ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

শিশু বয়স থেকে সব ধরনের খেলাধুলার ব্যবস্থা করতে হবে ॥ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ১৩ নভেম্বর ২০১৯

শিশু বয়স থেকে সব ধরনের খেলাধুলার ব্যবস্থা করতে হবে ॥ প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তরুণ সমাজকে মাদক-সন্ত্রাস থেকে দূরে রাখা, এটা করতে গেলে আমরা যত বেশি তাদের খেলাধুলার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পারবো, ততই তারা এ ধরনের অসামাজিক কার্য্কলাপ থেকে দূরে থাকবে। নিজেদের চরিত্র গঠনে সচেষ্ট হবে। সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারবে। আজ বুধবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেখ রাসেল ইন্টারন্যাশনাল ক্লাব কাপ টেনিস টুর্নামেন্ট-২০১৯ এর উদ্বোধনকালে বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী এ গুরুত্বারোপ করেন। এবারের টুর্নামেন্টে স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ১৮টি দেশের ২১টি ক্লাব অংশ নিচ্ছে। বাকি ১৭টি দেশ হলো- যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, ইরাক, দক্ষিণ কোরিয়া, তিউনিশিয়া, মঙ্গোলিয়া, তুর্কিমেনিস্তান, তাজিকিস্তান, ভিয়েতনাম ও ক্যামেরুন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইতালি, নেপাল, ইরাক ও মঙ্গোলিয়ার রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারসহ ১৮টি দেশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন মানসিক ও শারীরিক সুস্থতায় খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এটা শুধু শারীরিক দিক থেকে তারা সুস্থ থাকবে তা নয়, শারীরিক ও মানসিক, সবদিক থেকে তাদের মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠবে। তাদের ভেতরে দেশপ্রেম জাগ্রত হবে। দেশ ও জাতির প্রতি একটা কর্তব্যবোধ জাগ্রত হবে। সেসব দিকে লক্ষ্য রেখে আমরা খেলাধুলাকে সব সময় গুরুত্ব দেই। উপযুক্ত নাগরিক গঠনে খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিচর্চা- এসবের ওপর সরকার বিশেষভাবে যত্নবান। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের দেশের নাগরিকদের উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হলে শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে তাদের খেলাধুলার দিকেও নজর দিতে হবে। ‘আমাদের ছেলেমেয়েদের দেখেছি, তাদের একটু ভালো সহযোগিতা দিলে তারা খুব ভালো কাজ করতে পারে, খেলাধুলায় তারা সারাবিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ছেলেমেয়েদের উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। তাই শুধু পড়াশোনা করলেই হবে না, সঙ্গে সঙ্গে তাদের খেলাধুলা, তাদের সংস্কৃতিচর্চা, তাদের মেধা ও মনন বিকাশের সুযোগ- সেগুলো আমাদের করে দিতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই আমাদের দেশের মানুষ; শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ; এই খেলাধুলার প্রতি আরও বেশি মনোনিবেশ করবে। যা তাদের চরিত্র গঠনে সহায়ক হবে, দৃঢ় চরিত্রের অধিকারী করবে, আত্মবিশ্বাসী করবে। ‘জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন উপযুক্ত নাগরিক গড়ে তোলা। সেজন্য শিশু বয়স থেকে সব ধরনের খেলাধুলার ব্যবস্থা করতে হবে।’ খেলাধুলার বিকাশে সরকারের নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছি, তেমনি খেলাধুলার জন্য প্রতিটি উপজেলায় আমরা মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছি। যেন সেখানে সার্বক্ষণিক খেলাধুলা চর্চা হতে পারে। খেলাধুলায় নিজের পারিবারিক ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, আমি নিজেই তো একটা স্পোর্টস পরিবারের মেয়ে, সে কথাটা নিশ্চয়ই আপনারা সবাই জানেন। তাই আমরা এদিকটায় বিশেষভাবে নজর দিচ্ছি। ‘আমার দাদা নিজে ফুটবল প্লেয়ার ছিলেন। আমার ভাইয়েরাও সব ধরনের খেলাধুলার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। আমার ভাই কামাল ও জামালের স্ত্রী- তারাও স্পোর্টসের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল।’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং শেখ রাসেলের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় খুলনা জেলা প্রশাসন শেখ রাসেল ইন্টারন্যাশনাল ক্লাব কাপ টেনিস টুর্নামেন্ট-২০১৯ এর আয়োজন করেছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আখতার হোসেন টুর্নামেন্টের তথ্য তুলে ধরেন অনুষ্ঠানে। তিনি বলেন, ইন্টারন্যাশনাল টেনিস ফেডারেশনের অনুশাসন অনুযায়ী আটটি মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে। আটটি মাঠের মধ্যে বিদ্যমান ছয়টি মাঠের সংস্কার ও দু’টি নতুন মাঠ নির্মাণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আহমেদ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাতে টেনিস ব্যাট ও বল উপহার হিসেবে তুলে দেন। অনুষ্ঠানে গণভবন প্রান্তে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।
×