ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইন্দোর টেস্টের প্রথম দিনে বাংলাদেশের ১৫০ রান, ভারত ১ উইকেটে ৮৬

প্রকাশিত: ০৭:৪৮, ১৪ নভেম্বর ২০১৯

ইন্দোর টেস্টের প্রথম দিনে বাংলাদেশের ১৫০ রান, ভারত ১ উইকেটে ৮৬

অনলাইন ডেস্ক ॥ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ইন্দোরে প্রথম দিনে দাপট দেখাল ভারত দল। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয়েছিল মাত্র ১৫০ রানে। জবাবে দিনের শেষে এক উইকেটে ৮৬ তুলল ভারত। স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১৫০ রানেই শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। প্রথম দিন শেষে ভারত ১ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৮৬ রান। তাতে ৬৪ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দিন শুরু করবে বিরাট কোহলির দল। সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ বৃহস্পতিবার ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে ভারতের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। সকাল ১০টায় শুরু হয় ম্যাচটি। স্বাগতিকদের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক। নিজেদের ইনিংসের শেষ ১০ রানেই ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। যেখানে কোনো ব্যাটসম্যানই ফিফটির দেখা পাননি। সর্বোচ্চ ৪৩ রান আসে মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে। এর আগে ইমরুল কায়েস দলীয় ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে উমেস যাদবের শিকার হন। বল খোঁচা দিতে গিয়ে স্লিপে থাকা আজিঙ্কা রাহানের ক্যাচে পরিণত হন। ১৮ বলে ৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। পরের ওভারের শেষ বলে ইশান্ত শর্মার গতির কাছে হার মানেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম। তিনি ২৪ বলে ৬ রান করেন। রান রেট কম থাকলেও মুমিনুল হকের সঙ্গে ধীর ব্যাটিং করতে থাকেন মোহাম্মদ মিঠুন। তবে তিনিও থিতু হতে পারেননি। ১৮তম ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ শামির ডেলিভারিতে এলবির ফাঁদে পড়েন ৩৬ বলে ১২ রান করা এই ডানহাতি। ৩৮তম ওভারে রবীচন্দ্রন অশ্বিনের ভেতরে আসা একটি বল ছেড়ে দিলে বোল্ড হন মুমিনুল হক। ৮০ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৩৭ রান করেন এ ম্যাচে নেতৃত্ব পাওয়া এই বাঁহাতি। চতুর্থ উইকেটে ৬৮ রান যোগ করেন মুমিনুল ও মুশফিক। অশ্বিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন মাহমদুউল্লাহ। দলীয় ৪৬ ওভারের প্রথম বলে ডানহাতি এই স্পিনারের বলে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন তিনি। ৩০ বলে ১০ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। এরই সঙ্গে পঞ্চম উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের। ৫৪তম ওভারের পঞ্চম বলে পেসার মোহাম্মদ শামির বল ছেড়ে দিলে বোল্ড হন মুশফিকুর রহিম। ১০৫ বলে ৪৩ করা এই ব্যাটসম্যান ৪টি চার ও একটি ছক্কা হাঁকান। পরের বলেই এলবির ফাঁদে মেহেদী হাসান মিরাজ (০) ফিরলে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে দ্বিতীয় সেশন শেষে মাঠ ছাড়েন শামি। তৃতীয় সেশনে মাঠে ফিরেই ইশান্ত শর্মার শিকারে পরিণত হন লিটন দাস। ৩১ বলে ২১ করা এই ব্যাটসম্যান স্লিপে থাকা বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ দেন। এরই সঙ্গে বাংলাদেশের শেষ বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানের পতন হয়। বাংলাদেশের ইনিংসে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে এবাদত হোসেন যাদবের বলে বোল্ড হন ব্যক্তিগত দুই রানে। তার আগে রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন তাইজুল ইসলাম। আবু জায়েদ ৭ রানে অপরাজিত থাকেন। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পান মোহাম্মদ শামি। আর দুটি করে উইকেট ভাগ করে নেন ইশান্ত, যাদব ও অশ্বিন। ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৪ রানে ভারতের ওপেনার রোহিত শর্মা বিদায় নেন। ১৪ বলে ৬ রান করে আবু জায়েদ রাহির বলে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের গ্লাভসে জমা পড়েন তিনি। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৭২ রান যোগ করে অবিচ্ছিন্ন থাকেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল-চেতশ্বর পূজারা। দিন শেষে পূজারা ৪৩ এবং আগারওয়াল ৩৭ রানে অপরাজিত। বাংলাদেশ একাদশ: ইমরুল কায়েস, সাদমান ইসলাম, মোহাম্মদ মিঠুন, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ, এবাদত হোসেন। ভারত একাদশ: মায়াঙ্ক আগারওয়াল, রোহিত শর্মা, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), আজিঙ্কা রাহানে, রবীন্দ্র জাদেজা, ঋদ্ধিমান সাহা (উইকেটরক্ষক), রবীচন্দ্রন আশ্বিন, উমেস যাদব, মোহাম্মদ শামি, ইশান্ত শর্মা।
×