ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

৯ নতুন অতিরিক্ত বিচারপতির শপথ

প্রকাশিত: ০৯:৪০, ২২ অক্টোবর ২০১৯

৯ নতুন অতিরিক্ত বিচারপতির শপথ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ পাওয়া ৯ নতুন অতিরিক্ত বিচারপতি শপথ নিয়েছেন। সোমবার সুপ্রীমকোর্ট জাজেস লাউঞ্জে তাদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার গোলাম রব্বানী। এর আগে গত রবিবার হাইকোর্ট বিভাগে ৯ অতিরিক্ত বিচারক নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। এদিকে বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে সুপ্রীমকোর্ট বারে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন বারের সভাপতি ও সম্পাদক। রবিবার নয় বিচারপতি নিয়োগ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৯৮ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে তাদের শপথ গ্রহণের দিন হতে অনধিক দুইবছরের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ নিয়োগ শপথ গ্রহণের দিন থেকে কার্যকর হবে। নতুন নিয়োগ পাওয়া অতিরিক্ত বিচারপতিরা হলেন, পিআরএলভোগরত জেলা ও দায়রা জজ মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলাম, পিআরএলভোগরত জেলা ও দায়রা জজ শাহেদ নূরউদ্দিন, সুপ্রীমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. মোঃ জাকির হোসেন, ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিশেষ জজ-৫ ড. মোঃ আখতারুজ্জামান, সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী মোঃ মাহমুদ হাসান তালুকদার, সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী কাজী ইবাদত হোসেন, ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল কে এম জাহিদ সারওয়ার, সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী একেএম জহিরুল হক এবং ডেপুটি এ্যাটর্র্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক। বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে বারে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ॥ নয় বিচারপতি নিয়োগকে কেন্দ্র করে সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদক পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে। সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাজা দেয়ায় দুই বিচারককে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি পদে নিয়োগ দিয়ে সরকার পুরস্কৃত করেছে। সোমবার দুপুর দেড়টায় সুপ্রীমকোর্ট বারের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। এ সময় সুপ্রীমকোর্ট বারের সহ-সম্পাদক শরীফ ইউ আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য কাজী আকতার হোসেন এবং ওসমান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে এ সংবাদ সম্মেলনের কিছুক্ষণ পরই সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন বলেছেন, কারও বিরুদ্ধে রায় দিলে একজন বিচারক খারাপ হয়ে গেলেন, এ ধরনের মনোভাব ঠিক নয়। একজন বিচারক অনেক রায় দেন, দুই-একটি রায় নিয়ে প্রশ্ন তোলা অযৌক্তিক। কোন রায়ে ক্ষুব্ধ হলে উচ্চতর আদালত আছে। কিন্তু রায় বিরুদ্ধে গেলে আইনজীবী হিসেবে কথা বলা কাম্য নয়। আমি জানি না তিনি (মাহবুব উদ্দিন খোকন) বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কিছু বলেছেন কি না, যদি বলে থাকেন তাহলে আমি নিশ্চিত রাজনীতিবিদ হিসেবে এ কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, তিনি (মাহবুব উদ্দিন খোকন) নবনিযুক্ত বিচাপতিদের সংবর্ধনা দিয়েছেন। যে দুইজনকে সংবর্ধনা দেননি তারা যেহেতু নেত্রীর বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন সেহেতু এটা দেননি। উনারা রায়ের বিরুদ্ধে আপীল করেছেন। আমার মনে হয় না বিচারকের বিরুদ্ধে বলা আইনজীবীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। সভাপতির কক্ষে এ এম আমিন উদ্দিন এসব কথা বলেন। তার সঙ্গে ছিলেন সুপ্রীমকোর্ট বারের জ্যেষ্ঠ সহ-সম্পাদক কাজী শামসুল হাসান শুভ ও নির্বাহী সদস্য চঞ্চল কুমার বিশ্বাস।
×