ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শেরপুরে তৃতীয় লিঙ্গ হিজড়া কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে র‌্যালি

প্রকাশিত: ০৪:৪৪, ১৯ নভেম্বর ২০১৯

শেরপুরে তৃতীয় লিঙ্গ হিজড়া কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে র‌্যালি

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ ‘হিজড়া বলে অবহেলা নয়, আমরাও মানুষ, আমাদেরও আছে বেঁচে থাকার অধিকার, কর্মসংস্থান ও সামাজিক স্বীকৃতি চাই সবার’-এ শ্লোগানে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠির সংগঠন শেরপুর জেলা হিজড়া কল্যাণ সংস্থার দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার ও নাগরিক সংগঠন জনউদ্যোগ শেরপুর কমিটির সহায়তায় বর্ণাঢ্য র‌্যালি, কেককাটা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসনের তুলশীমালা সভাকক্ষে প্রতিষ্ঠাবার্র্ষিকীর কেক কাটেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব। ওইসময় তিনি তৃতীয় লিঙ্গ হিজড়া জনগোষ্ঠির সদস্যদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। পরে সেখানে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) এটিএম জিয়াউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন, জাতীয় জয়িতা পুরষ্কারপ্রাপ্ত তৃতীয় লিঙ্গের উদ্যোক্তা জামালপুর সিড়ি সমাজ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি আরিফা ইয়াসমিন ময়ুরী, অধ্যাপক শিব শংকরা কারুয়া, জনউদ্যোগ আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শেরপুর জেলা হিজড়া কল্যাণ সংস্থার সভাপতি নিশি সরকার। অনুষ্ঠানে প্রয়াত মাধূরী হিজড়ার স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অংশগ্রহনকারীদের আপ্যায়িত করা হয়। এর আগে সকালে শহরের থানা মোড়ে রেং-বেরংয়ের বেলুন উড়িয়ে র‌্যালির উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন। র‌্যালিতে তৃতীয় লিঙ্গ জিড়া জনগোষ্ঠিরা ছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলাম, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান সাবিহা জামান শাপলা, ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি শরিফুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতি ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আধার, জনউদ্যোগের সদস্য সচিব হাকিম বাবুলসহ পুলিশ বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তা, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, সাংবাদিক ও স্থানীয় সুধীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। পরে বাদ্য-বাজনাসহ র‌্যালিটি শহর প্রদক্ষিণ করে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। ওইসময় পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে র‌্যালিতে অংশগ্রহণকারীদের মিষ্টিমুখ করানো হয়।
×