ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রধানমন্ত্রীর কাছে লেখা চিঠিতে খালেদার মুক্তি চায়নি বিএনপি ॥ তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:০৩, ১৯ নভেম্বর ২০১৯

প্রধানমন্ত্রীর কাছে লেখা চিঠিতে খালেদার মুক্তি চায়নি বিএনপি ॥ তথ্যমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে লেখা চিঠিতে দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়নি বিএনপি। তারা স্টান্টবাজি করতে এই চিঠি দিয়েছে। এটি তাদের রাজনৈতিক স্টান্টবাজি ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি আরও বলেন, এতে খালেদা জিয়া সম্পর্কে একটি শব্দও নেই। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে, বিএনপি আসলে খালেদা জিয়ার মুক্তি চায় কিনা। সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর বিএনপির পত্র দেয়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, রবিবার বিএনপির পক্ষ থেকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরে একটি চিঠি প্রধানমন্ত্রী বরাবর দেয়া হয়েছে। যেটি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া গ্রহণ করেছেন। সেই চিঠি পড়লে আপনারা সব কিছু দেখতে পাবেন। সেখানে বেগম জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কোন কথা বলা হয়নি। বেগম খালেদা জিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথমবারের মতো তারা প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি চিঠি দিয়েছেন। সেখানে কোন জায়গায় খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি নেই। একটি শব্দও বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে সেখানে নেই। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে যে, বিএনপি আসলে খালেদা জিয়ার মুক্তি চায় কিনা। তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি নেতারা) যে সব সময় খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে কথা বলেন, শারীরিক বিষয়-আশায় নিয়ে কথা বলেন, সেগুলো নিছকই জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য কিনা, সেই প্রশ্ন জাগে। নাকি খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে বাইরে রাজনীতি করে জনগণের সহানুভূতি আদায় করতে চায়, কোন্টি Ñসেই প্রশ্ন জাগে। বিএনপি চিঠিটি মূলত দিয়েছে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির ভাষ্য অনুযায়ী, যে চুক্তিগুলো হয়েছিল সে সম্পর্কে জনগণ জানে না। অথচ এই সফরে কোন নতুন চুক্তি হয়নি। এই সফরে যেগুলো হয়েছে তা হচ্ছে মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং বা এমওইউ এবং স্ট্যান্ডার্ড অব অপারেশনাল প্রসিডিউর বা এসওপি। শুধু লাইন অব ক্রেডিট, যেটা ভারত সরকার আমাদেরকে দিয়েছে, সেই এ্যাগ্রিমেন্টের আলোকে এক্সিম ব্যাংক ঢাকায় একটি অফিস খুলবে। সেই মর্মে চুক্তি হয়েছে, অন্য কোন চুক্তি সেখানে হয়নি। অথচ বিএনপির চিঠিতে বলা হয়েছে চুক্তি। বিএনপির মতো একটি দল এবং বিএনপির মহাসচিব তারা চুক্তি ও এমওইউ-এর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারে না, এটি দেখে আমার আশ্চর্য লাগছে। তিনি বলেন, তারা বলেছে, সংবিধান অনুযায়ী এগুলো রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করার বিষয় রয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর থেকে এসে রাষ্ট্রপতিকে সমস্ত বিষয় অবহিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে ভারত সফরের বিষয় বিস্তারিত তথ্য জনগণকে অবহিত করেছেন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংসদেও সব বিষয় ব্যাখ্যা করে বলেছেন। বিএনপির যে চিঠি এটি হচ্ছে অন্তঃসারশূন্য চিঠি এবং এই চিঠিতে তারা এমওইউ ও চুক্তির মধ্যে পার্থক্য বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন, সেটি স্পষ্ট হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি যেসব প্রশ্ন তুলেছে তা প্রধানমন্ত্রী বার বার ব্যাখ্যা করেছেন, সেটা তারাও জানে। বিএনপির এই চিঠি দেয়া একটি রাজনৈতিক স্টান্টবাজি ছাড়া কোন কিছু নয়। তারা যে ভারতবিরোধী রাজনীতি থেকে বের হয়ে আসেনি, সেটি বোঝানোর জন্য মূলত এই চিঠিটি দিয়েছে। অন্য কোন কিছু নয়।
×