ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধার চরাঞ্চলে উৎপাদিত ছিটা পিঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে

প্রকাশিত: ০৩:৫০, ১৮ নভেম্বর ২০১৯

গাইবান্ধার চরাঞ্চলে উৎপাদিত ছিটা পিঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ গাইবান্ধা জেলার চরাঞ্চলের বেঁলে মাটিতে এবার প্রচুর পরিমাণে আগাম জাতের ছিটা পিয়াজের চাষ করা হয়েছে। তদুপরি আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় জমিতে বীজ ছিটিয়ে চাষ করা ছিটা পিয়াজ নামে আখ্যায়িত এর ফলনও হয়েছে অনেক বেশী। এদিকে পিয়াজের দাম বেশী থাকায় কৃষকরা আগাম জমি থেকে পিয়াজ তুলে তা বাজারজাত করায় হাট-বাজারগুলোতে পাতাসহ নতুন পিয়াজের আমদানি এখন অনেক বেশী। ফলে পিয়াজের দামও কমতে শুরু করেছে। এছাড়াও আমদানিকৃত পুরাতন পিয়াজ এখন জেলার হাট-বাজারের আড়তগুলোতে বেশী মাত্রায় আসতে শুরু করেছে। সে কারণে পুরাতন পিয়াজের সরবরাহ বেশী হওয়ায় সেগুলোরও দাম কমছে। ফলে কেজি প্রতি পুরাতন পিয়াজ ৪০ থেকে ৬০ টাকা এবং নতুন পিয়াজ কেজি প্রতি ৩০ টাকা কমেছে। এখন প্রতিকেজি নতুন পিয়াজ ৫০ টাকা এবং আমদানিকৃত পুরাতন পিয়াজ ১৬০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। সংগত কারণেই ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, জেলার সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার প্রতিবছর আগাম এই ছিটানো জাতের পিয়াজ চাষ করা হয়। এবার ৪৭০ হেক্টর জমিতে এই ছিটা পিয়াজ চাষ করা হয়েছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সুত্রে জানা গেছে। এই জাতের পিয়াজ আকৃতিতে খুব ছোট হয় এবং আগাম এদের জমি থেকে তুলে নিতে হয়। তদুপরি বীজ থেকে চারা করে যে পিয়াজ উৎপাদন করা হয় তা জমি থেকে উত্তোলন করা হয় পৌষ মাস থেকে মাঘ মাসের মধ্যভাগে। এই জাতের পিয়াজ আকৃতি হয় অনেক বড় এবং ফলনও হয় অনেক বেশী। এ বছর বাজারে পিয়াজের দাম বেশী থাকায় ছিটা পিয়াজ বিক্রি করে চরাঞ্চলের কৃষকরা আর্থিক দিক থেকে যথেষ্ট লাভবান হয়েছে। পিয়াজ চাষীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এজন্য ধান চাষের পরিবর্তে সবজি চাষের দিকেই বেশী পরিমাণ আগ্রহী হয়ে উঠছে তারা। কেননা প্রতিবছর পিয়াজ, মরিচ, রসুন, ডাল, ধনিয়া পাতা, পালন শাক, ফুলকপি, বাঁধাকপির দাম যথেষ্ট বাড়তি লক্ষ্য করেই তারা ফসল চাষে বিকল্প চিন্তা ভাবনা করতে বাধ্য হচ্ছে বলে কৃষকরা জানান।
×