ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘ইরানের শত্রুরা গোয়েন্দা শক্তির প্রখরতা উপলব্ধি করেছে’

প্রকাশিত: ২৩:৫৭, ২১ অক্টোবর ২০১৯

‘ইরানের শত্রুরা গোয়েন্দা শক্তির প্রখরতা উপলব্ধি করেছে’

অনলাইন ডেস্ক ॥ ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র কমান্ডার-ইন-চিফ মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি বলেছেন, ইরানের ইসলামি সরকার বিরোধী রাষ্ট্রদ্রোহী গণমাধ্যম ‘অমাদনিউজ’র প্রধানকে আটকের ঘটনায় আরেকবার আইআরজিসি’র গোয়েন্দা শক্তির প্রমাণ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি তিনি তেহরানে এক বক্তৃতায় এ মন্তব্য করেন। অমাদনিউজের প্রধানকে আটকের ঘটনায় ইরানি জনগণ বিপুলভাবে আইআরজিসি’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে উল্লেখ করে জেনারেল সালামি বলেন, আইআরজিসি’র গোয়েন্দা বাহিনী আরেকবার শত্রুর ঘরের মধ্যে ঢুকে তার বিরুদ্ধে শক্ত আঘাত হেনেছে এবং নিজের শক্তিমত্তা প্রদর্শন করেছে। আইআরজিসি’র প্রধান কমান্ডার ইরানের সরকার ও জনগণকে উদ্দেশ করে বলেন, এই গ্রেফতারের মধ্যদিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ চালানোর অন্যতম ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অমাদনিউজ সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর হাতিয়ার হিসেবে ইরানের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা ও গুজব সৃষ্টি করে জনগণকে রাজপথে সহিংস বিক্ষোভে জড়িয়ে পড়তে উসকানি দিচ্ছিল। এ ছাড়া, এই রাষ্ট্রদ্রোহী গণমাধ্যম দেশ পরিচালনায় ইরান সরকারের সক্ষমতা সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি ও হতাশা সৃষ্টি করে আসছিল। জেনারেল সালামি বলেন, কিন্তু গণমাধ্যমটির প্রধানকে আটকের ফলে সাম্রাজ্যবাদীদের ষড়যন্ত্র নস্যাত হয়েছে এবং এই আটকের ঘটনায় ইরানের গোয়েন্দা শক্তির কাছে পশ্চিমা গোয়েন্দা বাহিনীগুলোর পরাজায় ঘটেছে। আইআরজিসি গত সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাতে এক বিবৃতিতে জানায়, “ইরানের শত্রুদের প্রচার যন্ত্রের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসা ‘অমাদ নিউজ’র পরিচালক রাষ্ট্রদ্রোহী রুহুল্লাহ জামকে স্মার্ট গোয়েন্দা অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে।” বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “জামকে আটকের ঘটনায় ইরানের গোয়েন্দা শক্তির কাছে পশ্চিমা গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের পরাজয়ের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।” তবে ফ্রান্সের গোয়েন্দা বাহিনীর নিরাপত্তা বলয়ে থাকা এই ব্যক্তিকে কীভাবে কোন দেশ থেকে ধরে আনা হয়েছে সে রহস্য উন্মোচন করেনি আইআরজিসি। ইরানি নাগরিক রুহুল্লাহ জাম ২০০৯ সালে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় উসকানি দেয়ার দায়ে গ্রেফতার হয়েছিল। তবে পরে আদালত তাকে জামিনে মুক্তি দেয়। মুক্তি পেয়ে সে ইরান থেকে মালয়েশিয়ায় চলে যায় এবং সেখান থেকে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে গিয়ে ইরান-বিদ্বেষী অপপ্রচার শুরু করে। ফ্রান্সের নিরাপত্তা বাহিনী তার নিরাপত্তার পুরো দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল।
×