ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘হাসিনা : আ ডটার’স টেল’ নির্মাণের নেপথ্য জানালেন রাদওয়ান

প্রকাশিত: ১২:২৭, ৯ নভেম্বর ২০১৯

‘হাসিনা : আ ডটার’স  টেল’ নির্মাণের নেপথ্য জানালেন রাদওয়ান

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ ঢাকা লিট ফেস্টের দ্বিতীয় দিনে প্রদর্শিত হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের অজানা-অদেখা নানা গল্প নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘হাসিনা : আ ডটার’স টেল’। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমিতে চলমান সাহিত্য উৎসবে অংশ নেয়া দেশী-বিদেশী লেখক, কবি ও সাহিত্যিকরা এই প্রামাণ্যচিত্র দেখেন। খবর বিডিনিউজের। প্রদর্শনী শেষে প্রামাণ্যচিত্রটির প্রযোজক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং এর নির্মাতা পিপলু খান নির্মাণ অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেন। অনেক আগে থেকে এমন একটা ‘ডকুফিল্ম’ তৈরির কথা ভাবা হচ্ছিল জানিয়ে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক বলেন, ‘জাতির পিতার পরিবারের সদস্য হিসেবে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখেছি, কিন্তু যখন তার সঙ্গে আমি, তিনি আমার খালা, খালার চেয়েও বেশি। কারণ পঁচাত্তরের ১৫ অগাস্ট ট্রাজেডিতে পরিবারের সদস্যদের হারানোর পর তিনিই আমার কাছে আমার নানা, নানি, মামা আর হারানো স্বজনদের প্রতিনিধিত্ব করেন। ‘একজন মানুষ হিসেবে তিনি অসাধারণ। তাকে আমরা টেলিভিশনে দেখি, অফিসিয়াল ইভেন্ট, পুরস্কার বিতরণে, বক্তৃতায় তাকে আমরা পাই। কিন্তু এই ডকুফিল্মে আমরা এমন জায়গায় যেতে চেয়েছি যেখানে তার সঙ্গে ক্যামেরা যায় না। তার লাইব্রেরি, তার পড়ার ঘর, রান্নাঘর।’ পাঁচ বছর ধরে ডকুফিল্মটি নির্মাণের সময় প্রধানমন্ত্রী ‘স্ক্রিপ্ট’ কোথায় জানতে চেয়েছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি বলেছিলাম কোন স্ক্রিপ্ট নেই। আপনিই আমাদের স্ক্রিপ্ট। আপনার ঘটনাবহুল জীবনই স্ক্রিপ্ট।’ রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক বলেন, ‘ডকুফিল্মে আপনারা শুনেছেন শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা আমাদের বাচ্চাদের মন খারাপ হবে এমন কিছু তাদের বলি না। ছোট বেলা থেকেই আমরা ১৫ অগাস্ট সম্পর্কে জানতে পারি। জাতির পিতার পরিবারের সদস্য হিসেবে আমি গর্ববোধ করি। ‘আমি মানুষকে শেখ হাসিনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে জানাতে চেয়েছি। তার জীবনকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।’ নির্মাতা পিপলু খান এই প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘আপা’ সম্বোধন করে তার কাজ শুরু করার কথা জানান। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে শ্যূটিংয়ের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, পরিবারের সদস্যরা ছাড়া এই বাড়িটিকে আমার চেয়ে বেশি কেউ এখন চেনে না। ‘কাজ করতে গিয়ে আমি পুরো বিষয়গুলো বোঝার চেষ্টা করেছি। বঙ্গবন্ধু যেভাবে টুঙ্গীপাড়া যেতেন সেভাবে যাওয়ার জন্য আমরা নৌকা ভাড়া করেছিলাম। শুধু জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের বোঝা না, পাশাপাশি বিপরীত বিষয়গুলোও আমাকে জানতে হয়েছে।’ নির্মাণ কাজে মিউজিককে গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি অনেক কবিতা পড়তে হয়েছে বলেও জানান তিনি। দেশী-বিদেশী কবি, সাহিত্যিক, লেখক, অনুবাদকদের বার্ষিক মিলনমেলা ‘ঢাকা লিট ফেস্ট’র নবম আসর শুরু হয় বৃহস্পতিবার। বাংলা একাডেমিতে তিন দিনের এই উৎসবে বাংলাদেশের বাইরে ১৮টি দেশের শতাধিক অতিথি অংশ নিয়েছেন।
×