ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাস্থ্যসেবায় ‘ভাল আছি’

প্রকাশিত: ০৬:০০, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯

  স্বাস্থ্যসেবায় ‘ভাল আছি’

স্বাস্থ্য সকল সুখের মূল। তাই সুস্থ থাকাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। বৈশ্বিক আবহাওয়ার পরিবর্তন আর খাবারে নানা রকমের রাসায়নিকের ব্যবহার সুস্থ জীবনযাপনের প্রধান অন্তরায় হয়ে পড়েছে। ফলে ডাক্তারের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ পারিবারিক সম্পর্কে পরিণত হয়েছে। সমস্যা দেখা দেয় বয়স্কদের বেলায়। যাদের একটু বেশি বয়স কিংবা শারীরিক অবস্থা ভাল না তাদের ডাক্তারের নিকট নিয়ে যাওয়াটাই কঠিন হয়ে পড়ে। এসব দিক বিবেচনা করে মোঃ রাশেদুল হাসান এবং মোঃ আরাফাত হোসেন যৌথভাবে একটি আইডিয়া ডেভেলপ করেন। স্বাস্থ্যসেবা কত সহজে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া যায়। তৈরি হয়ে গেল মোবাইল এ্যাপস ‘ভাল আছি’। সত্যিই একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এটি একটি অন-ডিমান্ড স্বাস্থ্যসেবা। কোন রোগীর যদি জরুরী ভিত্তিতে ডাক্তার, নার্স কিংবা ফিজিওথেরাপিস্টের প্রয়োজন হয় তখন এ্যাপসে ঢুকে সার্চ করলেই সবচেয়ে নিকটস্থ যিনি ফ্রি রয়েছেন তিনি চলে আসবেন। এটি উবার কিংব পাঠাও এর মতই অন-ডিমান্ড সার্ভিস প্রদান করবে। ট্রাফিক জ্যামের এ শহরে অন-ডিমান্ড সার্ভিস সত্যিই যুগোপযোগী। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে নানা ধরনের উদ্ভাবনী চিন্তাই আগামী দিনের পাথেয় হয়ে থাকবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ না গড়তে পারলে আমাদের সমাজব্যবস্থা হুমকির মধ্যে পড়বে। বর্তমানে আমাদের দেশের আইসিটি ডিভিশন খুবই শক্তিশালী। প্রতিনিয়ত আমাদের তরুণ ছেলেমেয়েরা এসে নিজেদের আইডিয়া শেয়ার করছে, তৈরি করছে নানা ধরনের রবোটিক্স, এ্যাপস, গেমস ইত্যাদি যা আগামী দিনে অপরিহার্য হয়ে পড়বে। তাদের প্রণোদনা দেয়ার জন্য সরকারও আরেক ধাপ এগিয়ে। স্টার্ট-আপ নামে যে শাখাটি রয়েছে সোট আজ খুবই জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী বিভাগে পরিণত হয়েছে। ভাল আইডিয়া নিয়ে আসতে পারলেই স্টার্ট-আপ একটি ফান্ডের ব্যবস্থা করে দেয় যেন তারা কাজটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এই ফান্ড ৫ লাখ টাকা থেকে শুরু করে কোটি টাকা পর্যন্ত হয়। অর্থাৎ ভাল আইডিয়া হলেই হয়ে গেল। ব্যবসার পুঁজি যোগাবে রাষ্ট্র। তাই তো আমরা তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারছি। স্টার্ট-আপ সৃজনশীল প্রযুক্তিবিদদের জন্য আইসিটি ভবনে অফিসের ব্যবস্থাও করে দিয়েছে। ভাল আছি একটি যুগোপযোগী ও ব্যতিক্রমী আইডিয়া। ফলে এদের চিন্তা ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে স্টার্ট-আপ ১০ লাখ টাকা প্রদান করেছে। রাশেদ-আরাফাতের গতি আরও বৃদ্ধি পেয়ে গেল। শুরু হয়ে গেল এগিয়ে চলা। তারা ইতোমধ্যে ‘ভালআছি’র পাইলট প্রকল্প করে ফেলেছেন। শতভাগ সফল এই এ্যাপসটি সহজেই মুঠো ফোনে ইনস্টল করার সুবিধা রয়েছে। যে কোন প্রয়োজনে নার্স, ফিজিওথেরাপিস্ট বা ডাক্তার সার্চ করলেই ঠিকানামতো চলে আসবে। ব্যস্ত জীবন, ট্রাফিক জ্যাম, ডাক্তারের নিকট যাওয়ার শারীরিক অক্ষমতা, সবদিক বিবেচনা করে এটি একটি সমাজবান্ধব আইডিয়া। এটি খুব সহজেই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে বলে আমার বিশ্বাস।
×