সংসদ রিপোর্টার ॥ প্রতিবেশী দেশ ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ রাখায় ও দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট না হওয়ায় পেঁয়াজের দাম কমছে না বলে জানিয়েছেন শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। তিনি আরো জানান, ভারত কর্তৃত পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দিল্ল¬ীস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মাশিয়াল কাউন্সিলের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যহত রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এতথ্য জানান। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে বাণিজ্য টিপু মুনশির অনুপস্থিতিতে তাঁরপক্ষে প্রশ্নোত্তরে অংশ নেন শিল্পমন্ত্রী। এসংক্রান্ত লিখিত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খান।
জবাবে মন্ত্রী আরো বলেন, দেশে বর্তমানে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২৪ লাখ মেট্রিক টন। গত বছর পেঁয়াজের উৎপাদন হয়েছিল ২৩ দশমিক ৩০ লাখ মেট্রিক টন। এরমধ্যে ৩০ শতাংশ সংগ্রহকালীন এবং সংরক্ষণকালীন ক্ষতি বাদ দিলে উৎপাদনের পরিমান দাড়ায় ১৬ দশমিক ৩১ লাখ মেট্রিক টন। উৎপাদিত পেঁয়াজ স্থানীয় চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট না হওয়ায় বিদেশ থেকে বিশেষ করে ভারত থেকে প্রতিবছর নিদিষ্ট পরিমান পেঁয়াজ আমদানী করতে হয়।
মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, সম্প্রতি ভারতের মহারাষ্ট্রে বন্যা হওয়ায় পেঁয়াজের ফলন ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে ভারত সরকার ১৩ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রফতানি মূল্য প্রতিটন ৮৫০ ডলার নির্ধারণ করেছে। আগে ভারতের রফতানি মূল্য ছিল ২৫০ থেকে ৩শ’ ডলার। এখন তা ৮৫০ ডলারে দাড়ানোর কারণে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।
তিনি আরো বলেন, একই সঙ্গে ভারতের স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয় ২৯ সেপ্টেম্বর। ফলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। পেঁয়াজের বাজার দর, মজুদ ও সরবরাহ চলমান রাখতে এবং আমদানি বৃদ্ধি ও কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি না করতে ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মিশর ও তুরস্ক হতে দ্রুত পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিশ্ব বাজারে রসুনের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়েছে যার ফলে রসুনের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।