ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রফেসর ড. আবদুল খালেক

যুবলীগ নিয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রত্যয়ী ভাবনা

প্রকাশিত: ০৯:০০, ২৩ নভেম্বর ২০১৯

 যুবলীগ নিয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রত্যয়ী ভাবনা

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যে কটি সহযোগী সংগঠন আছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন। শুধু আওয়ামী লীগের প্রয়োজনে নয়, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আওয়ামী যুবলীগের জন্ম। আওয়ামী যুবলীগ প্রতিষ্ঠার একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট আছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুধাবন করতে পারেন দেশের এখন যারা যুবক ভবিষ্যতে তাদেরকেই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে হবে। যে যুব সম্প্রদায় দেশের অমূল্য সম্পদ, সেই যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে যদি দেশপ্রেম এবং রাজনৈতিক সচেতনতার উন্মেষ ঘটানো না যায়, দেশের নেতৃত্ব দিতে তারা ব্যর্থ হবে। এই উপলব্ধি থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭২ সালে আওয়ামী যুবলীগ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন ভাল রাজনৈতিক নেতা হতে গেলে উত্তম রাজনৈতিক প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। রাজনৈতিক প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী রাজনৈতিক সংগঠন। সেই বিশ্বাস থেকে তিনি তাঁর জীবনে বেশ কটি রাজনৈতিক সংগঠনের জন্ম দিয়েছেন। রাজনৈতিক প্রশিক্ষণের তিনটি ধাপকে তিনি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। যেমন ছাত্রজীবনে যাতে ছাত্ররা দেশের রাজনীতি সম্পর্কে সচেতনতা অর্জন করতে পারে, সেই লক্ষ্যে তিনি ১৯৪৮ সালে গঠন করেছিলেন ছাত্রলীগ। ছাত্রজীবন শেষ করবার পর তারা যখন কর্মজীবনে প্রবেশ করবে, তখনও তারা যাতে রাজনীতি চর্চা করতে পারে, রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারে তাদের জন্য তিনি ১৯৭২ সালে গঠন করেন আওয়ামী যুবলীগ। এই স্তরকে চিহ্নিত করা যেতে পারে রাজনীতি চর্চার দ্বিতীয় ধাপ হিসেবে। যুবলীগ নেতা-কর্মীদের একটি নির্দিষ্ট বয়স থাকবে। নির্দিষ্ট বয়স অতিক্রম করবার পর যুবলীগ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নেতা-কর্মীদের সর্বশেষ অবস্থান ঘটবে আওয়ামী লীগে। ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ থেকে যে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা তারা সঞ্চয় করবে, যে মেধা-প্রজ্ঞা তারা অর্জন করবে, সেই মেধার সুফল লাভ করবে আওয়ামী লীগ, উপকৃত হবে দেশ এবং জাতি। বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-ভাবনা কতটা সুদূরপ্রসারী ছিল, এখন তা আমরা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতে পারি। বর্তমানে যাঁরা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, শুধু আওয়ামী লীগের নয়, বলা যেতে পারে দেশ এবং জাতির নেতৃত্ব দিচ্ছেন, রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন, তাঁরা প্রায় সবাই ছাত্রলীগ অথবা যুবলীগ থেকে রাজনীতিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগ একে অপরের পরিপূরক। সবগুলো সংগঠন যেন একই সূতোয় গাঁথা একটি সুবিন্যস্ত মালা হয়ে আছে। সংগঠনগুলোর প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচর্যাকারীও অভিন্ন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নাম কেউ হয়তো বলতে পারেন, কিন্তু বেশি সময় তিনি আওয়ামী লীগ করেননি, পঞ্চাশের দশকেই তিনি আওয়ামী লীগ পরিত্যাগ করে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি গঠন করেন। শক্তিশালী রাজনৈতিক দল এবং বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ছাড়া কোন দেশ কখনও স্বাধীনতা লাভ করতে পারে না। ১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ৬ দফা ঘোষণা, ১৯৬৯ সালে সফল গণঅভ্যুত্থান ঘটানো, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা, সবকিছুর মূলে রয়েছে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং বলিষ্ঠ রাজনৈতিক নেতা হিসেবে রয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কাজেই কোন পরাধীন দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যে প্রধান দুটি শর্তের কথা বলা হয়ে থাকে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ক্ষেত্রে শর্ত দুটি শতভাগ পূরণ করেছিল শক্তিশালী দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এবং বলিষ্ঠ নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী যুদ্ধে তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে গিয়ে বাংলাদেশের পথ-ঘাট, শিল্প-কারখানাগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে পালিয়ে যায়। বাংলাদেশের অর্থনীতি তখন একেবারে পঙ্গু। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পশ্চিম পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে এসে বঙ্গবন্ধু যখন বাংলাদেশের শাসনভার গ্রহণ করেন, তখন বাংলাদেশ একটি বিধ্বস্ত জনপদ ছাড়া আর কিছু নয়। বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের কাজে বঙ্গবন্ধু যখন নিয়োজিত, সেই সময় আওয়ামী লীগের পাশাপাশি যুবলীগের নেতাকর্মীরাও দেশ গঠনের কাজে বঙ্গবন্ধুর পাশে গিয়ে দাঁড়ান। সে সময় যুব লীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনিসহ যুবলীগের যাঁরা নেতাকর্মী ছিলেন, তাঁরা সবাই ছিলেন ছাত্রলীগ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নেতাকর্মী। শেখ ফজলুল হক মনির নেতৃত্বে যুবলীগ নেতাকর্মীরা দেশ গড়ার কাজে গভীর আন্তরিকতা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। শেখ ফজলুল হক মনির গতিশীল নেতৃত্বে অল্পসময়ের মধ্যে যুবলীগ একটি আদর্শ সংগঠন হিসেবে দেশবাসীর কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান পরাজিত হয়েছিল বটে, তবে সে পরাজয়কে তারা সহজভাবে মেনে নিতে পারেনি। পাকিস্তানের পরাজয়কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনও তাদের নিজেদের পরাজয় হিসেবে গণ্য করে। এর ফলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শুরু হয় এক আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। শেষ পর্যন্ত সেই আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের নির্মম শিকার হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারবর্গ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট দেশী-বিদেশী যে খুনীচক্র বঙ্গবন্ধুকে এবং তাঁর পরিবার-পরিজনকে হত্যা করেছিল, তাদের পরিকল্পনা ছিল সুদূরপ্রসারী। একথা আজ স্পষ্ট হয়ে গেছে ১৯৭১ সালের পরাজিত শত্রুরাই ১৫ আগস্টের হত্যাকা- ঘটিয়েছে। খুনীরা দেশকে নেতৃত্বশূন্য করে ফেলতে চেয়েছিল। সে লক্ষ্যেই তারা বেছে বেছে তাঁদেরকেই হত্যা করেছিল যাঁরা বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে পারেন। খুনীদের হিসাব যে যথার্থ, যাঁদেরকে হত্যা করা হয়েছে, তাঁদের রাজনৈতিক নেতৃত্বের দক্ষতার দিকে তাকালেই তা অনুধাবন করা যায়। শেখ মুজিব পরিবার থেকে কারা ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দিতে পারেন, সে হিসাব করেই খুনীরা হত্যাকা- চালায়। শেখ কামাল, শেখ জামাল এবং শেখ রাসেলকে তারা ভয় পেয়েছিল, তারা ভয় পেয়েছিল যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনিকে। ভয় পেয়েছিল বলেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরপরই শেখ ফজলুল হক মনির বাড়িতে গিয়ে তাঁকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। কারণ ঘাতকেরা ভেবে নিয়েছিল শেখ মুজিবের পর বাংলাদেশের নেতৃত্বে আসবেন শেখ ফজলুল হক মনি। এ থেকে প্রমাণিত হয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির নেতৃত্ব কতটা বলিষ্ঠ ছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তারিখে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর ঘাতকেরা শেখ ফজলুল হক মনিকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেও থেমে থাকেনি। খুনীচক্র এরপর দৃষ্টি দেয় আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রতি যাঁরা পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধুর শূন্যস্থান পূরণ করতে পারেন। খন্দকার মুশতাক এবং জেনারেল জিয়ার হাতে তখন রাষ্ট্র ক্ষমতা। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৯৭৫ সালের ৩ নবেম্বর তারিখে জেলখানায় ঢুকে হত্যা করা হয় জাতীয় চারনেতা জনাব সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জনাব তাজউদ্দীন আহমদ, জনাব ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে। অর্থাৎ দেশকে নেতৃত্বহীন করবার এক গভীর ষড়যন্ত্র। তাদের সে ষড়যন্ত্র দেশকে মহা অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছিল, সে কথা বলবার অপেক্ষা রাখে না। তবে ষড়যন্ত্রকারীদের মূল লক্ষ্য শেষপর্যন্ত অর্জিত হয়নি। তারা ভেবে নিয়েছিল শেখ মুজিব এবং জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর আওয়ামী লীগ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে, বাংলাদেশটি পাকিস্তানে রূপান্তরিত হবে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীদের স্বপ্ন সফল হয়নি। খুনীদের সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরতœ শেখ হাসিনা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তারিখে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। ১৯৮১ সালের এপ্রিল মাসে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশে শুরু হয় সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম। দীর্ঘ একুশ বছর ধরে শেখ হাসিনাকে সেনা শাসক এবং স্বৈর শাসকদের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনে লিপ্ত থাকতে হয়। উক্ত আন্দোলনে যুবলীগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছরের ব্যবধানে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জয়ী করবার ক্ষেত্রে যুবলীগের ভূমিকাকে ছোট করে দেখবার কোন সুযোগ নেই। ২০০২ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিএনপি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে মাঠের আন্দোলনে যুবলীগ যথেষ্ট সাহসিকতার স্বাক্ষর রেখেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার যখন কারাগারে নিয়ে যায়, কারাগার থেকে তাঁকে মুক্তির আন্দোলনে যুবলীগের বিশেষ অবদান রয়েছে। ২০১৩ সালের দিকে দেশে যে জঙ্গী হামলা এবং আগুন সন্ত্রাস শুরু হয় সেগুলো দমনের ক্ষেত্রেও যুবলীগের নেতাকর্মীদের সাহসী ভূমিকা লক্ষ্য করা গেছে। তবে সম্প্রতি যুবলীগের কতিপয় নেতার কার্যকলাপে যুবলীগের ভাবমূর্তি খানিকটা ক্ষুণ্ণ হয়েছে, তাতে কোন সন্দেহ নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দ্রুত হস্তক্ষেপে যুবলীগ বড় রকমের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেয়েছে। যুবলীগের ব্যাপারে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে প্রমাণিত হয়েছে দেশরত্ন শেখ হাসিনা যুবলীগের কল্যাণ চিন্তায় কতটা তৎপর রয়েছেন। যে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শেখ ফজলুল হক মনি, সেই সংগঠনের কতিপয় নেতা অন্ধকারের দিকে পা বাড়াবে, দেশরত্ন শেখ হাসিনা তা হতে দিতে পারেন না এবং হতে দেননি। তিনি যুবলীগকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে এসেছেন। যুবলীগের ব্যাপারে তিনি যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, তা করতে হয়েছে দেশের কল্যাণে, আওয়ামী লীগের কল্যাণে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যুবলীগকে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বা অঙ্গ সংগঠন হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। মানব দেহের একটি অঙ্গ নষ্ট হয়ে গেলে সমগ্র দেহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনি আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন বা সহযোগী সংগঠন হিসেবে যুবলীগের মধ্যে যদি পচন ধরে, আওয়ামী লীগ তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে বাধ্য। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে যুবলীগের ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে এখন আর শুধু বাংলাদেশকে নিয়ে ভাবলে চলে না, সমগ্র বিশ্বকে নিয়েও তাঁকে ভাবতে হয়। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তিনি অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি আজ সুপরিচিত। তাঁর অসাধারণ প্রজ্ঞা ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ শেকড় থেকে শিখরে উন্নীত হয়েছে। হিমালয়ের উচ্চতায় তিনি নিয়ে গেছেন বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সমগ্র বিশ্ব অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখছে। শেখ হাসিনার ব্যক্তিত্ব ও নেতৃত্বের খবর এখন আর শুধু বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমার মধ্যে আবদ্ধ নেই, তিনি এখন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নেতাদের একজন। এত বড়মাপের একজন নেতা যিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, তিনি আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগকে সঠিক পথে আনতে পারবেন না, তা কখনও হতে পারে না। ইতোমধ্যেই তিনি যুবলীগের পরীক্ষিত সৎ এবং সাহসী নেতাদের খুঁজে বের করে সামনে আনতে শুরু করেছেন। দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন এই নীতি অবলম্বন করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। যুবলীগে দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ এবং সব রকমের বাজিকরদের কোন রকম স্থান হবে না। যুবলীগ যে সৎ নেতাদের হাতেই পরিচালিত হবে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার পদক্ষেপে সে বিষয়টি এখন পরিষ্কার হয়ে গেছে। যুবলীগ নিয়ে শেখ হাসিনার প্রত্যয়ী ভাবনা সুদূরপ্রসারী। আজ যারা যুবলীগের নেতা, আগামী দিনে তারাই আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেবে, এমনকি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বও এক সময় তাদেরকে নিতে হবে। যুব লীগকে পরিচর্যা করবার দায়িত্ব মূলত আওয়ামী লীগের, কারণ গঠনতান্ত্রিকভাবে যুবলীগ আওয়ামী লীগের একটি সহযোগী সংগঠন। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেরও তিনি সভাপতি। যুবলীগ নিয়ে তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপ যথার্থ এবং সময়োপযোগী। জয় হোক যুবলীগ নিয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রত্যয়ী ভাবনার। লেখক : উপাচার্য, নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রাজশাহী এবং সাবেক উপাচার্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
×