অনলাইন ডেস্ক ॥ সাইবেরিয়ায় বরফের মধ্যে ১৮ হাজার বছর আগের একটি কুকুর ছানার মরদেহ পাওয়ার পর গবেষকরা দ্বিধায় পড়ে গেছেন। তারা বোঝার চেষ্টা করছেন যে, এটি কি আসলেও একটি কুকুর ছানা নাকি নেকড়ে।
কুকুরের মতো দেখতে ওই প্রাণীটির মৃত্যু হওয়ার সময় বয়স ছিল মাত্র দুই মাস। খুব ভালোভাবে রাশিয়ার ওই এলাকার ভূগর্ভস্থ চিরহিমায়িত অঞ্চলে সংরক্ষিত ছিল এটি। এর পশম, নাক এবং কান সবই অক্ষত রয়েছে। কিন্তু ডিএনএ পরীক্ষা করেও এই প্রাণীটির প্রজাতি নির্ধারণ করা যায়নি।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এর মানে হয়তো এটাই হতে পারে যে এই প্রাণীটি নেকড়ে এবং বর্তমান সময়ের কুকুরের মধ্যকার বিবর্তনের একটি যোগসূত্র তুলে ধরছে।
রেডিওকার্বন ডেটিং ব্যবহার করে কবে এই প্রাণীটির মৃত্যু হয়েছে এবং কতদিন ধরে সেটি হিমায়িত হয়ে রয়েছে, সেটা বের করা সম্ভব হয়েছে। জিনোম বিশ্লেষণ করে বোঝা গেছে যে, এটি একটি পুরুষজাতীয় প্রাণী।
সুইডেনের সেন্টার ফর প্যালায়েজেনেটিকসের গবেষক ডেভ স্ট্যানটন সিএনএনকে বলেছেন, প্রাণীটির ডিএনএ বিশ্লেষণ করেও প্রাণীটির সঠিক প্রজাতি না পাওয়ার মানে এটা হতে পারে যে, এটি হয়তো এমন একটি প্রজাতির অংশ ছিল যা থেকে বর্তমান কুকুর ও নেকড়ে উভয়ই এসেছে।
এটি থেকে আমরা অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছি। ওই সেন্টারের আরেক গবেষক, লভ ডালেন এক টুইট বার্তায় প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন যে, এই প্রাণীটি কি একটি নেকড়ে ছানা নাকি পৃথিবীতে পাওয়া সবচেয়ে পুরোনো কুকুর?
এখনও ডিএনএ বিশ্লেষণ অব্যাহত রেখেছেন বিজ্ঞানীরা এবং আশা করছেন যে, এই গবেষণার মাধ্যমে কুকুরের বিবর্তন প্রক্রিয়া সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যাবে।
এই ছানাটির নাম রাখা হয়েছে, ডোগোর। রাশিয়ার ওই অঞ্চলের ইয়াকুট ভাষায় যার মানে হলো বন্ধু। ধারণা করা হয় যে, বর্তমান সময়ের কুকুর এসেছে নেকড়ে থেকে। কিন্তু ঠিক কখন থেকে কুকুর গৃহপালিত প্রাণী হয়ে উঠেছে, এ নিয়ে বিতর্ক আছে।
২০১৭ সালে প্রকাশিত হওয়া একটি গবেষণায় ইঙ্গিত দেয়া হয় যে, কুকুর প্রথম গৃহপালিত হয়ে উঠতে শুরু করে ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার বছর আগে থেকে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: