ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উচ্চলাফে ক্যারিয়ারসেরা নৈপুণ্যে শুভর রৌপ্যজয়

প্রকাশিত: ০৮:৩৯, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯

উচ্চলাফে ক্যারিয়ারসেরা নৈপুণ্যে শুভর রৌপ্যজয়

স্পোর্টস রিপোর্টার, কাঠমান্ডু, নেপাল থেকে ॥ মঙ্গলবার থেকে মাঠে গড়িয়েছে এ্যাথলেটিক্স। প্রথম দিনেই পদক পেয়েছে বাংলাদেশ। সেটা রৌপ্য। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এ্যাথলেট মাহফুজুর রহমান শুভ হউচ্চ লাফে যৌথভাবে রূপার পদক জেতেন। এসএ গেমসের ইতিহাসে বাংলাদেশ এই ইভেন্টে এই প্রথম কোন পদক জিতলো। ফলে শুভ গড়লেন নয়া ইতিহাস। দশরথের রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে নিজের ইভেন্টে ২.১৬ মিটার উচ্চতায় লাফিয়ে রৌপ্যপদক জেতেন শুভ। এটা তার ক্যারিয়ারসেরা নৈপুণ্য। এর আগে এ বছরই অনুষ্ঠেয় জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ২.১৫ মিটার লাফিয়ে জাতীয় রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। এবার সেটাকে ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়ে রৌপ্য জিতলেন। তার সঙ্গে যৌথভাবে ২.১৬ মিটার উচ্চতায় লাফিয়ে ভারতের চেতন বালাসাব রৌপ্য জেতেন। আর ২.২১ মিটার লাফিয়ে স্বর্ণ জেতেন ভারতের অনীল কু সার্ভেস। পদকজয়ের পর শুভ বলেন, "কয়েকিদিন আগে ভারতে গিয়ে একটি এ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় স্বর্ণ জেতার পর আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়েছিল। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই এবার খেলেছি। আগে এক লাফে ভালো করলে পরেরটায় খারাপ করতাম। কিন্তু ভারতে স্বর্ণ জেতার পর ধারাবাহিকতা ফিরে পেয়েছি। আমার বিশ্বাস ছিল যে যদি নিজের সেরাটা দিতে পারি তাহলে একটা ফল আসবে।" মাঠে তার প্রতিপক্ষ ভারতের দুই এ্যাথলেট অনিল ও চেতন । একজনের জাতীয় রেকর্ড ২.২৬ মিটার অন্যজনের ২.২৫ মিটার। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই লড়েন শুভ। শেষ পর্যন্ত ২.১৬ তেই আটকে গেলেন মাহফুজ ও চেতন। প্রায় ১৫ মিনিট টেকনিক্যাল ও জাজ প্যানেল দুজনকেই রৌপ্যপদকের জন্য মনোনীত করলেন। সারভেশের কাছে মাহফুজের বিষয় জানতে চাইলে বলেন, "অনেক উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। প্রথমে তাকে পাত্তা দেইনি। কিন্তু তার প্রথম জাম্প দেখার পরই ধারণা পাল্টে যায়। দুই মিটারের পর যখন পাল্লা দিয়ে সে লাফাচ্ছিল তখন বুঝতে পেরেছি একটা পদক সে পাবে। কিন্তু তার কাছে হেরে যাবো সেটি একবারও মনে হয়নি। কারণ আমার ঘরের রেকর্ড ২.২৬ মিটার। পরিচর্যা করলে সে আরো ভালো করবে। টেকনিক্যাল উন্নতি দরকার।" মাহফুজ আরও জানান, "ব্যাক্তিগত বেস্টটা করতে পেরেছি। ভারত থেকে প্র্যাকটিসে অনেক পিছিয়ে আছি। তারা বাইরে অনুশীলন করে। প্র্যাকটিস ভাল করে করতে পারলে আমারও উন্নতি হবে। গত গৌহাটি আসরে ২.০০ মিটার লাফিয়ে চর্তুথ হয়েছি। খেলাধুলায় পুরো অবদান নৌবাহিনীর কোচ রফিকুল ইসলাম স্যারের। ১.৭৩ মিটার লাফিয়ে আমার শুরু। ওনার সান্নিধ্যে ১.৯০ মিটার লাফিয়ে দ্বিতীয় হই। তখন ২০১৬ সালে এসএ গেমসের ক্যাম্পে ডাক পাই। ২.১৭ করে হই চতুর্থ।"
×