স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার না দিয়ে নিয়োগ প্রদান করায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ নয় জনকে শোকজ করেছে সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ। আগামী ১ ডিসেম্বর শোকজ নোটিশের জবাব প্রদানের তারিখ ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার দুপুরে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার পরিচালক (উদ্যোক্তা) ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহতাব আলী স্বাক্ষরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর চার হাজার ৫৫৪টি ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র (ডিজিটাল সেন্টার) স্থাপন করেন। তখন থেকেই তারা (উদ্যোক্তা) বিনা বেতনে ইউনিয়ন পরিষদের সকল দাপ্তরিক কাজ করে আসছে। সেই সাথে নাম মাত্র মূল্যে জনগণের দোড়গোড়ায় সেবা দিয়ে কোন রকম জীবিকা নির্বাহ করছেন। একই কাজের জন্য ২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর দুই হাজার ইউনিয়ন পরিষদে হিসাব সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে জনবল নিয়োগের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় পরিপত্র জারি করে।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ, বরগুনা, জামালপুর, মৌলভীবাজার, সিলেট, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ, ফরিদপুর ও মাদারীপুর জেলার ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের ১৮ জন পরিচালক/উদ্যোক্তা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন। পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয় লিপ টু আপিল করা হয়। গত ২০১৭ সালের ৮ এপ্রিল সুপ্রীমকোর্টের আপিল বিভাগ ইউনিয়ন পরিষদে হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে রীট পিটিশনারদের অগ্রাধিকার দেওয়ার আদেশ প্রদান করেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও কতিপয় জেলা প্রশাসক উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে অন্যদের নিয়োগ প্রদান করায় পিটিশনারদের কয়েকজন কনটেমপ্ট মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে গত ১৭ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মোঃ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ উভয় পক্ষের শুনানী শেষে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, উপ-সচিব এবং কিশোরগঞ্জ, বরগুনা, মাদারীপুর জেলা প্রশাসক, ডিডিএলজি ও মাদারীপুর জেলার সাবেক ডিডিএলজি ফারুক আহাম্মেদ এর প্রতি শোকজ নোটিশ জারি করেন।
এ সময় বাদীপক্ষে শুনানী করেন সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক এ্যার্টনী জেনারেল ব্যারিষ্ট্রার মি. ফিদা এম. কামাল, সাবেক ডেপুটি এ্যার্টনি জেনারেল জহুরুল ইসলাম মুকুল এবং এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আহসান। স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের পক্ষে শুনানী করেন সাবেক বিচারপতি মোয়াজ্জেম হোসেন।
