ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ভেঙেই গেল সিদ্দিক-মিমের সংসার

প্রকাশিত: ২৩:৩১, ২২ অক্টোবর ২০১৯

ভেঙেই গেল সিদ্দিক-মিমের সংসার

অনলাইন ডেস্ক ॥ প্রেমিক সিদ্দিকুর রহমানকে বিয়ে করতে স্পেন থেকে দেশে ফেরত আসেন মারিয়া মিম। পরে পরিবারের সম্মতিতেই সিদ্দিককে বিয়ে করেন তিনি। আট বছরের সংসারে তাদের একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে। তবে বেশ কয়েক মাস ধরেই তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। আলাদাও থাকছেন তারা। অবশেষে ব্যক্তি-স্বাধীনতায় বাধা দেয়া ও নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে ডিভোর্স দিলেন মারিয়া মিম। তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত শনিবার (১৯ অক্টোবর) ডিভোর্স পেপারে স্বাক্ষর করেন তিনি। ২৩ অক্টোবর ডিভোর্স পেপার সিদ্দিকের হাতে পৌঁছাবে। ডিভোর্সের ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিনেতা সিদ্দিক জানান, আমিও শুনেছি সে আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে। কিন্তু আমি এখনো ডিভোর্স লেটার পাইনি। আমার শ্যালক আমাকে বলেছে পরশুদিন নাকি লেটার আমার হাতে এসে পৌঁছাবে। লেটার না পাওয়া পর্যন্ত আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। এর আগে মিম সোমবার নিজের ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাসে সিদ্দিকের সঙ্গে সংসারের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানান। সেখানে তিনি লিখেছেন, আজ আমি একজন মেয়ে বলেই আমাকে সব কিছু মেনে নিতে হবে। মেনে নিতে হবে সকল অত্যাচার, সহ্য করতে হবে সকল মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন। শুনতে হবে সকল মিথ্যা অপবাদ। রাতের পর রাত, দিনের পর দিন সবকিছু সহ্য করেছি এবং একা একা কেঁদেছি। অনেক আগেই চেয়েছিলাম সম্পর্কটা শেষ করে দিই, তখনই বাধা দেওয়া হয়েছে কারণ তুমি একজন নারী। তোমার সবকিছু অ্যাডজাস্ট এবং স্যাক্রিফাইস করতে হবে। একটা মেয়ে তার সবকিছু ছেড়ে দিয়ে একটা নতুন মানুষের সাথে ঘর বাঁধে, স্বপ্ন দেখে সারা জীবন একসাথে থাকবে, স্বপ্ন দেখে সুন্দর একটা সংসার। কিন্তু সেই মানুষটা যখন বদলে যায় এবং ভুলে যায় স্ত্রীর প্রতি সমস্ত দায়িত্ববোধ এবং কর্তব্যবোধ তখন হতাশা আসে। কীভাবে একজন স্ত্রী মেনে নিতে পারে তার স্বামীর সাথে অন্য মেয়ের সম্পর্ক, কীভাবে মেনে নিতে পারে রাতের পর রাত স্বামীর বাসায় না ফেরা। কারণ সে একজন নারী এবং নারী বলেই সবকিছু চোখ বন্ধ করে সহ্য করতে হবে। কিন্তু আর কত সহ্য করবো, আর কতবার নির্যাতনের শিকার হব। তাই সবকিছুর পরে অনেক চিন্তা ভাবনা করে আমি ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেই। কারণ আমিও মানুষ, আমারও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। অবশেষে বাধ্য হয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের কাগজে স্বাক্ষর করে জমা দিয়েছি। একটা দীর্ঘদিনের বেদনা, কান্না এবং চাপা কষ্ট সবকিছু নিয়ে সিদ্দিকুর রহমানের সাথে আমি আমার সম্পর্ক ছিন্ন করেছি। উল্লেখ্য, দাম্পত্য জীবনের কলহের কারণে তিন মাস ধরে স্বামীর কাছ থেকে আলাদা থাকছেন মিম। অনেক কারণেই একজন আরেকজনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না। মিম চান শোবিজে কাজ করতে। কিন্তু সিদ্দিকের এতে আপত্তি। তিনি নানাভাবে তাকে বাধা দেন।সিদ্দিক। সম্প্রতি মডেলিং করতে না দেয়ার অভিযোগে সিদ্দিককে ডিভোর্স দেবেন বলে জানান মারিয়া মিম। তবে সিদ্দিকও চাননি সংসার ছেড়ে মডেলিং করুক মিম। অবশেষে ভেঙেই গেল তাদের সংসার।
×