ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বকুলতলায় জাতীয় নবান্নোৎসব উদযাপন পর্ষদ আয়োজনে হয়েছে নবান্ন উৎসব

প্রকাশিত: ০২:০৬, ১৬ নভেম্বর ২০১৯

বকুলতলায় জাতীয় নবান্নোৎসব উদযাপন পর্ষদ আয়োজনে হয়েছে নবান্ন উৎসব

অনলাইন ডেস্ক ॥ সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় জাতীয় নবান্নোৎসব উদযাপন পর্ষদ আয়োজন করে নবান্ন উৎসবের। হেমন্তে নতুন ধানে ভরতে শুরু করেছে কৃষকের গোলা। বাড়িময় কৃষাণীর ব্যস্ততা আর সোনালি ধানের ঘ্রাণ। সে ঘ্রাণে ভর করে গ্রামের নবান্ন উৎসব এবার মেঠোপথ হয়ে সড়ক-মহাসড়ক পেরিয়ে স্পর্শ করলো ইট-পাথরের রাজধানীকেও। আজ শনিবার ‘নবান্ন উৎসব’ উদযাপন করেছে লোকজ সংস্কৃতিপ্রেমী রাজধানীবাসী। শহুরে জীবনের ব্যস্ততায় শিকড়কে ভুলতে বসা তরুণদের দেশজ সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া ও লোকজ উপাদানগুলোকে নাগরিক জীবনে আরও বেশি আপন করে নেওয়ার প্রত্যয় এসেছে এবারের জাতীয় নবান্নোৎসবে। সকাল ৭টায় বাঁশি, বাংলা ঢোল, কিবোর্ড, গিটার ও অন্য যন্ত্রসঙ্গীতের সমন্বয়ে লোকজ সুরের আবহে শুরু হয় এবারের উৎসব। লায়লা হাসানের পরিচালনায় ‘সবুজ শোভা ঢেউ খেলে যা, ঢেউ খেলে যা আমন ধানের খেতে’ গানের সঙ্গে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন নটরাজের শিল্পীরা। প্রধান অতিথি হিসেবে আয়োজনের উদ্বোধন ও নবান্ন কথন পর্বে অংশ নেন নাট্যজন ফেরদৌসী মজুমদার। বক্তব্য রাখেন নবান্নোৎসব উৎসব পর্ষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাঈম হাসান সুজা। সভাপতিত্ব করেন নবান্নোৎসব পর্ষদের চেয়ারপারসন লায়লা হাসান। সম্মেলক গান পর্বে ‘নবান্নতে রইলো বন্ধু তোমার নিমন্ত্রণ’ গান পরিবেশন করে বহ্নিশিখা, ‘শত স্বপ্নের দেশ আছে পৃথিবী জোড়া মানচিত্র’ পরিবেশন করেন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী পরিবেশন করে ‘আবার জমবে মেলা বটতলা হাটতলা’ গানটি। একক গান পর্বে ‘হিংসা আর নিন্দা ছাড়ো, মনটা করো পরিষ্কার’ পরিবেশন করেন বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, রবীন্দ্র সঙ্গীত ‘সেদিন আমায় বলেছিলে’ পরিবেশন করেন সালমা আকবর, নজরুল সঙ্গীত ‘হৈমন্তিকা এসো এসো’ পরিবেশন করেন মাহজাবীন রহমান শাওলী। এছাড়াও জয়ন্ত আচার্য, তানভীর সজীব, শারমিন সাথী ময়না একক গান পরিবেশন করেন। আবৃত্তিপর্বে আবৃত্তি করেন নায়লা তারান্নুম কাকলি ও বেলায়োত হোসেন। উৎসবে গুড়-মুড়ি ও খই দিয়ে আপ্যায়ন করা হয় অতিথিসহ উৎসবে আগত বাংলার সংস্কৃতি ভালোবাসা মানুষগুলোকে। সকালের পর্ব শেষে বিকেলেও রয়েছে নবান্নোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।
×