ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতীয় লোকসভায় ফারুক আব্দুল্লাহ’র আটকাদেশ নিয়ে উত্তেজনা

প্রকাশিত: ২৩:৫৭, ১৯ নভেম্বর ২০১৯

ভারতীয় লোকসভায় ফারুক আব্দুল্লাহ’র আটকাদেশ নিয়ে উত্তেজনা

অনলাইন ডেস্ক ॥ ভারতীয় লোকসভার শীতকালীন অধিবেশন আজ জম্মু কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহকে আটক রাখাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে কংগ্রেস এবং বিরোধি সদস্যদের উত্তেজিত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে। ফারুক আবদুল্লাহ কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে আইনের ৩৭০ ধারায় গত আগস্ট মাসের পর থেকে শ্রীনগরে নিজ বাসভবনে আটক রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে কঠোর জননিরাপত্তা আইনে জনশৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে। আজ পার্লামেন্টে নতুন চারজন সদস্যের শপথ গ্রহন এবং সাম্প্রতিক সময়ে লোকসভা ও রাজ্য সভার কয়েকজন সদস্যের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পর দিবসের কার্যাবলী শুরু হয়। প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হলে কংগ্রেস দলের প্রায় ৩০ জন সদস্য হৈচৈ শুরু করেন এবং বিরোধী দলের সদস্যদের ওপর হামলা বন্ধ এবং বিরোধি নেতাদের বিরুদ্ধে করা সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। স্থানীয় সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়, ন্যাশনাল কনফারেন্সের কয়েকজন সদস্য জম্মু কাশ্মীরের সাবেক মুখ্য মন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ’র আটকাদেশ নিয়ে বৈধতার প্রশ্ন তুললে পার্লামেন্টে উত্তেজনার সূত্রপাত ঘটে। আরএসপি নেতা এন কে প্রেমাচন্দ্রন অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রশ্নের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবের সুযোগ নিয়ে বিষয়টির অবতারণা করেন। তিনি বলেন, ফারুক আবদুল্লাহ সংসদে নেই, সংসদও কোন আদেশ দেননি। আমাকে কোন প্রশ্নও করতে বলা হয়নি। কংগ্রেস নেতা অধির রঞ্জন চৌধুরী পরে কাশ্মীর ইস্যুতে কড়া বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি নিজেদের সংসদ সদস্যদের কাশ্মীর সফরের অনুমতি না দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এমপিদের একটি বেসরকারি প্রতিনিধি দলের কাশ্মীর সফরের অনুমতি দেয়ায় সরকারের কঠোর সমালোচনা করেন। মি. চৌধুরী বলেন, আমাদের নেতা রাহুল গান্ধীকে কাশ্মীর যাবার অনুমতি না দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যদের কি ভাবে সেখানে যাবার অনুমতি দেয়া হলো। কয়েকজন সদস্যকে কাশ্মীরে প্রবেশ করতে না দিয়ে তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়া হয়, এটি কি সকল সদস্যদের অবমাননা করা হয়নি। পিটিআই’র খবরে বলা হয়, বিজেবি’র দীর্ঘ দিনের পুরনো শরীক দল শিব সেনার সদস্যরা সংসদে শ্লোগান দেন এবং কৃষকদের ত্রাণ দেয়ার দাবি জানান। পরে তারা সংসদ বর্জন করেন। স্পিকার ওম বিরলা বিক্ষুব্ধ সংসদ সদস্যদের বলেন, প্রশ্নোত্তর পর্বের পরে এ বিষয়ে তাদেরকে কথা বলার সুযোগ দেয়া হবে। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রালহাদ জোশি বলেন, বিক্ষুব্ধ সদস্যদের সহায়তা কামনা করে বলেন, সরকার যে কোন বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ সময় সংসদে উপস্থিত ছিলেন না।
×