ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঠিক রাখতে পারছে না পায়রা বিদ্যুত কেন্দ্র

প্রকাশিত: ১১:৫৪, ১৯ নভেম্বর ২০১৯

উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঠিক রাখতে পারছে না পায়রা বিদ্যুত কেন্দ্র

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দিনক্ষণ ঠিক করেও ডিসেম্বরে উৎপাদনে যেতে পারছে না পায়রা তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র। ফলে জাতীয় গ্রিডে এই মুহূর্তে যোগ হচ্ছে না ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিদ্যুত কেন্দ্রের সঞ্চালন লাইনের কাজ শেষ না হওয়ায় উৎপাদনের তারিখ নির্ধারণ করেও তা আর সম্ভব হচ্ছে না। দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে ২০১৬ সালে ২ বিলিয়ন ডলার খরচে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া এলাকায় কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয় সরকার। ১ হাজার একরেরও বেশি জমিতে বাংলাদেশ ও চীনের দুটি প্রতিষ্ঠান নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি এবং ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট এ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন (সিএমসি) যৌথভাবে এ বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণ করছে। পায়রা তাপ বিদ্যুতকেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক শাহ মোঃ গোলাম মাওলা জানান, দুটি ইউনিটে ভাগ করে বিদ্যুতকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হচ্ছে। তাদের লক্ষ্য ছিল প্রথম ইউনিট থেকে আসছে ডিসেম্বরে বিদ্যুত উৎপাদন শুরু করা। সে লক্ষ্যে প্রকল্পের ইউনিট-১ ও ইউনিট-২ এর টারবাইন জেনারেটর বসানো হয়েছে। প্রকল্পের মালামাল লোড-আনলোডের জন্য জেটির কাজও শেষ পর্যায়ে। এছাড়া প্লান্টের গুরুত্বপূর্ণ ওয়াটার ইন্টেক, কোল ডোম, কুলিং টাওয়ার, পানি পরিশোধন ও প্লান্ট কনভেয়ার বেল্ট স্থাপনের কাজ শেষ পর্যায়ে নিয়ে এলেও উৎপাদনের মেইন লাইন এখনও ঠিক করা যায়নি। যে গতিতে এখন কাজ চলছে এবং যা বাকি রয়েছে, তা শেষ করে ডিসেম্বরে বিদ্যুত উৎপাদনে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও জানান, এই কেন্দ্রের ইউনিট-১ থেকে উৎপাদিত ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুত যুক্ত হবে গোপালগঞ্জের সাব-স্টেশনে। সেখান থেকে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে। তিন বছর মেয়াদী প্রকল্পটি চলতি বছরেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিদ্যুতকেন্দ্রটি নির্মাণকে কেন্দ্র করে শ্রমিক অসন্তোষে প্রায় ছয় মাস কাজ পিছিয়ে যায়। ডিসেম্বরে উৎপাদনে যাওয়ার দিনক্ষণ ঠিক করলেও এবার তা হচ্ছে না। ফলে আরও পিছিয়ে গেল পায়রা বিদ্যুতকেন্দ্রের উৎপাদন প্রক্রিয়া। পায়রা তাপ বিদ্যুতকেন্দ্রটি পুরোপুরি চালু হলে এখান থেকে পাওয়া যাবে মোট ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুত।
×