নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ শেরপুর শহরের খোয়ারপাড় শাপলাচত্ত্বর মোড়ে ৫ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার রাতে ওই হামলায় ৪ জন আহত হয়েছে। এছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ ৯ লক্ষাধিক টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় রাতেই ২৫ জনকে স্ব-নামে এবং আরও ২০/২৫জন অজ্ঞাতনামা তরুণ-যুবককে আসামি করে থানায় আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে পার্শ্ববতী দিঘারপাড় মহল্লার মারুফ মিয়া (২২), নুরুল ইসলাম (২২), আলমগীর (২১), মোফাজ্জল হোসেন (২২) ও রতন মিয়া (১৯) সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। সোমবার বিকেলে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
জানা যায়, তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে রবিবার রাত ৮টার দিকে শহরের দিঘারপাড় এলাকার অন্তত: ৩০/৪০ জনের একদল সন্ত্রাসী ধারালো রামদা, লাঠিসোটা নিয়ে খোয়ারপাড় শাপলা চত্ত্বর মোড়ে অতর্কিত হামলা চালায়। ওইসময় হোটেল আবির-নিবির, জামিল স্টোর, মাসুদের ফলের দোকানসহ অন্তত: ৫টি দোকান ভাংচুর করে সন্ত্রাসীরা। হামলায় হোটেল আবির-নিবিরের ৪ কর্মচারী আহত হয়। আহতরা হচ্ছে রতন মিয়া (১৮), আজিজ মিয়া (২৫), রাকিব (১৮) ও ইউনুস (১৪)। হামলার সময় সন্ত্রাসীরা দোকানের ক্যাশবাক্স থেকে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন দোকান মালিক মানিক মিয়া। তার দাবি, ব্যাংক থেকে ব্যবসায়িক কাজে উত্তোলন করা ৮ লাখ টাকাসহ হোটেলে বিক্রির টাকা মিলে ক্যাশে প্রায় ৯ লক্ষাধিক টাকা ছিল। সন্ত্রাসীরা ক্যাশ থেকে পুরো টাকাটাই নিয়ে গেছে।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হোটেল পরিদর্শন করেছেন শেরপুর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আসাদুজ্জামান রওশন, সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রকাশ দত্ত ও জেলা হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আনোয়ারুল হাসান উৎপলসহ অন্যান্যরা।
এ ব্যাপারে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিনুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। ওই ঘটনায় থানায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা রুজু হয়েছে। ওই মামলায় ইতোমধ্যে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।