ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চবি এলামনাই সম্মিলনে প্রাণের উচ্ছ্বাস

প্রকাশিত: ০৯:৪৬, ২৩ নভেম্বর ২০১৯

 চবি এলামনাই  সম্মিলনে  প্রাণের উচ্ছ্বাস

চবি সংবাদদাতা ॥ প্রকৃতির অপরূপ নৈস্বর্গিক লীলাভূমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। প্রকৃতি যেন অতিযত্নে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে সাজিয়েছে। আমি পৃথিবীর অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এত সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয় দেখি নাই। প্রকৃতি নিজের কোলে লালন করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে। শুক্রবার দুপুরে চবির প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন এলামনাই এ্যাসোসিয়েশনের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে কথাগুলো বলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। প্রতীক্ষিত এই সম্মিলনে যেন সেই পুরনো তারুণ্যের উচ্ছ্বাস। অতীতে ফিরে গেছেন সাবেকরা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ শাটল ট্রেন। এই শাটলকে ঘিরে আমাদের অনেক মধুর স্মৃতি জড়িয়ে আছে। প্রথম বর্ষে, দ্বিতীয় বর্ষে শাটলের বগি চাপড়ে গলাছেড়ে গান করতাম। এখনও এসবের ইচ্ছা হয়, কিন্তু তা আর হয়ে ওঠে না। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রামের জিইসি কনভেনশন হলে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের ১ম অধিবেশনের উদ্বোধন করেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ও সংগঠনের সভাপতি আব্দুল করিম। জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে পুনর্মিলনী উদ্বোধন করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন সাবেক উপাচার্য ও বর্তমান উপাচার্যকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। সংবর্ধিত সাবেক উপাচার্যগণের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, অধ্যাপক ড. এম বদিউল আলম, অধ্যাপক ড. মোঃ আলাউদ্দিন, অধ্যাপক মোঃ আনোয়ারুল আজিম আরিফ ও বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার। এদিকে সকাল থেকেই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দূর-দূরান্ত থেকে আসতে থাকেন সাবেক শিক্ষার্থীরা। তাদের পদচারণায় মুখরিত হয় চট্টগ্রাম নগরী। বহুল প্রত্যাশিত চবির প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে ৮ হাজার এলামনাই নিবন্ধন করেন। দু’দিনব্যাপী আয়োজনের প্রথমদিন বৃহস্পতিবার নগরীতে অবস্থিত চবির চারুকলা ইনস্টিটিউট চত্বর থেকে একটি বর্ণিল শোভাযাত্রা বের হয়। বন্দরনগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সেই শোভাযাত্রা সিআরবি শিরিষতলায় এসে শেষ হয়। পরে সেখানে বাউল উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন অসংখ্য সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীবৃন্দ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের এই সম্মিলন ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামের বাইরের চবিয়ানরা ছুটে এসেছে প্রাণের এ উৎসবে। যারা আসতে পারেননি তাদের আকুতি দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। প্রাক্তনরা একত্রিত হয়ে মেতে ওঠে স্মৃতিচারণে। অনেকেরই এখন বয়স হয়েছে, অনেকেই এখন বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু সকলেই ফিরে গেছেন সেই অতীতে।
×