অনলাইন ডেস্ক ॥ যারা পরিবেশগত চাপ অনুভব এবং রাত জেগে কাজ করেন; তাদের বিপাকজনিত রোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। মানুষের জীবন-যাপন নিয়ে জার্মানির একদল গবেষকের নতুন এক গবেষণায় এমন দাবি করা হয়েছে।
গবেষক দলের অন্যতম সদস্য অধ্যাপক হেনরিক ওসটার বলেছেন, পরবর্তীতে আরও গবেষণার মাধ্যমে ভালো কাজের সময় সম্পর্কে সুপারিশ করা হতে পারে। প্রত্যেকদিনের অবসাদ দেহ ঘড়িতে অভ্যন্তরীণ বাধাদানের পাশাপাশি স্থূলতা এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসসহ বিপাকীয় রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
এর আগের গবেষণাগুলোতে দীর্ঘ সময় ধরে নিয়মিত রাতের শিফটে কাজ করা ও স্বাস্থ্যের ওপর; বিশেষ করে ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলার মধ্যে এক ধরনের সম্পর্ক আছে বলে জানানো হয়। তবে সাম্প্রতিক এই গবেষণা ক্যান্সার ঝুঁকির বিষয়টিকে বিতর্কের মধ্যে ফেলেছে।
জার্মানির ইউনিভার্সিটি অব লুবেকের অধ্যাপক ওসটার ও তার সহযোগীরা অবসাদ, দেহ ঘড়ি ও বিপাকীয় মিথস্ক্রিয়ার ব্যাপারে জানার জন্য প্রাথমিকভাবে ইঁদুর নিয়ে গবেষণা করেছেন। গবেষণায় তারা দেখেছেন, যেসব ইঁদুর দিনের ভিন্ন ভিন্ন সময়ে সামাজিক চাপের মুখোমুখি হয়েছিল; সেসব ইঁদুরের অবসাদ বেড়েছে একেক মাত্রায়।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, এই অবসাদের সাড়াদান নির্ভর করেছে দেহ ঘড়ির প্রক্রিয়ার ওপর। দিনের বেলা ইঁদুর এবং রাতের বেলা মানুষের খাবার গ্রহণ এবং শরীরের ওজন অবসাদের সময় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
অধ্যাপক ওস্টার বলেন, আমরা দেখেছি দিনের আলাদা আলাদা সময়ে অবসাদের সাড়াদান ভিন্ন ভিন্ন হয়। খাবার গ্রহণ এবং শরীরের ওজন অভ্যন্তরীণ দেহ ঘড়ির বিপাকীয় ক্রিয়ায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: