ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

চালক সিগন্যাল অমান্য করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনা

প্রকাশিত: ২৩:২০, ১২ নভেম্বর ২০১৯

চালক সিগন্যাল অমান্য করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনা

অনলাইন ডেস্ক ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখী আন্তঃনগর মহানগর তূর্ণা নিশিথা ও আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস দুটি ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট ও রেলওয়ে থেকে দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।সংশ্লিষ্টদের ধারণা, মন্দবাগ রেলস্টেশনের ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি চালকের ভুলের কারণেই ঘটেছে। মঙ্গলবার মন্দবাগ রেলস্টেশনের মাস্টার জাকির হোসেন চৌধুরী জানান, আউটার ও হোম সিগন্যালে লাল বাতি (সর্তক সংকেত) দেওয়া ছিল। কিন্তু তুর্ণার নিশীতার চালক সিগন্যাল অমান্য করে ঢুকে পড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। জেলা প্রশাসক হায়াৎ উদ-দৌলা খানও এ কথা জানিয়েছেন। ট্রেনের ভেতরে থাকা তুর্ণা নিশীতার যাত্রী কাজি ফজলে রাব্বি বলেন, উদয়ন এক্সপেস অন্য লাইনে ঢোকার আগেই বিপরীত দিক থেকে এসে তুর্ণা নিশীথা ধাক্কা দেয়। এতে তিনটি বগি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ সময় আমরা ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলাম। তাড়াতাড়ি করে ট্রেন থেকে নেমে পড়ি। উদয়ন এক্সপ্রেসের যাত্রী নুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের ট্রেনটি লাইন ক্রস করছিল। ওই সময় দ্রুত গতিতে এসে তুর্ণা নিশীথা ট্রেনটিকে ধাক্কা দেয়। আমি সামনের বগিতে থাকায় হতাহত হয়নি। পেছনে ঝ, ঞ, বগিসহ আরেকটি বগির যাত্রীরা বেশি আহত হয়। আমরা সবাই ট্রেন থেকে নেমে আহতদের উদ্ধার করার চেষ্টা করি। মন্দবাগ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মো. সালাম বলেন, আমরা গভীর রাতে হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পাই। ঘর থেকে বের হয়ে দেখি কান্নার শব্দ। এখানে সেখানে ছিটকে পড়ে আছে নারী, পুরুষ, শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষের মরদেহ। এলাকার সবাই বেড়িয়ে আহতদের উদ্ধার করার চেষ্টা করি। এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রেলওয়ে সচিব মোহাম্মদ মোফাজ্জল করিম, জেলা প্রশাসক হায়াৎ উদ দৌলা খান, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, ৬০ বিজিবি সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। দুর্ঘটনার পর ঢাকার সঙ্গে আখাউড়া হয়ে চট্টগ্রাম - ঢাকা ও আখাউড়া হয়ে চট্টগ্রাম - সিলেটসহ নোয়াখালীর রেলযোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
×