ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহক সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭ কোটি ৭৩ লাখ

প্রকাশিত: ০৭:৪৮, ২ ডিসেম্বর ২০১৯

মোবাইল ব্যাংকিং গ্রাহক সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭ কোটি ৭৩ লাখ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে গ্রাহক। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লেনদেনের পরিমাণও। গত অক্টোবরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দৈনিক লেনদেন ছাড়িয়েছে এক হাজার ২১৮ কোটি টাকা। অক্টোবর শেষে দেশে গ্রাহক সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭ কোটি ৭৩ লাখ ৯৫ হাজার। মোবাইল আর্থিক হিসাব (এমএফএস) নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রকাশিত পরিসংখ্যানে এ তথ্য পাওয়া গেছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে শুধু লেনদেন নয়, যুক্ত হচ্ছে অনেক নতুন নতুন সেবাও। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল অর্থাৎ সেবা মূল্য পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো অর্থাৎ রেমিট্যান্স প্রেরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দেয়া হচ্ছে। জানা যায়, দ্রুততম সময়ে এক স্থান হতে অন্য স্থানে টাকা পাঠানোর অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম মোবাইল ব্যাংকিং। বর্তমানে এ সেবা ব্যবহার করেই মানুষ তাদের পরিবার পরিজন ও নিকটাত্মীয়ের কাছে বেশি টাকা পাঠাচ্ছেন। সর্বশেষ হিসাব মতে, দেশে অক্টোবর মাস শেষে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের গ্রাহক সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭ কোটি ৭৩ লাখ ৯৫ হাজার। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত অক্টোবর মাসে মোবাইলের মাধ্যমে পারসন টু পারসন বা এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির মধ্যে লেনদেন হয়েছে ৮ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা। আগের মাস সেপ্টেম্বরে এই লেনদেন ছিল ৮ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের একজন গ্রাহক হাবিবুর রহমান জানান, দেশের সুপারশপগুলোতে এখন মোবাইলের মাধ্যমেই লেনদেন বেশি হয়। বিকাশ ও রকেটসহ অন্যান্য ব্যাংক এখন ইন্টারনেট ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ক্যাশব্যাক অফার দেয়। এতে কেনাকাটার পাশাপাশি সাশ্রয়ও হয় কিছু টাকা। এসব লেনদেন ব্যক্তিগত হিসেবের মাধ্যমেই সম্পন্ন হয় বলে জানা গেছে। পার্সন টু পার্সন পেমেন্টস (পি২পি) হলো একটি অনলাইন প্রযুক্তি। যার মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা ক্রেডিট কার্ড থেকে অন্য ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ইন্টারনেট বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তহবিল স্থানান্তর করতে পারে।
×