ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নীল কবিতা

প্রকাশিত: ১৩:২৬, ১৫ নভেম্বর ২০১৯

নীল কবিতা

গভীর নিশিতে এটা পুনঃ উজ্জ্বল হলো বাইরে থেকে চূর্ণ আমি ঘনীভূত হতে শুরু হলাম পুরো চৈতন্যের ভিতর আমার অনুভূতিহীন বিশেষ অঙ্গ (লিঙ্গ) পিটপিট করলো দৈর্ঘ্যে বড় হলো নিশ্বাসের পর নিশ্বাসে ‘এখন জেগে ওঠো না!’ আমি ভাবলাম আর আমার নিশ্বাসকে বন্ধ করলাম কিন্তু এটা অনেক দেরি হয়েছিল নির্বোধটি আবারো প্রণয়াভিলাসী হলো পূর্বে কখনোই আমার এ রকম অনুভূত হয়নি নাবালক সময়ে বাতায়নের বাইরে কিছুই না কিন্তু অসীম ক্ষমতা প্রথমে কিছু বিহঙ্গ গান গাইল তারপর অনেকগুলো গান গাওয়াটি কোলাহলে পরিণত হলো গন্ধবহ প্রতিধ্বনির কুঠুরি থেমে থাকা ও অন্তহীন ছাড়া এ রকম দুর্দশাগ্রস্ত সময়ে অকস্মাত কোনো স্মৃতি নেই ভবিষ্যতের জন্য কোনো ভাবনা নেই আমি ভয়ে ঋজু হয়ে শুয়ে পড়েছি কোনো ভ্রুক্ষেপ না করে আমার মেলে ধরা আঁখি দুটি অব্যাহতিপ্রাপ্ত হয়েছে শীতকালীন নিশিতে যখন আমি একবারও পাশ ফিরিনি অন্য পাশে ঠা-ার দ্বারা এবড়ো থেবড়ো হয়েছি অতঃপর এখন আতত আমার বাইরের ভীতিপ্রদ পঠনাক্ষম সমীরণ কত উচ্চে এটি খেঁকিয়ে উঠতে পারে! আর তারপর সবকিছুই এক্কেবারে বাতায়নের কাছে নিস্তব্ধ পাখিদের কোলাহলের ভিতর একটি দীর্ঘ শিস দেয়া সঙ্গীতের খাজানার স্বর ‘একটি মানব!’ আমি ভাবলাম মৃত্যুরূপ ভয় থেকে প্রত্যেকটি বর্ণই বানান করা যাচ্ছে আর কুঞ্চিত নড়াচড়া ছাড়া ‘একজন, যে নিহত হয়েছিল বিদেহী পিশাচের দ্বারা জনশূন্য নিষিদ্ধ আলোতে ভূগর্ভস্থা ভা-ারের সিঁড়ি থেকে উত্থিত ভয়ের উত্তাল তরঙ্গ আর আমার ভিতরের সাধারণ জ্ঞানসম্পন্ন মানুষ শুনেছে : সুরটির পুনরাবৃত্তি হয়েছিল পুনরাবৃত্তি হয়েছিল- ‘কোনো পাখির শিস যা একঘেয়েমি নয় মায়ামূর্তিটি আমাকে টিটকারি দিতে চায় এটা কাষ্ঠহাসি দিচ্ছে আলকাতরা কালো অধরে’
×