ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিচিত্র তথ্য

প্রকাশিত: ১৩:২১, ১৫ নভেম্বর ২০১৯

বিচিত্র তথ্য

যে দেশে বউ মেলে না দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় দক্ষিণ চীন সাগরের তীর ঘেঁষে প্রায় ১০ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভিয়েতনাম। ভিয়েতনাম সীমান্তে রয়েছে ১৪০ কোটি মানুষের বিশাল আয়তনের দেশ চীন। চীন বিশাল জনসংখ্যার দেশ হলেও সেখানে রয়েছে বিয়ের জন্য নারীর সঙ্কট। দীর্ঘদিন এক সন্তান নীতিতে চলা এবং ছেলে সন্তান আকাক্সক্ষায় অবৈধ গর্ভপাতের কারণে চীনে নারী-পুরুষের অনুপাতে তারতম্য বিরাজ করছে। সেখানে নারীর তুলনায় বেড়ে গেছে পুরুষের সংখ্যা। দেশটিতে ৩ কোটি ৩৬ লাখ পুরুষ বেশি। এখন প্রতি ১০০টি মেয়েশিশুর বিপরীতে জন্ম নিচ্ছে ১১৪টি ছেলেশিশু। অনেক পুরুষ একাকিত্ব ঘোচাতে নারীর আদলে তৈরি ‘স্মার্ট’ পুতুলের সঙ্গে জীবনযাপন করছে। চীন সীমান্তে অবস্থিত ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলের প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রামগুলো থেকে মাঝেমধ্যে তরুণীরা হারিয়ে যায়। তাদের অধিকাংশই আর কখনও ফিরে আসে না। এসব গ্রাম থেকে যে সকল তরুণী হারিয়ে যায়, তাদের অনেকের বয়স ১৩ বছরের নিচে। এই তরুণীদের চীনে পাচারের জন্য অপহরণ করা হয়। সেখানে বিয়ের জন্য পাত্রীর সঙ্কট। ভিয়েতনামের তরুণীদের বধূ হিসেবে পেতে তাদের ক্রয় করে নেয় চীনের তরুণরা। দুই বছর আগের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, চীনের গ্রামে ২০ থেকে ৪৫ বছরের প্রায় দুই কোটি অবিবাহিত যুবক রয়েছে, যাদের বিয়ের পাত্রী সঙ্কট রয়েছে। তাড়াছা দেশটির গ্রামে বিয়ে অনুষ্ঠানে অনেক টাকা খরচ করতে হয়। এতে স্বল্প আয়ের যুবকদের বিয়ে করা কঠিন হয়ে পড়ছে। জাহাঙ্গীর আলম বকুল মৃত্যুর পরেও লাল জোরিকা রোবার্নিক। উত্তর বসনিয়ার ব্রিজ শহরের বাসিন্দা এই নারী কোন তারকা বা রাজনীতিক নন। তারপরও সেখানকার অধিকাংশ মানুষ তাকে একনামে চেনেন। কারণ তার লাল রং আসক্তি। গত চার দশক ধরে শুধু এই একটি রঙের কাপড় পরছেন তিনি। শুধু লাল রঙের কাপড় নয়, জোরিকার বাড়ি, বাড়ির আসবাবপত্র থেকে শুরু করে খাবার বাসন-কোসন পর্যন্ত সবই লাল। এছাড়া তাকে কেউ উপহার দিলে উপহার সামগ্রীর রং যদি লাল না হয় তবে সেটা যত দামি হোক না কেন জোরিকা গ্রহণ করেন না। অর্থাৎ লাল রঙের প্রতি তার তীব্র আকর্ষণ! এ কারণে তিনি ব্রিজ শহরতো বটেই, উত্তর বসনিয়ার পরিচিত মুখ। জোরিকার লাল রঙের প্রতি আসক্তি শুরু হয় যখন তিনি অষ্টাদশী তরুণী। বিয়েতে তার স্বামী জোরান তাকে একটি লাল রঙের ভারতীয় গাউন উপহার দিয়েছিলেন- সেই থেকে শুরু। এরপর কেটে গেছে চল্লিশ বছর। কিন্তু লাল রঙের প্রতি তার আসক্তি এক বিন্দু কমেনি। বরং আরও বেড়েছে। জোরিকা মৃত্যুর পর তাকে লাল রঙের কাপড়ে মুড়ে কবর দিতে বলেছেন। তার সমাধিও যেন লাল রঙের হয়, এজন্য তিনি মৃত্যুর আগে লাল রঙের সমাধি তৈরি করে রেখেছেন। বর্তমানে অবসর জীবনযাপন করছেন সাবেক স্কুল শিক্ষিকা জোরিকা। রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, লাল রং আমাকে আত্মবিশ্বাসী করে। মানুষের কাছে আমি এই রঙের জন্যই পরিচিত। তবে একটি সমস্যা রয়েছে। আমি যত নতুন কাপড়ই পরি না কেন আমার স্বামী বুঝতে পারে না। কারণ সব কাপড়ের রংই যে এক! শাহিদুল ইসলাম
×