ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

তিন মাসে সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি ৪ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা

প্রকাশিত: ০৭:০২, ২১ নভেম্বর ২০১৯

তিন মাসে সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি ৪ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে ভাটার টান। ব্যাংকবিমুখ সঞ্চয়কারীদের ভিড় ঠেকাতে সরকারের নানা পদক্ষেপ, মুনাফা কমায় নিরাপদ এ বিনিয়োগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১৮৫ শতাংশ কম। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টম্বর সময়ে নিট সঞ্চয়পত্রের বিক্রির পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ৪১২ কোটি টাকা। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, বর্তমানে ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রের সুদের ওপর উৎসে কর ৫ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। ১ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে কর শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সঞ্চয়পত্রের সব লেনদেন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে করতে হচ্ছে ক্রেতাদের। দুর্নীতি কিংবা অপ্রদর্শিত আয়ে সঞ্চয়পত্র কেনা বন্ধ করতে ক্রেতার তথ্যের একটি ডাটাবেসে সংরক্ষণের লক্ষ্যে অভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে। এছাড়া সঞ্চয়পত্রে বড় বিনিয়োগে কঠোর হয়েছে সরকার। চাইলেই ভবিষ্যৎ তহবিল বা প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থে সঞ্চয়পত্র কেনার সুযোগ নেই। এখন প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে কর কমিশনারের প্রত্যয়ন লাগে। পাশাপাশি কৃষিভিত্তিক ফার্মের নামে সঞ্চয়পত্র কিনতে লাগছে উপকর কমিশনারের প্রত্যয়ন। এসব বিভিন্ন কড়াকড়ির ফলে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কেেমছ বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
×