ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রিজার্ভ চুরি ॥ ফিলিপিন্সের কাছে অপরাধীদের নাম চায় বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৯:৫৬, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯

রিজার্ভ চুরি ॥ ফিলিপিন্সের কাছে অপরাধীদের নাম চায় বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিচারকাজ এগিয়ে নিতে ফিলিপিন্সের কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির সঙ্গে জড়িতদের নাম চেয়েছে সরকার। মঙ্গলবার ঢাকায় ফিলিপিন্সের সঙ্গে সচিব পর্যায়ের দ্বিতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) সভায় তাদের নাম ও আর্থিক তথ্য চাওয়া হয়। সভা শেষে পররাষ্ট্র সচিব (এশিয়া ও প্যাসিফিক) মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কয়েকটি বিষয়ে ওদের কাছে সাহায্য চেয়েছি। একটি হচ্ছে, কয়েকজন অপরাধীর পরিচয়। এই তথ্যটা তারা এখনও আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নাই। সেটা আমরা ওদের কাছে চেয়েছি। এছাড়া কিছু আর্থিক তথ্যের বিষয় আছে। সেটাও তারা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। ২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে (ফেড) রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। পাঁচটি সুইফট বার্তার মাধ্যমে চুরি হওয়া এ অর্থের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় যাওয়া দুই কোটি ডলার ফেরত আসে। তবে ফিলিপিন্সে যাওয়া আট কোটি ১০ লাখ ডলার জুয়ার টেবিল ঘুরে হাতবদল হয়। এই অর্থ চুরিতে দেশের ভেতরের কোনো একটি চক্রের হাত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হয়। খোয়া যাওয়া রিজার্ভের অর্থের দেড় কোটি ডলার ফেরত এলেও বাকি অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তৎপরতা চালানো হলেও এখনও তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। সাইবার জালিয়াতির মাধ্যমে রিজার্ভের অর্থ চুরির এই ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের যুগ্ম পরিচালক জুবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তদন্তকারী সংস্থা সিআইডিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে আদালত ৩০ বারের বেশি সময় দেওয়ার পরও তদন্ত প্রতিবেদন জমা পড়েনি। এছাড়া রিজার্ভ চুরি নিয়ে ফিলিপিন্সের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) বিরুদ্ধে নিউ ইয়র্কের আদালতে আরেকটি মামলা করেছে বাংলাদেশ। অপরাধীদের নাম ও আর্থিক তথ্যগুলো পেলে রিজার্ভ চুরি নিয়ে বাংলাদেশে চলা মামলার অভিযোগপত্র দেওয়ায় সুবিধা হবে বলে মন্তব্য করেন সচিব মাসুদ বিন মোমেন। কবে নাগাদ এসব তথ্য আসতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সময় সীমা ঠিক হয়নি। ফিলিপিন্সের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের কাছে এই তথ্য জমা আছে। ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের অনুমতি সাপেক্ষে তারা এটি আমাদের সাথে শেয়ার করবে। তারা আমাদের কথা দিয়েছে যে, করবে।
×