ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পবিত্র ঈদ-ই- মিলাদুন্নবী উদযাপিত

প্রকাশিত: ১১:১৬, ১২ নভেম্বর ২০১৯

পবিত্র ঈদ-ই- মিলাদুন্নবী উদযাপিত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.)। রবিবার এ উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে মহানবীর জীবনী নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ব্যক্তি পরিবার ও সমাজ জীবনে মহানবীর আদর্শ অনুসরণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়াও মহানবীর জন্ম ও মৃত্যু দিবস ১২ বরিউল আওয়াল উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির আসকার ও ব্যক্তির ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দানখয়রাতও করা হয়। ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী সা. উপলক্ষে রবিবার বাদ আছর রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বঙ্গভবনের দরবার হলে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতি, প্রতিমন্ত্রী, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান, মুখ্য সচিব, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিক, সংসদ সদস্য, সিনিয়র সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং উর্ধতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গভবন জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা সাইফুল কবীর মিলাদ মাহফিল শেষে মোনাজাত পরিচালনা করেন। এ সময় দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি, জনগণের কল্যাণসহ মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর ঐক্য কামনা করে আল্লাহর দরবারে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এছাড়া ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী শহীদরা এবং বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করেও মোনাজাত করা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে শাহাদাৎবরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনা করেও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে ইসলামী ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে আয়োজন করা হয় পক্ষকাল ব্যাপী বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের। এ উপলক্ষে গত শনিবার থেকে শুরু করেছে ১৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা। এর মধ্যে রয়েছে ৯ থেকে ২৩ নবেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বাদ মাগরিব থেকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও মাসব্যাপী ইসলামী বইমেলা, ক্বিরআত ও হামদ-না’ত মাহফিলসহ ৬৪টি জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয়, র‌্যালি, ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল, মহানবীর (সা.) জীবনীর ওপর সেমিনার/আলোচনা সভা এবং স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য ইসলামিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে রবিবার সকালে মিরপুর মাজার শরীফ প্রাঙ্গণে আনজুমানে আছাদিয়া নূরীয়া সেহাবিয়া আয়োজন করে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী। পরে বের করে শোভাযাত্রা। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আলোচনা সভা করে বাংলাদেশ আঞ্জুমানে আশেকানে মোস্তফা (সা.)। পরে বের করে আনন্দ শোভাযাত্রা। রাজধানীর মোহাম্মদপুর নুরজাহান রোডে র‌্যালি করে সেহাবীয়া দরবার শরীফ। দাওয়াতুল ইসলাম বদরপুর দরবার শরীফের উদ্যোগে সদরঘাট মোড় থেকে বের করা হয় জশনে জুলুস। দাওয়াতুল ইসলাম বদরপুর দরবার শরীফের উদ্যোগে সদরঘাট মোড় থেকে বের করা হয় জশনে জুলুস। এদিকে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রং বেরংয়ের পতাকা দিয়ে সাজানো হয়। মোড়ে মোড়ে শোভা পায় ঈদ-ই-মিলাদুন্নবীর ব্যানার ফেস্টুন আর বিলবোর্ড। গত রবিবার ছিল পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) আরবী হিজরীর রবিউল আউয়াল মাসে ১২ তারিখে ইসলাম ধর্মের মহান প্রচারক হযরত মুহাম্মদ (সা.) মক্কার পবিত্র ভূমিতে জন্মগ্রহণ করেন। ৪০ বছর বয়সে আল্লাহ্র নিকট থেকে অহী প্রাপ্তির পর দীর্ঘ ২৩ বছরের চেষ্টা আর সাধনায় একটি আলোকিত সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। ৬৩ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
×