ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাউফলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও ইউএনও লাঞ্ছিত

প্রকাশিত: ০৮:৪৭, ১৫ নভেম্বর ২০১৯

বাউফলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও ইউএনও লাঞ্ছিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, পটুয়াখালী ॥ পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউর রহমান ও বাউফলের ইউএনও পিজুস চন্দ্রদেকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। স্লিপিং কিটস্ বিতরণের নামে প্রচন্ড রোদের মধ্যে একটি কলেজ মাঠে শিশু শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড় করিয়ে রাখার ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করলে আয়োজকদের হাতে তারা লাঞ্ছিত হন। জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে বগা ডাঃ ইয়াকুব শরিফ ডিগ্রী কলেজ মাঠে কানাডিয়ান সংস্থা এসসিএডব্লু এবং ঢাকা রোটারি ক্লাবের উদ্যোগে শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্লিপিং কিটস্ বিতরণ অনুষ্ঠান ছিল। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আসম ফিরোজ এমপি। বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউর রহমান ও বাউফলের ইউএনও পিজুস চন্দ্র দে। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, শুক্রবার কানাডিয়ান সংস্থা এসসিএডব্লু এবং ঢাকা রোটারি ক্লাবের উদ্যোগে হতদরিদ্র ৬ থেকে ১২ বছর বয়সী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিশু শিক্ষার্থীদের মাঝে ১৩’শ স্লিপিং কিটস্ বিতরণের উদ্যোগ নেয়। উপজেলার কনকদিয়া বগা ও কাছিপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহস্রারাধিক শিশু শিক্ষার্থীরা সকাল ৬টার মধ্যে ওই কলেজ মাঠে উপস্থিত হন। সকাল ১০টার মধ্যে কিটস্ বিতরণ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কিটস্ বিতরণ শেষ করতে পারেননি আয়োজকরা। কিটস্ বিতরণ করতে দুপুর লেগে যায়। দীর্ঘ সময় মাঠে রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে বেশ কয়েকজন শিশু অসুস্থ হয়ে পরেন। বিষয়টি জানতে পরে তাৎক্ষনিক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউর রহমান আয়োজকদের ওই সব শিশুদের ছেড়ে দিতে বলেন। কিন্তু আয়োজকরা তার কথার কর্ণপাত না করায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নিজেই শিশুদেরকে ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করলে ক্যানাডিয়ান সংস্থার সমন্বয়ক রেজাউল করিমসহ সংস্থার কয়েকজন লোক তাকে ধাক্কা মারেন। এসময় বাউফলের উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিজুস চন্দ্র দে এগিয়ে এল তাকেও ধাক্কা মারেন। এতে এলাকার লোকজন ও অভিভাবক ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। একপর্যায়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে সাবেক চীফ হুইপ ও স্থানীয় এমপি আসম ফিরোজ, উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার, ভাইস চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন খান এসে পরিস্তিতি শান্ত করেন এবং তাদের মধ্যে ভুলবুঝাবুঝির অবসান ঘটান। এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিট) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, শিশুদের রোদের মধ্যে দাড় করিয়ে রাখার অভিভাবকরা অভিযোগ করলে আমি আয়োজকদের ওই সব শিশু শিক্ষার্থীদের ছেরে দেয়ার জন্যে নির্দেশ দিলে তারা কর্ণপাত করেননি। তাই আমি নিজে এগিয়ে গেলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সাথে বাক বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে এবং অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। পরে স্থানীয় এমপির হস্তক্ষেপে বিষয়টি শান্ত হয়। এ বিষয়ে কানাডিয়ান সংস্থা এবং ঢাকা রোটারি ক্লাবের সমন্বয়ক রেজাউল করিম বলেন, এ সংস্থায় এমপি, এডিসি ও ইউএনও চেয়ে বড় মাথা আছে। এ ঘটনায় আমরা মোটেই বিচলিত নই।
×