঘরে বসে ইন্টারনেট ঘেটে আয়ত্ত করা যায় না। বার্সিলোনার সেই স্মৃতি বহুদিন অমলিন থাকবে কেবলমাত্র মোবাইল বিশ্ব কংগ্রেস এর জন্য নয়, বরং গাউডির গির্জা এবং পরিচ্ছন্ন, অপরূপা এক নগরীর স্মৃতির জন্যও। যদিও শহরটির অনেক কিছুই দেখার সুযোগ আমাদের হয়নি, তথাপি যে এল প্যালেস হোটেলটিতে ছিলাম, তার অসাধারণ আতিথেয়তা এবং কাতালানবাসীর মার্জিত, অমায়িক আচরণ মনে রাখতেই হবে। সেবারই স্থির করেছিলাম যে, এর পরেরবারও আবার আসব বার্সিলোনার বিশ্ব মোবাইল কংগ্রেস দেখতে। কারণ সঠিকভাবেই ধারণা করেছিলাম যে, পরের বছর প্রযুক্তির পূর্ণতা আরও সমৃদ্ধ হবে। বস্তুত সেটাই দেখেছি ’১৯ সালে। ঢাকা ॥ ২৫ জুলাই ’১৮, সর্বশেষ আপডেট ২৫ আগস্ট ’১৯ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাসের চেয়ারম্যান- সাংবাদিক, বিজয় কী-বোর্ড ও সফটওয়্যারের জনক
×