ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে যুক্ত হয়েছে অত্যাধুনিক সিটি স্ক্যান মেশিন

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ১৪ নভেম্বর ২০১৯

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে যুক্ত হয়েছে অত্যাধুনিক সিটি স্ক্যান মেশিন

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে সংযোজন হতে চলেছে উন্নত মানের ১২৮ স্লাইসের সিটি স্ক্যান। ইতোমধ্যে সিটি স্ক্যান মেশিনটি হাসপাতালে চলে এসেছে। বর্তমানে মেশিনটি স্থাপনের জন্য রুম নির্মাণ কাজ চলছে। আগামী ডিসেম্বর মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু। হাসপাতালের প্রশাসনিক সূত্র মতে, যশোর জেনারেল হাসপাতালে দিন দিন রোগীর চাপ বেড়েই চলেছে। এর প্রেক্ষিতে ২০০৩ সালে ২৫০ শয্যায় উন্নিত করে সরকার। পরে ২০১০ সালে মন্ত্রণালয় হাসপাতালটি মেডিকেল কলেজের ফ্যাকাল্টি ঘোষণা দিলে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে থাকে। এই রোগীদের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল কলেজের অভিজ্ঞ ১৯ বিভাগের চিকিৎসক হাসপাতালে প্রতিদিন রোগী সেবা দিচ্ছেন। কিন্তু উন্নত সেবার জন্য পরীক্ষা জরুরি হলেও হাসপাতালে ছিলো না ডিজিটাল এক্সে-রে মেশিন, সিটি স্ক্যান, এমআর মেশিন। ফলে রোগীদের বাড়তি খরচে বাইরের বেসরকারি ক্লিনিক থেকে পরীক্ষা করাতে হয়। বিষয়টি তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু মন্ত্রণালয়কে অবগত করলে একটি ডিজিটাল এক্সে-রে মেশিন বরাদ্দ দেয়। যা থেকে রোগীরা সুবিধা পাচ্ছে। এর পাশাপাশি চলতি মাসে সিটি স্ক্যান মেশিন প্রেরণ করেছে মন্ত্রণালয়। যেটা সংযোজনের অপেক্ষায় রয়েছে। এ ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু জানান, খুলনা বিভাগের মধ্যে এই প্রথম যশোর জেনারেল হাসপাতালে উন্নত মানের ১২৮ স্লাইসের সিটি স্ক্যান সংযোজন হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সিটি স্ক্যান মেশিন থাকলেও সেটি ৫০ স্লাইস পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রয়েছে। উন্নতমানের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ১২৮ স্লাইসের সিটি স্ক্যান মেশিনে রোগীর সিটি এনজিও গ্রামের মাধ্যমে হার্ট ও অন্যান্য অঙ্গ-প্রতঙ্গের রক্তনালীর রক্ত প্রবাহের দৃশ্য এবং রক্তনালীর সংকোচন খুঁজে পাওয়া যায়। হাসপাতালে এই মেশিন সংযোজনের ফলে সেবার ধাপ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। হাসপাতালের রেডিওলজিস্ট বিভাগের টেকনিশিয়ান মৃত্যুঞ্জয় জানান, এই মেশিনটি চালু হলে সাধারণ রোগীরা মাত্র ১২শ’ থেকে ১৫শ’ উর্ধ্বে দুই হাজার টাকার মধ্যে পরীক্ষা করার সুযোগ পাবে। অথচ এই পরীক্ষা রোগীদের ক্লিনিক থেকে করতে দুই হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার পর্যন্ত খরচ হবে। হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক সাজ্জাদ কামাল জানান, এই সিটি স্ক্যান মেশিন হাসপাতালে চালু হলে অতীতের বাইপাস গ্রাফট বা স্ট্যান্টিং করা রোগীদের অপারেশন পরবর্তী চেকআপ সহজেই করা যাবে। এছাড়া অন্তঃকর্ণের প্রদাহ, ইন্ট্রাক্রোনিয়াল এনিউরিজম, হোল ব্রেন পাফিউশনস, হাড়ের বিভিন্ন পরীক্ষা অতি সুক্ষ্মভাবে নির্ণয় করা যাবে এই মেশিনে। এ জন্য সব সময় রেডিওলজি চিকিৎসকের পাশাপাশি হৃদরোগ ও নিওরো সার্জন থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ১২৮ স্লাইস সিটি স্ক্যানে ক্ষতিকারণ রেডিয়েশনের মাত্রা অনেক কম। অন্য যে কোন সিটি স্ক্যান মেশিনের চেয়ে মাত্র ০.৩ সেকেন্ডে এই মেশিন স্ক্যানিং সম্পন্ন করে।
×