ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা ॥ দায়ীদের শনাক্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রকাশিত: ১০:০৩, ১৩ নভেম্বর ২০১৯

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা ॥ দায়ীদের শনাক্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া জ্বর নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণ উদঘাটন ও দায়ীদের শনাক্তকরণে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে দুই ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) হারুনুর রশীদ ও কামালউদ্দীন আহমেদ এবং এক সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি) আল মামুন কোন কর্তৃত্ব বলে পদে আছেন তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চগুলো এ আদেশ প্রদান করেছে। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার জ্বর নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কারণ উদঘাটন ও দায়ীদের শনাক্তকরণে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মোঃ ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে হাইকোর্ট গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার কাজী মাইনুল হাসান। ঢাকা দক্ষিণ সিটির পক্ষে আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা, উত্তর সিটির পক্ষে ব্যারিস্টার তৌফিক এনাম টিপু শুনানি করেন। ঢাকার জেলা জজ ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম-সচিবকে এ বিষয়ে তদন্ত করতে বলেছে আদালত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক, আইসিডিআরবির একজন কর্মকর্তা, প্ল্যান প্রটেকশনের একজন কর্মকর্তা ও পাবলিক হেলথ বিভাগের একজন কর্মকর্তার মতামত নিতে হবে। এছাড়া এই কমিটি চাইলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যেকোন বিশেষজ্ঞ ব্যক্তির মতামত নিতে পারবেন। আদালতে শুনানির সময় প্রথমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান আদালতকে জানান, ডেঙ্গুতে এ বছরের ৬ নবেম্বর পর্যন্ত ১১২ জন মারা গেছেন। এর আগে গত ৬ নবেম্বর চলতি বছরে সারাদেশে ডেঙ্গুতে এ পর্যন্ত কতজন মারা গেছেন তার সংখ্যা জানতে চায় হাইকোর্ট। গত ২৬ আগস্ট ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও এডিস মশার আবাসস্থল ধ্বংসে ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপকভাবে ওষুধ ছিটানো ও অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। আইন কর্মকর্তার নিয়োগ প্রশ্নে রুল ॥ দুই ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) হারুনুর রশীদ ও কামালউদ্দীন আহমেদ এবং এক সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেল (এএজি) আল মামুন কোন কর্তৃত্ব বলে পদে আছেন তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। আইন সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর, বার কাউন্সিল সচিব ও সংশ্লিষ্ট তিন ডিএজি ও এএজিকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া আরও ছয় এএজির বিষয়ে যাচাই করে চার সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বার কাউন্সিল সচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভুঁইয়া। আইনে নির্ধারিত পেশাগত অভিজ্ঞতার শর্তপূরণ না করে ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেলের নিয়োগ দেয়ায় রিট আবেদনটি করেন আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভুঁইয়া। আইনজীবী ফরহাদ বলেন, ‘আইন অনুযায়ী ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল হতে হলে সর্বোচ্চ সময়সীমা হলো ৬৭ বছর। কিন্তু এ দু’জন যখন নিয়োগ পান, তাদের সময় তখন ৬৭ বছরের বেশি ছিল।
×