ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত আমাদের পাশে ছিল আমরা ভুলিনি

প্রকাশিত: ১০:৫২, ২৩ নভেম্বর ২০১৯

 মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত  আমাদের পাশে ছিল  আমরা ভুলিনি

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারত মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের পাশে ছিল। এই কলকাতাই এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিল, তা আমরা কোনদিন ভুলিনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় কলকাতার পাঁচ তারকা হোটেল তাজ বেঙ্গলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। খবর বাংলা নিউজের। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সৌরভ গাঙ্গুলীর দাওয়াতে এসেছি। দুই দেশের মধ্যে গোলাপি বলে প্রথম খেলা হচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণের তরফ থেকে আমি সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ইডেনের ঐতিহাসিক টেস্টে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৬ রানে অলআউট হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ক্রিকেটাররা আজ ভাল করেনি। ইনশাল্লাহ, একদিন ভাল করবে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক বরাবরই ভাল-মমতা ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক বরাবরই ভাল বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। শুক্রবার রাতে কলকাতার পাঁচতারা হোটেল তাজ বেঙ্গলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। বৈঠকের বিষয়ে মমতা ব্যানার্জী বলেন, এটা ছিল সৌজন্যমূলক সাক্ষাত। দুই বাংলার সঙ্গে আমাদের রিলেশন বরাবরই ভাল। ভারত-বাংলাদেশের রিলেশন বরাবরই ভাল। দুই দেশের মধ্যে অনেক আলোচনা হয়েছে। তবে একেবারে ঘরোয়া আলোচনা। শেখ হাসিনাকে আমি আবার এখানে আসতে বলেছি। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বরাবর যেন এভাবেই বজায় থাকে সে আশাবাদ ব্যক্ত করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। বাইসাইকেল আমদানির আগ্রহ পশ্চিমবঙ্গের এদিকে বাসস জানায়, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশ থেকে বাইসাইকেল আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে বাইসাইকেলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ পশ্চিমবঙ্গে সাইকেল রফতানির এ সুযোগটি কাজে লাগাতে পারে।’ দুই নেত্রীর বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। বৈঠকে মমতা এ বিষয়ে দুটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা যৌথভাবে পশ্চিমবঙ্গে বাইসাইকেলের কারখানা স্থাপন করতে পারেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তার সরকার এ ব্যাপারে জমি বরাদ্দ দেবে। মমতা বলেন, দ্বিতীয়ত বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীরা এ ধরনের কারখানা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে স্থাপন করতে পারে। এতে পরিবহন খরচ অনেকটাই কমে যাবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও শিল্পকারখানার ওপর সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। মমতা ব্যানার্জী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাদের সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচীর সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি উল্লেখ করেন, ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলোর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মমতা ব্যানার্জীকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচীর বিষয়ে অবহিত করেন। তিনি দেশে শিক্ষা খাতের উন্নয়নে তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকের শুরুতে শেখ হাসিনা ও মমতা ব্যানার্জী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। মোমেন বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ভারতের ইডেন গার্ডেনে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ঐতিহাসিক দিবা-রাত্রির টেস্ট ম্যাচ দেখার জন্য কলকাতা সফরে আসায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী এবং ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
×