ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রতিবেদন দাখিল ॥ বাদীর সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ১৬ নভেম্বর ২০১৯

শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রতিবেদন দাখিল ॥ বাদীর সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ পলাশবাড়িতে ছাত্রী কর্তৃক শিক্ষকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ। অথচ এই ধর্ষণের অভিযোগে পলাশবাড়ি পিয়ারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার শিক্ষক মহদীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জান্নাতুন নবী রিপনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমনকি ওই ধর্ষণ মামলার সহযোগী আসামি লিয়ন মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেলহাজতে আটক করে রাখে। উল্লেখ্য, পলাশবাড়িতে শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রী ধর্ষণ এবং এই অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্তের ঘটনার সংবাদ বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়। এতদসত্ত্বেও চাঞ্চল্যকর এই ধর্ষণ মামলাটিতে পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে উক্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পলাশবাড়ি থানা পুলিশের এসআই তয়ন কুমার মন্ডল (বিপি ৮৬১৩১৬১০৯৮) চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। ফলে বিক্ষুব্ধ ধর্ষিতা পলাশবাড়ি উপজেলার মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এলিজা বেগম শনিবার গাইবান্ধা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে এর প্রতিকার দাবি করেন। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, এলিজা বেগম ওই বিদ্যালয়ে ছাত্রী থাকা অবস্থায় শিক্ষক উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের ছোট ভগবানপুর গ্রামের এমএ আজিজ খন্দকারের ছেলে জান্নাতুন নবী রিপন তার সাথে বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা চালান এবং এলিজা বেগমকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ২৩ জুন রাত ৮টায় পলাশবাড়ি-ঘোড়াঘাট সড়কের শিশু কানন বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পার্শ্বে তার সহযোগী সন্ত্রাসীদের নিয়ে ওঁৎ পেতে থাকে। একপর্যায়ে তার ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে এলিজা বেগমকে অপহরণ করে গোবিন্দগঞ্জের অপরিচিত এক বাড়িতে নিয়ে আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করে এবং ভোর রাতে একই স্থানে ফেলে রেখে চলে যায়। এব্যাপারে গত ২ জুলাই নারী-শিশু নির্যাতন আইনের ৭/৯(১) ৬০ ধারায় উক্ত শিক্ষক এবং তার দুই সহযোগী মো. তারেক মিয়া ও লিয়ন মিয়াকে আসামি করে একটি মামলা (নং ১/১২০) দায়ের করেন এলিজা বেগম। সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে উক্ত তদন্তকারি পুলিশ কর্মকর্তার অন্যায়ের প্রতিকারসহ ধর্ষক শিক্ষকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয় এবং ধর্ষণ মামলাটি উচ্চ পর্যায়ের পুনঃতদন্ত করে চার্জশীট দেয়ার দাবি জানান।
×