ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

৫ মাসে ২৪ কোটি ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত: ০৭:৫৬, ১৮ নভেম্বর ২০১৯

৫ মাসে ২৪ কোটি ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত বছরের একই সময়ে ডলারের বাজার রমরমা থাকলেও বর্তমান খুবই মন্দা। বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসায় ডলারের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হয়েছে। নতুন অর্থবছরের শুরু থেকে আজ সোমবার পর্যন্ত মাত্র ২৪ কোটি ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সংশ্লিষ্ট তথ্যমতে, গত অর্থবছরে (২০১৮-১৯) মোট ২৩৪ কোটি ডলার বিক্রি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বেসরকারি খাতের আমদানি কমে যাওয়ায় ডলারের চাহিদা তলানিতে পৌঁছেছে বলে মত বিশ্লেষকদের। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ধারাবাহিকভাবে কমছে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস শেষে বার্ষিক ঋণ প্রবৃদ্ধি নেমে ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এ হার ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরের পর সর্বনিম্ন। ওই সময়ে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ০৯ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৭ সালের মাঝামাঝি বেসরকারি খাতের ঋণ হু হু করে বাড়ছিল। সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে বেসরকারি খাতে সর্বোচ্চ ১৯ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ ঋণ প্রবৃদ্ধি হয় ২০১৭ সালের নভেম্বরে। ফলে ঋণপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণে ২০১৮ সালের শুরুতেই ঋণ-আমানত অনুপাত (এডিআর) কিছুটা কমিয়ে আনে বাংলাদেশ ব্যাংক। তারপর থেকে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমতে থাকে। এরপর কয়েক দফা এডিআর সমন্বয়ের সীমা বাড়ানো হলেও নানা কারণে ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়ছে না। নিম্নমুখীর ধারা অব্যাহত আছে। তবে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক এডিআর হার বাড়িয়ে পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই আগামীতে ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৮ সালের আগস্টের তুলনায় চলতি বছরের (২০১৯) আগস্টে বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এর আগে আগস্ট শেষে বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ৬৮ শতাংশ। তার আগের মাস জুলাইয়ে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ; জুন মাসে ১১ দশমিক ২৯ শতাংশ; মে মাসে ১২ দশমিক ১৬ শতাংশ; এপ্রিলে ১২ দশমিক ০৭ শতাংশ; মার্চে ১২ দশমিক ৪২ শতাংশ; ফেব্রুয়ারিতে ছিল ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং জানুয়ারিতে ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ।
×