ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নাগরিক সেবার নতুন উদ্যোগ

প্রকাশিত: ০৯:২১, ১৬ নভেম্বর ২০১৯

নাগরিক সেবার নতুন উদ্যোগ

মশিউর রহমান খান ॥ দেশের ভেতরে বা দেশের বাইরে যে কোন স্থান থেকে মোবাইল ফোনের একটি কল করে তথ্যসহ অভিযোগ দেয়া মাত্রই তাৎক্ষণিকভাবেই নাগরিক সেবা দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে স্মার্ট সিটি হিসেবে নগরকে সাজাতে ও নতুন কোন পরিকল্পনা জানাতেও যে কোন নাগরিক যাতে মতামত প্রদান করতে পারে সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখছে ডিএনসিসি। এর বাইরে অভিযোগ বক্স তো থাকছেই। যেখানে জমা হওয়া অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে অতি দ্রুতই দেয়া হবে নাগরিক সমস্যার সমস্যার সমাধান। এমনকি যে কোন নাগরিকের সরাসরি সিটি কর্পোরেশনে যাতে না এসেই অভিযোগ প্রদান ও সেবা প্রাপ্তির মাধ্যমে সমাধান মেলে সেজন্য হোম টু হোম নাগরিক সেবা পদ্ধতি চালুরও উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি। যখনই নাগরিক অভিযোগ তখনই সেবা প্রদান এ উদ্যোগ বাস্বায়ন করতেই এ সেবা সার্ভিস চালু করছে ডিএনসিসি। ডিএনসিসি সূত্র জানায়, নাগরিক দুর্ভোগ লাঘবে ও সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে তা সমাধানের জন্য মেয়র আতিকুল ইসলাম বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। জণগণের সেবক হিসেবে জনপ্রতিনিধি প্রমাণে মেয়র ও কাউন্সিলর তথা সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাধ্যমে নাগরিক সেবার দ্বার উন্মুক্ত করতেই এ মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে অভিযোগ ফেলে না রেখে তাৎক্ষণিক সমাধানই এর মূল রক্ষ বলে জানা গেছে। এরই অংশ হিসেবে নগরের গুরুত্বপূর্ন স্থানে অভিযোগ বক্স স্থাপন, হেল্পলাইন চালু করা, অভিযোগের ধরন বুঝে সমাধানের জন্য নির্দিষ্ট কর্মকর্তা বা কাউন্সিলরদের কাছে পাঠানো, হোম টু হোম ডেলিভারি সার্ভিস প্রদানসহ ওয়ানস্টপ সেবা সার্ভিস সেবা চালু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সংস্থাটি। তবে নতুন অফিস স্থাপন না হওয়ায় ও কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগ না হওয়ায় নতুন সীমানায় যুক্ত হওয়া ওয়ার্ডগুলোতে বসবাসকারী বাসিন্দাদের জন্য প্রাথমিকভাবে এই নাগরিক সুবিধা প্রদান করা সম্ভব হবে না বলে জানা গেছে। পুরাতন সকল ওয়ার্ডেই এসব সেবা চালু করতে চায় ডিএনসিসি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ডিএনসিসি সীমানার বসবাসকারী নাগরিকদের সেবা প্রদান অভিযোগ ও যে কোন প্রকার তথ্য পেতে নতুন চালু হওয়া হেল্পলাইন ৩৩৩ তে কল করলে কমপক্ষে ১১ প্রকারের সেবা প্রদান করবে সংস্থাটি। মূলত এখন থেকে যে কোন জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কমকর্তা কর্মচারীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে এই হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে। এর ফলে নাগরিক ও জনপ্রতিনিধির মাঝে দূরত্ব অনেকাংশে কমে আসবে বলে তাদেও বিশ্বাস। এছাড়া দেশের ভেতরে বা দেশের বাইরে থেকেই যে কোন নাগরিক যাতে কোন প্রকার সেবা থেকে বিশেষ নাম্বারে কল করতে একইসঙ্গে দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই এসব নাম্বারে কল করে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এমনকি ডিএনসিসির নাগরিক কিন্তু বর্তমানে দেশের বাহিরে অবস্থান গ্রহণ করছেন এই মুহূর্তে তার যে কোন প্রকার সেবা প্রয়োজন হলে তিনিও যাতে কোন প্রকার নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত না হতে হয় তাই এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। এর বাইরে সম্প্রতি মেয়র ঘোষণা করেছেন যে, সিটি কর্পোরেশনে না এসে ঘরে বসেই যে কোন নাগরিক ডিএনসিসির সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এজন্য হোম টু হোম সেবা ডেলিভারি সার্ভিস প্রদান করারও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ডিএনসিসি সূত্র জানায়, ৩৩৩ নম্বরে কল করে একজন নাগরিকগণ সেবা পাবেন এছাড়া দেশের বাইরে থেকে ০৯৬৬৬৭৮৯৩৩৩ নম্বরে কল দিলেও একই সেবা মিলবে। নাগরিকগণ যেসব সেবা পাবেন তা হচ্ছে ১. ডিএনসিসির সকল সেবাপ্রাপ্তির পদ্ধতির বিস্তারিত তথ্য। এর মাধ্যমে যে কোন নাগরিক সিটি কর্পোরেশন থেকে কোন কোন প্রকার সেবা পেতে পারেন বা কোন সেবাগুলো সিটি কর্পোরেশনের নয় তা সহজেই বুঝতে পারবেন। ফলে নাগরিক সেবা প্রাপ্তি ও তথ্য গ্রহণে সুবিধা হবে। ফলে কোন সমস্যাটি সিটি কর্পোরেশনের দ্বারা সমাধানযোগ্য ও কোনটি সরকারের অন্য সেবাদানকারী সেবা সংস্থার কাজ তা সহজেই জানা যাবে। ২. ডিএনসিসির মেয়র, কাউন্সিলরসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য প্রাপ্তি। এর মাধ্যমে যে কোন প্রকার তথ্য ও সহযোগীতা পেতে সরাসরি কর্মকর্তা কর্মচারীদের পাশপাশি জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর এমনকি প্রয়োজনে মেয়রের সঙ্গে নাগরিকগণ যোগাযোগ করতে পারবেন। ৩. হোল্ডিং টেক্স পরিশোধ পদ্ধতি সম্পর্কে জানা। এর ফলে এখন থেকে সিটি কর্পোরেশনে এসে সময় ও অর্থ নষ্ট না করে মোবাইল ফোনেই হোল্ডিং টেক্স পরিশোধের সকল তথ্য জানা ও প্রদানের পদ্ধতি বা কোন কোন স্থানে কোন পদ্ধতিতে নাগরিকগণ হোল্ডিং টেক্স প্রদান করতে পারবেন তার বিস্তারিত তথ্য পেতে পারবেন। ৪. ডিএনসিসির আওতাধীন সকল স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও টিকাদান কেন্দ্র এর তথ্য প্রাপ্তি। এর মাধ্যমে কোন এলাকার নাগরিকগণ কোন কেন্দ্রে গিয়ে শিশুর টিকাদান করতে হবে বা যে কোন নাগরিক বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পেতে পারবেন তার তথ্য জানতে পারবে। বর্তমানে তা সিটি কর্পোরেশনের অফিসে গিয়ে তথ্য জানতে হয়। ৫. মশক নিধনে সহায়তা প্রাপ্তি। এর মাধ্যমে যে কোন নাগরিক তার এলাকার বাড়ির বা প্রতিবেশীর কারণে সৃষ্ট মশক সমস্যায় আক্রান্ত হলে তা অভিযোগ করতে পারবেন এমনকি নিজের প্রয়োজনে হলেও সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন কর্মীদের ডাকতে পারবেন। ফলে সহজেই যে কোন নাগরিক মশক সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। ৬. ভেজাল খাদ্যদ্রব্য সম্পর্কে অভিযোগ দাখিল। এর মাধ্যমে নাগরিকরা সিটি কর্পোরেশনের সীমানায় থাকা সকল রেস্টুরেন্ট ফাস্টফুড শপ, খাবারের দোকান, বা যে কোন খাদ্যের দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভেজাল, অস্বাস্থ্যকর, জীবাণুযুক্ত, নোংরা বাসি খাবার পরিবেশন করলে বা অবৈধভাবে মজুদ রাখলে তার তথ্য জানাতে পারবেন। এর ফলে সিটি কর্পোরেশনের লোকজন প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করতে কাজ করবে। এছড়া জেল জরিমানার উদ্যোগ নেবে। ফলে পরিচয় গোপন রেখেই যে কোন নাগরিক ফোন করেও ভেজাল খাবার বিক্রয় বা সরবরাহ বা উৎপাদনকারী সম্পর্কে তথ্য প্রদান করতে পারবেন। ৭. এলাকার ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য অনুরোধ। এর মাধ্যমে যে কোন নাগরিক তার বাড়ির সামনে চলার পথে কিংবা রাস্তার উপর যে কোন প্রকার নোংরা আবর্জনা থাকলে তা সরাতে অভিযোগ দিলেই সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা তা পরিষ্কার করতে চলে আসবে। এর মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন শহর রাখা বর্তমানের চেয়ে আরো সহজ হবে। ৮. অকার্যকর রাস্তার বাতি মেরামতের জন্য অবহিতকরণ। এর মাধ্যমে কোন নাগরিক তার এলাকার রাস্তার বাতি না জ্বললে বা যে কোন সমস্যা দেখা দিলে তা জানালেই সিটি কর্পোরেশনের বৈদ্যুতিক বিভাগের লোকজন সঙ্গে সঙ্গেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। রাতে সকল এলাকার রাস্তার বাতি সচল রাখতেই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ৯। অবৈধভাবে ফুটপাথ দখলকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল। এর মাধ্যমে ডিএনসিসির কোন এলাকার ফুটপাথ যেনো অবৈধভাবে কোন দখলকারী দখলে রাখতে না পারে বা রাখলেও তার অবস্থান তথ্যসহ জানালে ডিএনসিসির সম্পত্তি শাখা প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে নাগরিকদের পথ চলাচল স্বাভাবিক রাখবে। ১০। হোম ডেলিভারি ভিত্তিতে জন্মসনদ, নাগরিকত্ব সনদ, ট্রেড লাইসেন্সসহ বিভিন্ন নাগরিক সেবা প্রাপ্তি। এর মাধ্যমে কোন ব্যাক্তি সিটি কর্পোরেশনে না গিয়ে সে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান সাপেক্ষে ঘরে বসেই ট্রেড লাইসেন্স জন্ম ও মৃত্যু সনদ হাতে পেতে পারবেন। সেজন্য নাগরিকদের সরকারী ফি এর বাইরে নির্দিষ্ট পরিমাণ হোম ডেলিভারি ফি প্রদান করলেই নাগরিকের ঘরে গিয়ে এসব সনদ পৌঁছে দিয়ে আসবেন নির্ধারিত বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। ১১। বিভিন্ন নাগরিক সেবা প্রপ্তিতে হয়রানি হলে এ সংক্রান্ত অভিযোগ প্রদান। এর ফলে নাগরিকদের কেনো হয়রানী করা হচ্ছে তা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরকে কারণ দর্শাতে বলা হবে। এছাড়া কোন নাগরিক সেবাবঞ্চিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী বা কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেবে ডিএনসিসি কতৃপক্ষ। মূলত হেল্পলাএনর মাধ্যমে নাগরিকদের কাঝে জনগণের প্রতিনিধি ও সেবাদানকারী কর্মকর্তা কর্মচারীদের জবাবদিহিতায় আনতেই এসব উদ্যোগ নিয়েছে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ। ডিএনসিসি সূত্র জানায়, নাগরিকদের সেবা বৃদ্ধি করতে ও সকল প্রকার অভিযোগ জানতে ও তার সমাধান করতে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই অসংখ্য স্বচ্ছ কাচের বক্স তৈরি করেছে। এসব বক্স নগরীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হবে। এসব বক্সে নাগরিক দুর্ভোগ ও করণীয় জানতে মতামত লিখিত আকারে জমা দিতেই বসানো হবে। এসব বক্সেও অভিযোগগুলো একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর খোলা হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ সরেজমিনে এসব অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে তা সমাধানের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করবে। এসব অভিযোগের মধ্যে যেগুলো তাৎক্ষণিকভাবে করা সম্ভব তা সঙ্গে সঙ্গেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে ডিএনসিসি। এছাড়া মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা সমাধানে কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলোচনাপূর্বক সমাধান করতে কর্মকর্তাদের কম সময়ে তার সঠিক সমাধানে দায়িত্ব প্রদান করা হবে। এছাড়া এসব অভিযোগের সমাধান করা হচ্ছে কি না তাও মনিটরিং করা হবে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, কোন নাগরিক সিটি কর্পোরেশনের ভবনে প্রবেশ না করেই অভিযোগ নিয়ে এসে চলে যেতে পারে সেজন্য সিটি কর্পোরেশন ভবনের নিচেই ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে ডিএনসিসি। প্রাথমিকভাবে কোন নাগরিক কোন সমস্যা তা লিখিত আকারে জানাবেন ও উক্ত নাগরিককে এ সমস্যা সমাধানের জন্য নির্ধারিত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়িত্ব প্রদান করা হবে। শুধু তাই নয় কত দিনের মধ্যে এ অভিযোগ বা সমস্যা সমাধান করা হবে অভিযোগ জমা দেয়ার সময়ই ডিএনসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিযোগকারীকে তা জানিয়ে দেবেন। উক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই গ্রাহকে প্রাপ্য সেবা প্রদান করতে হবে। অন্যথায় নাগরিককে অভিযোগ আসা কাজটি কেনো শেষ করা সম্ভব হয়নি বা যাবে কি না কিংবা এজন্য অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হলে তাও বলে দেয়া হবে এ লক্ষ্যেই ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, আপাতত ডিএনসিসির জনবল সঙ্কট অত্যন্ত বেশি। প্রয়োজনে বেসরকারী কর্মী দ্বারা এ প্রকারের নাগরিক সেবা প্রদান করা যায় কি না তাও ভেবে দেখা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, উত্তর সিটিকে স্মার্ট সিটি গড়তে কম সময়ে নাগরিকদের সঠিক ও অধিক সেবা প্রদানই আমাদের লক্ষ্য। জনগণের ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছি তাই জনগণের সেবা করতেই হবে। নাগরিকদের সেবা প্রাপ্তি তার অধিকার। যা আমরা তাকে দিতে বাধ্য। এ রক্ষেই দ্রুততার সঙ্গে কাজ চলছে। এরই অংশ হিসেবে জনগণের সেবক হিসেবে জনপ্রতিনিধি প্রমাণে মেয়র ও কাউন্সিলর তথা সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাধ্যমে নাগরিক সেবার দ্বার উন্মুক্ত করতেই এ মহাপরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে অভিযোগ ফেলে না রেখে যখন নাগরিক অভিযোগ তখনই এর সমাধান এটিই আমাদের মূল রক্ষ। এরই অংশ হিসেবে নগরের গুরুত্বপূর্ন স্থানে অভিযোগ বক্স স্থাপন, হেল্পলাইন চালু করা, হোম টু হোম ডেলিভারি সার্ভিস প্রদান করার উদ্যোগ নিয়েছি। এর ফলে একজন নাগরিক ঘওে বসেই প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান সাপেক্ষে ও নির্ধারিত ফি দিয়ে জন্ম সনদ, মৃত্যুসনদ, নাগরিকত্ব সনদ পেতে পারবেন। এছাড়া অধিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ওয়ানস্টপ সেবা সার্ভিস সেবা চালু করার পরিকল্পনাও রয়েছে। যার কাজ চলছে। মেয়র বলেন, ডিএনসিসি সীমানার বসবাসকারী নাগরিকদের সেবা প্রদান অভিযোগ ও যে কোন প্রকার তথ্য পেতে নতুন চালু হওয়া হেল্পলাইন ৩৩৩ তে কল করলে কমপক্ষে ১১ প্রকারের সেবা প্রদান করা হবে। মূলত এখন থেকে যে কোন জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কমকর্তা কর্মচারীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে এই হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে। এর ফলে নাগরিক ও জনপ্রতিনিধির মাঝে দূরত্ব অনেকাংশে কমে আসবে বলে বিশ্বাস। এছাড়া দেশের বাইরে থেকেই যে কোন নাগরিক যাতে কোন প্রকার সেবা পেতে পারেন সেজন্য ০৯৬৬৬৭৮৯৩৩৩ কল করলে দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই একই প্রকার সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। আমরা অভিযোগের ধরণ বুঝে সমাধানের জন্য নির্দিষ্ট কর্মকর্তা বা কাউন্সিলরদের কাছে পাঠাবো। এছাড়া অতি গুরুত্বের সঙ্গে এসব সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। তবে নাগরিক সেবা প্রদানে বাধার সৃষ্টি ও হয়রানির সঙ্গে যুক্ত কাউকেই কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না।
×