ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কক্সবাজারে ব্যতিক্রমধর্মী জনসেবায় মুগ্ধ পর্যটকরা

প্রকাশিত: ০৯:৪২, ১৬ নভেম্বর ২০১৯

 কক্সবাজারে ব্যতিক্রমধর্মী  জনসেবায় মুগ্ধ  পর্যটকরা

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ আওয়ামী লীগ নেতা ও স্থানীয় এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের ব্যতিক্রমধর্মী জনসেবায় মুগ্ধ হয়ে পড়েছেন পর্যটকরা। দেশের দূরদূরান্ত থেকে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য নিজের বাড়িটি ফ্রি করে দিয়েছেন তিনি। জানা যায়, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে ভ্রমণে আসা পর্যটকরা হোটেল-মোটেলে রুম না পাওয়া অথবা আর্থিক সমস্যা হলে কক্সবাজারের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলের বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানা গেছে। সোমবার অন্তত ১৫ পর্যটক ওই বাড়িতে রাত যাপন করেছেন। ঢাকার পর্যটক হুমায়ুন, আকরাম ও নবীউল হক বলেন, কক্সবাজারে চাকরিরত স্বজনের কাছে জানতে পেরে আমরা এমপি কমলের বাড়িতে আসি। রাতে ভালভাবে থাকতে পেরে আমরা শুধু এমপি কমলের জন্য দোয়া করেছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহচর, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক এমপি ও রাষ্ট্রদূত ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরীর পুত্র সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি বলেন, কক্সবাজারে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের কেউ কেউ হোটেলে রুম পায় না। ইতোপূর্বে পর্যটকদের পরিবার-পরিজন নিয়ে শহরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও মার্কেটের গলিতে রাত যাপন করতে দেখা গেছে। এতে খুবই মায়া হয়। তাই আমার বাড়িটি ওইসব পর্যটকদের জন্য চলতি মৌসুমে ফ্রি থাকতে ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এছাড়া কক্সবাজারে পর্যটকদের আরও আকৃষ্ট করতে এ ব্যবস্থা। বাড়ির কেয়ারটেকার সার্বক্ষণিক আগত পর্যটকদের সেবায় নিয়োজিত থাকবে। জানা গেছে, এমপি কমলের স্ত্রী-সন্তান চট্টগ্রামেই অবস্থান করেন। সন্তানদের শিক্ষাজীবন সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রামে অবস্থান করলে খালি পড়ে থাকবে নিজের বাড়িটি। তাই জনসেবায় খোলামনে ভ্রমণপিপাসুদের ওই বাড়িটিতে ফ্রি রাখতে সিদ্ধান্ত নেন কমল। মঙ্গলবার সরজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে, পর্যটকদের থাকা ও এক সঙ্গে খাবারের জায়গা রয়েছে। শতাধিক পর্যটক অনায়াসে (ফ্রি) থাকতে পারবে ওই বাড়িতে। গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য সুপ্রশস্থ স্থান, বাউন্ডারির মধ্যে খোলা আকাশের নিচে বসে গল্প করার মতো বাগানও আছে। এমপি পরিবারের সদস্য সৈয়দা সেলিনা সরওয়ার, নিগার সরওয়ার কানিজ, সাসরিন সরওয়ার কুমকুম ও তানজিলা সরওয়ার রুনা বলেন, ২০১২ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর রামুর ১২টি বৌদ্ধবিহার আগুনে জ্বালিয়ে দেয় দুষ্কৃতকারীরা। এর পরপরই জনসেবায় রামুতে ছুটে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই সময় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দাবি মতে এক মাসের মধ্যে দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা নির্মাণ করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আমরা ওই সময় প্রধানমন্ত্রীর কাছে জনসেবা কি- শিক্ষা নিয়েছি। তাই জনসেবা করতে আমাদের বাড়িটিও পর্যটকদের রাত্রিযাপন এবং অন্য সময় দলীয় নেতাকর্মীদের বিবাহসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য ফ্রি ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। কক্সবাজার (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল দেশী-বিদেশী পর্যটকদের জন্য এবার নিজের বাড়ি ওসমান ভবন উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। কক্সবাজারে বেড়াতে এসে হোটেলে রুম না পেলে এমপি কমলের বাড়িতে থাকতে পারবেন পর্যটকরা। কক্সবাজার শহর থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরের রামুর ‘ওসমান ভবন’ আলিশান বাড়ির আদলে তৈরি। গরিব পরিবার এই বাড়িকে ব্যবহার করেছেন কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে।
×