ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাপানের সহায়তা চাইলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৩:১৩, ২১ নভেম্বর ২০১৯

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাপানের সহায়তা চাইলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে জাপানের সহায়তা চেয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানী রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতোর সঙ্গে এক বৈঠকে এ সহায়তা চান প্রতিমন্ত্রী। এদিকে রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে মীমাংসার কৌশল গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। খবর বাংলা নিউজ ও বাসস’র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতোর সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। বৈঠকে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে জাপানের সহায়তা চান তিনি। একইসঙ্গে বাংলাদেশ থেকে বিশেষায়িত কর্মী নেয়ার উদ্যোগে জাপানের রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান। এ উদ্যোগের মধ্যে দিয়ে দু’দেশই লাভবান হবে বলে প্রত্যাশা করেন প্রতিমন্ত্রী। ঢাকায় নবনিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতোর সঙ্গে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এটাই প্রথম বৈঠক। রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে মীমাংসার আহ্বান বাংলাদেশের ॥ বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে স্বচ্ছতা ও বস্তুনিষ্ঠতার সঙ্গে একটি সুনির্দিষ্ট মীমাংসার কৌশল গ্রহণের জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেনের বরাত দিয়ে প্রাপ্ত এক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি, মীমাংসাটাই রোহিঙ্গাদের মানবিক সঙ্কট নিরসনের একমাত্র পন্থা হতে পারে, যে সঙ্কটের চাপ আমরা প্রতিনিয়ত সহ্য করছি।’ খবর বাসস’র জাতিসংঘ সদরদফতরে ইউএনএসসি ‘দ্য রোল অব রিকনসিলিয়েশন ইন মেইনটেইনিং ইন্টারন্যাশনাল পিস এ্যান্ড সিকিউরিটি’ শীর্ষক একটি উন্মুক্ত বিতর্কের আয়োজন করে। ওই অনুষ্ঠানে মাসুদ বিন মোমেন একথা বলেন। রাষ্ট্রদূত মাসুদ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মিয়ানমারের অন্যান্য সমাজ ও মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের আলাপের মাধ্যমে আপোস করে রাখাইনে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। জাতিসংঘ মহাসচিবও এ ব্যাপারে বলেন, ‘ন্যায়বিচার ছাড়া কোন আপোস মীমাংসাই ফলপ্রসূ হবে না। যুক্তরাজ্যের সভাপতিত্বে এই উন্মুক্ত বিতর্ক হয়।
×