ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় আয়রণ ব্রিজ বিধ্বস্ত ॥ সাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ছয় গ্রামের মানুষ দূর্ভোগে

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ১৮ নভেম্বর ২০১৯

কলাপাড়ায় আয়রণ ব্রিজ বিধ্বস্ত ॥ সাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ছয় গ্রামের মানুষ দূর্ভোগে

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী ॥ পটুয়াখালীর কলাপাড়ার জয়বাংলা বাজার সংলগ্ন আয়রন ব্রিজটি ভেঙ্গে গেছে। ফলে সেখানকার স্কুল-মাদ্রাসায় চলাচলকারী ছাত্র-ছাত্রীসহ সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ চরমে। ছয়দিন আগে ব্রিজটি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এখন মানুষ ডিঙি নৌকায় আসা-যাওয়া করছে। বাজারের ব্যবসায়ীসহ শত শত মানুষ চরম বিপদে পড়েছে। কলাপাড়ার বালিয়াতলী ও মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের মাঝখানে সাপুড়িয়া খালের ওপর আয়রণ ব্রিজটি ১৯৮৭-৮৮ অর্থবছওে নির্মাণ করা হয়। বাজারের ব্যবসায়ীসহ হাজারো শিক্ষার্থী এবং ছয় গ্রামের মানুষ ব্রিজটি পার হয়ে চলাচল করত। স্থানীয়রা জানায়, এ ব্রিজটি পার হয়ে নিত্যদিন মিঠাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়. পশ্চিম মিঠাগঞ্জ আশ্রাফুল উলুম কেরাতুল কোরআন কওমী মাদ্রাসা, আলীগঞ্জ আরামগঞ্জ দারুল ইসলাম দাখিল মাদ্রাসা, আলীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আরামগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আরামগঞ্জ মহিলা হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও আহম্মাদিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা চলাচল করত। এছাড়া কলাপাড়া সদরে কলেজে আসতেও এই ব্রিজটি পার হতে হয় শিক্ষার্থীদের। জয়বাংলা বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল তান্ডবের দুইদিন পর গত ১৩ নবেম্বর ভোরে সেতুটি হঠাৎ ভেঙ্গে সাপুড়িয়া খালের মধ্যে পড়ে যায়। এতে বন্ধ হয়ে যায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। গত ছয়দিনেও সেতু বিকল্প চলাচলের ব্যবস্থা না করায় এখন স্থানীয় উদ্যোগে একটি ডিঙি নৌকা দিয়ে খাল পারাপার হতে হচ্ছে। এজন্য জনপ্রতি দশ টাকা দিতে হচ্ছে নৌকার চালককে। শিক্ষার্থীরা জানায়, এই ভাঙ্গা সেতু দিয়ে স্কুল-মাদ্রাসায় আসা যাওয়া করতে গিয়ে প্রায় দূর্ঘটনা ঘটত। অনেকে খালে পড়ে গেছে। এখন খেয়া পার হতে হয়। এখন আরও বেশি ভয় করে। যারা সাঁতার জানে না তারা স্কুলে আসে না। ব্যবসায়ী মো. সাইদুল বলেন, ব্রিজটি ভেঙ্গে পড়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীদের। কলাপাড়া এলজিইডির প্রকৌশলী মো. আব্দুল মান্নান জানান, জয়বাংলা ব্রিজটি ভেঙ্গে একটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাবনা মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। ৪৫ মিটার দীর্ঘ ওই সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। প্রস্তাবনা অনুমোদন হলে সেতু নির্মান কাজ শুরু হবে।
×