ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘ভাইরে মেম্বরিত কিছুই নাই, খালি বদনাম’

প্রকাশিত: ১২:১১, ২২ অক্টোবর ২০১৯

‘ভাইরে মেম্বরিত কিছুই নাই, খালি বদনাম’

সংবাদদাতা, নান্দাইল, ময়মনসিংহ, ২১ অক্টোবর ॥ উপজেলায় দুই ইউপি সদস্য কর্মসংস্থানের উদ্দেশে প্রবাসে অবস্থান করছেন। এ অবস্থায় দুটি ওয়ার্ডে কাজ চালাচ্ছেন বড় ভাই। আরেক ইউপি সদস্য দেশে থেকেও দুই বছর ধরে বসবাস করছেন পাশের আরেক উপজেলায়। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন স্থানীয় মানুষজন। জানা গেছে, বিদেশ পাড়ি দেওয়া দুই ইউপি সদস্যের একজন হচ্ছেন মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আশ্রাব আলী রিপন। নির্বাচনের এক বছরের মাথায় তিনি বাসের হেলপারের কাজ নিয়ে চলে যান ঢাকায়। সেখানে গিয়ে এলাকার সঙ্গে খুব একটা যোগাযোগ রাখতেন না। এ অবস্থায় সদস্যপদ রক্ষা করতে ও এলাকার চাপের মুখে মাঝে মধ্যে পরিষদের মাসিক সভায় যোগ দিতেন। তখন খোঁজ নিলে ওই ইউপি সদস্য বলেছিলেন ‘ভাইরে মেম্বরিত কিছুই নাই, খালি বদনাম।’ তবে এলাকার লোকজন জানিয়েছিলেন ব্যাপক ঋণের কারণেই তিনি এলাকা ছেড়েছেন। এ ঘটনার কিছুদিন পরই তিনি ফের লাপাত্তা হয়ে যান। খোঁজ নিলে জানা যায়, ইউপি সদস্য রিপন স্থায়ীভাবে মালয়েশিয়া পাড়ি দিয়েছেন। এ বিষয়ে মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক ওই ইউপি সদস্য বিদেশ যাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, দশমাস নয় চারমাস ধরে অনুপস্থিত রয়েছেন। বিষয়টি তিনি ইউএনওকে জানিয়েছেন বলে দাবি করেন। অন্যদিকে নান্দাইল সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খোকন মিয়া প্রায় চারমাস আগে কর্মের জন্য সৌদি আরবে চলে গেছেন। এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বড় ভাই শহিদুল ইসলাম কাজল। তিনি বলেন, তিনি(ভাই) তো বেড়াইতে গেছেন। সেই সঙ্গে ওমরাহ হজও করবেন। কয়েকমাস থেকে আবার চলে আসবেন। জনগণের ক্ষতি হচ্ছে কিনা না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার কাজটা আমিই চালাচ্ছি। এজন্য সমস্যা হচ্ছে না। এ বিষয়ে নান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক আনোয়ার বলেন, ওই ইউপি সদস্য ওমরাহ হজ ও বেড়ানোর জন্য তিন মাসের ছুটির আবেদন দিয়ে গেছেন। অপরদিকে ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মোমেন প্রায় দুই বছর ধরে এলাকায় বসবাস করছেন না। তিনি পাশের গফরগাঁও উপজেলার থানা কোয়ার্টারে ছেলের সংসারে বসবাস করেন। ছেলের স্ত্রী ওই থানার কনস্টেবলের চাকরি করে। তিনি বলেন, কি করব ভাই, প্রয়োজন মতো বরাদ্দ না পাওয়ায় জনগণের সেবা করতে পারছি না। এ অবস্থায় এলাকায় থেকে কোন লাভ নেই। তবে পদত্যাগ করছেন না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সময় তো চইল্যাই গেছে। তাছাড়া মাসিক মিটিংয়ে তো যাই। এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রহিম সুজন জানান, ইউপি সদস্যদের অনুপস্থিতির কথা চেয়ারম্যানগণ বলেননি।
×