ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার

প্রকাশিত: ১১:৩৫, ৯ নভেম্বর ২০১৯

 পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টেস্ট-ওয়ানডেতে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাওয়া পাকিস্তান টি২০তে ছিল বেশ ধারাবাহিক। যারই ফলশ্রুতিতে উঠে আসে র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে। কিন্তু ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ দলটি এবার ছোট্ট ফরমেটেও বড়সড় ধাক্কা খেল। ঘরের মাটিতে দুর্বল শ্রীলঙ্কার কাছে ৩-০তে ‘হোয়াইটওয়াশ’ হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়া সফরে হার ২-০ ব্যবধানে। পার্থে শুক্রবার তৃতীয় ও শেষ টি২০তে অসিদের কাছে ১০ উইকেটে হেরে গেছে বাবর আজমের দল। ৮ উইকেটে মাত্র ১০৬ রান করে সফরকারীরা। জবাবে ১১.৫ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় এ্যারন ফিঞ্চের অস্ট্রেলিয়া। ২/১৪- দারুণ বালিংয়ে প্রায় পাঁচ বছর পর দলে ফিরে ম্যাচসেরা শন এ্যাবট। হ্যাঁ সেই এ্যাবট যার বাউন্সারের আঘাতে অকালে মৃত্যুবরণ করেন ফিলিপ হিউজ। সিরিজসেরা স্টিভেন স্মিথ। দারুণ এ সাফল্যে টি২০ র‌্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়ার রেটিং পয়েন্ট ২৬৯, মাত্র ১ পয়েন্ট এগিয়ে শীর্ষে পাকিস্তান। ২১ নবেম্বর শুরু দুই টেস্টের সিরিজ। দলের অন্যতম সেরা পেসার প্যাট কামিন্সকে বিশ্রাম দিয়ে একাদশ সাজিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। বাকি পেসাররাই পাকিদের নাভিশ্বাস তুলে ছাড়েন। তৃতীয় ওভারেই মিচেল স্টার্ক ফেরান ইনফর্ম বাবর আজমকে। বাঁহাতি পেসারের পরের বলে বোল্ড মোহাম্মাদ রিজওয়ান। এরপর কেন রিচার্ডসন ও শন এ্যাবটও উইকেট শিকারে যোগ দিলে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় পাকিস্তান। ধুঁকতে থাকা দল এক শ’ পার হতে পারে ইফতিখার আহমেদের সৌজন্যে। আগের ম্যাচে ৬২ রানে অপরাজিত থাকা ব্যাটসম্যান এবার করেন ৩৭ বলে ৪৫ রান। দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেন আর কেবল ইমাম-উল হক (১৪)। অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান খুশদিল শাহ ফেরেন ৮ রানে। শেষ দুই ওভার থেকে পাকিস্তান নিতে পারে মাত্র ১ রান। এত অল্প পুঁজি নিয়ে কোন প্রতিরোধ গড়তে পারেনি পাকিস্তান। অনভিজ্ঞ বোলিং লাইনআপ ভোগাতে পারেনি ফিঞ্চ-ওয়ার্নারকে। ১৯ বছর বয়সী অভিষিক্ত পেসার মোহাম্মদ মুসা, আরেক ১৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ হাসনাইনের গতি ১৪০ কিলোমিটার পেরিয়েছে নিয়মিতই। কিন্তু ছিল না আর কোন স্কিল, ভাল ছিল না লাইন-লেন্থও। ৩৫ বলে ৪টি চার ও ২ ছক্কায় ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন ওয়ার্নার। বাউন্ডারিতে দলের জয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি ক্যারিয়ারের দশম ফিফটি পূর্ণ করেন ফিঞ্চ। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অপরাজিত থাকেন ৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ৩৬ বলে ৫২ রানে। ৫ বছর পর দলে ফিরেই দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচসেরা পেসার এ্যাবট। সিরিজে একটি মাত্র ইনিংসে অপরাজিত ৮০ রান করে সিরিজসেরা স্মিথ। এক পঞ্জিকাবর্ষে টি২০তে কোন ম্যাচ না হেরে সবচেয়ে বেশি ৭ জয়ের রেকর্ড গত বছর গড়েছিল আফগানিস্তান। এবার ৭ জয়ে আফগানদের পাশে ফিঞ্চের দল। স্কোর ॥ পাকিস্তান- ১০৬/৮ (২০ ওভার; ইমাম ১৪, বাবর ৬, রিজওয়ান ০, হারিস ৮, ইফতিখার ৪৫, খুশদিল ৮, ইমাদ ৬, শাদাব ১, আমির ৯*, হাসনাইন ৪*; স্টার্ক ২/২৯, এ্যাবট ২/১৪, রিচার্ডসন ৩/১৮, এ্যাগার ১/২৫)। অস্ট্রেলিয়া- ১০৯/০ (১১.৫ ওভার; ওয়ার্নার ৪৮*, ফিঞ্চ ৫২*; আমির ০/২৫, হাসনাইন ০/৩২, ইমাদ ০/১২)। ফল : অস্ট্রেলিয়া ১০ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা : শন এ্যাবট (অস্ট্রেলিয়া)। সিরিজ : তিন ম্যাচের টি২০তে অস্ট্রেলিয়া ২-০ ব্যবধানে জয়ী। সিরিজসেরা : স্টিভেন স্মিথ (অস্ট্রেলিয়া)।
×