ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মায়ের সঙ্গে থাকতে থানায় এরিকের জিডি

প্রকাশিত: ১২:৩৬, ১৯ নভেম্বর ২০১৯

মায়ের সঙ্গে থাকতে থানায় এরিকের জিডি

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ নিজ বাড়িতেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জানানোর পাঁচ দিনের মধ্যে থানায় জিডি করেছেন এরশাদপুত্র শাহতা জারাব এরিক। সোমবার গুলশান থানায় করা এই সাধারণ ডায়েরিতে (জিডি) এরিক তার বারিধারার বাড়িতে মা বিদিশাকে রাখতে চাওয়ার কথা জানিয়েছেন। এরিক বিকালে এসে এই জিডি করেন বলে জানিয়েছেন গুলশান থানার ওসি মোঃ কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘তিনি (এরিক) বলেছেন, তিনি অসুস্থ বিধায় তার মাকে নিয়ে থাকতে চান।’ খবর বিডিনিউজের। চাচা জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে জিডিতে এরিক লিখেছেন, ‘যার ফলে আমি ১৪/১১/২০১৯ তারিখে আমার মা বিদিশা এরশাদকে আমার নিজ বাড়ি প্রেসিডেন্ট পার্কে নিয়ে আসি। যেহেতু আমি প্রাপ্তবয়স্ক, তাই আমি স্বাধীন মত প্রকাশ করতে পারি। এখন থেকে আমি ও আমার মা আমার নিজ বাড়িতে বসবাস করব।’ জিডিতে ইংরেজীতে সই করেছেন এরিক। তিনি থানায় গিয়েছিলেন তার ব্যক্তিগত কর্মীদের নিয়ে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদিশা বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে আর কিছু বলব না, যা খুশি লিখেন।’ এরশাদের মৃত্যুর পর থেকে বারিধারার ‘প্রেসিডেন্ট পার্ক’ এ থাকা এরিকের সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার রাতে ‘জোর করেই’ উঠে পড়েন বিদিশা। ওই ভবনের পাঁচ তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকেন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন তরুণ এরিক। এরিকের দায়িত্ব নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী বিদিশার লড়াই আদালতে গড়িয়েছিল। এরিককে দেখতে প্রেসিডেন্ট পার্কে গেছেন জাতীয় পার্টি নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের (ইউএনএ) নেতারা। সোমবার বিকেলে ইউএনএ জোটভুক্ত দল বিএনডিপির চেয়ারম্যান শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, মহাসচিব সাদ্দাম হোসেন, জোটে যোগ দিতে ‘ইচ্ছুক’ বাংলাদেশ ন্যাশনাল কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট শেখ শহিদুজ্জামান ওই বাড়িতে যান। শেখ শহিদুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ৫ জন এসেছিলাম আজকে বিকেলে। দীর্ঘক্ষণ বসে থেকে আমরা এরিক এরশাদ ও বিদিশা ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাই। আমরা এরিককে সহানুভূতি জানাতে গিয়েছিলাম।’ এরিক এরশাদ এখন ‘অনেকটাই সুস্থবোধ’ করছেন বলে জানান শহিদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘এরিক ও বিদিশা ম্যাডামের সঙ্গে আমাদের খুব বেশি কথা হয়নি। বেশ রিজার্ভ ছিলেন এরিক। এরিক শুধু বলেছেন, তিনি মায়ের সঙ্গে থাকতে চান। বাইরের কেউ যেন তাকে ডিস্টার্ব না করেন।’ এদিকে ইউএনএ নেতাদের প্রেসিডেন্ট পার্কে যাওয়ার খবর জাতীয় পার্টির শীর্ষনেতারা কেউ জানেন না বলে জানান দলটির চেয়ারম্যানের প্রেস এ্যান্ড পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভ রায়। বিএনডিপি ও ন্যাশনাল কংগ্রেস অনুরোধ জানিয়েছিল সম্মিলিত জাতীয় জোটের অন্য শরিকদেরও। কিন্তু তাতে সায় আসেনি। বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মনি বলেন, ‘এরিককে নিয়ে জাতীয় পার্টিতে এখন রাজনীতি চলছে। আমরা গেলে পরে আবার জি এম কাদের সাহেব না ক্ষিপ্ত হন, সব দিক ভেবে আমরা যাইনি।’ এরিককে দেখতে যাওয়ায় জোটের রাজনীতিতে কোন সমস্যা হবে না বলে মনে করেন শেখ শহিদুজ্জামান। ‘আমরা জাতীয় পার্টির কোন নেতার সঙ্গে আলোচনা করে আসিনি। আমার মনে হয় না, আমাদের দেখা করতে আসা নিয়ে কোন সমস্যা হতে পারে। জি এম কাদেরের সঙ্গে আমাদের গুড রিলেশন।
×