ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

যেকোনো মূল্যে খালেদাকে মুক্ত করবো : ফখরুল

প্রকাশিত: ০৮:৪০, ১৮ নভেম্বর ২০১৯

যেকোনো মূল্যে খালেদাকে মুক্ত করবো :  ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা হচ্ছে না অভিযোগ করে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, যেকোনো মূল্যে আমরা তাঁকে মুক্ত করবো। সেই সঙ্গে দেশের গণতন্ত্রকেও আমরা মুক্ত করবো। সোমবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট বার এ্যাসোসিয়েশন অডিটোরিয়ামে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৪ তম জনন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরবঙ্গ ছাত্র ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি চলছে। আজ দেশ একটা দানবের হাতে পড়েছে। সবকিছু তছনছ করে দিয়েছে এ সরকার। দেশে অর্থনীতি বলতে কিছু নেই। অথচ সরকার দাবি করে, বাংলাদেশ নাকি উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পর্যন্ত দলীয় লোক নিয়োগ দিয়ে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। ফখরুল বলেন, মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি চলছে। চতুর্দিকে শুধু ঋণ আর ঋণ। ঋণে এ সরকার পূর্ণ হয়ে গেছে। শেয়ার মার্কেট থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হয়ে যাচ্ছে। ব্যাংক থেকে টাকা লুট হয়ে যাচ্ছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ফখরুল বলেন, কোথাও তো কোনো কিছু খুঁজে পান নাই। সারা বিশ্বে তন্ন তন্ন করে খুঁজেছেন কোথাও কোনা দুর্নীতির চিহ্ন খুঁজে পান নাই। তিনি বলেন, আজকে হাজার হাজার লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা, আমাদের বন্ধুরা অনেকে গুম হয়ে গেছেন। আমাদের ছেলেরা অনেক আজকে গ্রাম থেকে পালিয়ে ঢাকায় এসে রিকসা চালাচ্ছে, হকারের কাজ করছে। এরকম একটা ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে দেশের রাজনীতি চলছে। এই রাজনীতিকে মুক্ত করতে হবে। ফখরু বলেন, তারেক রহমান অল্পদিনের আমাদের দল গোছানোর কাজ শেষ করে ফেলেছেন। বিএনপির মধ্যে নতুন প্রাণ সৃষ্টি করেছেন। হাজার হাজার মাইল দূর থেকে দলকে পরিচালনা করছেন। দলের দুঃসময়ে তিনি সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে বিএনপিকে এগিয়ে নিচ্ছেন। তারেকের নেতৃত্বে বিএনপিতে নতুন প্রাণ সৃষ্টি হয়েছে। তারেক রহমানের শুভ দিনে আমরা তার জন্য শুভ কামনা করছি। সেই সঙ্গে তার কাছে আমরা শপথ করি যে, আমরা যেকোনো মূল্যে আমাদের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব এবং যেকোনো মূল্যে দেশের গণতন্ত্রকে মুক্ত করে নিয়ে আসবো। ফখরুল বলেন, ২০০২ সালে আমার সৌভাগ্য হয়েছিলো প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে যাওয়ার। গার্ড অব অনারের পরে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী অতিথি প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিয়ে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। আমরা যারা সফরে ছিলাম তখন লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমাদের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চীনের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে সব সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দিতে আসছেন। তখন আমার পাশেই ছিলেন তারেক রহমান। যখন খালেদা জিয়া চীনের প্রধানমন্ত্রীকে পরিচয় করিয়ে দিতে দিতে তারেক রহমানকে পরিচয় করিয়ে দিলেন- আমার ছেলে তারেক রহমান। চীনা প্রধানমন্ত্রী সেসময়ে যে উক্তিটি করেছিলেন সেটা আমার কাছে অত্যন্ত সিগনিফিকেন্ট মনে হয়। তিনি বলেছিলেন, ওয়েল ইয়াং ম্যান। কেরি দ্যা ফ্লাগ অব ইয়োর ফাদার এন্ড ইয়োর মাদার। আজকে আমি বলতে চাই, সেই পতাকাটা কীসের পতাকা? সেই পতাকা হচ্ছে স্বাধীনতা সংরক্ষনের পতাকা, সেই পতাকা হচ্ছে গণতন্ত্রের পতাকা, সেই পতাকা হচ্ছে মানুষের অধিকার রক্ষার পতাকা। আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মীর হেলালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শামুসর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ।
×